সিলেটে ইসি আনিছুর রহমান
একটি দল নির্বাচনে এলে ভোট পেছানো বিবেচনা করা যাবে
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় যথাসময়ে নির্বাচন করতেই হবে। তবে বিশেষ কোনো দল এলে তফশিল পেছানোর সুযোগ আছে। তারা নির্বাচনে এলে আমরা বিবেচনা করব। আমাদের সুযোগ আছে পেছানোর। কারণ পরে যথেষ্ট সময় আছে। তবে এখন পর্যন্ত কারও কাছ থেকে ওইরকম কোনো সাড়া পাইনি। নির্বাচন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য নির্বাচন করতে হবে, না হয় সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। নিশ্চয়ই এটা আমাদের কাম্য হতে পারে না।
বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সিলেটের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিজিবি ও র্যাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শতভাগ দল নিয়ে নির্বাচন করার পরিকল্পনা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আনিছুর রহমান বলেন, শতভাগ কখনোই আসেনি, ইতিহাস বলে। অধিকাংশ দল নির্বাচন করে, তখনই নির্বাচনি আমেজ চলে আসে। আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বরাবরই আহ্বান জানাচ্ছি, আমাদের নিবন্ধিত ৪৪টা দলের সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।
বিএনপি নির্বাচনে না এলে প্রভাব পড়ার কোনো আশঙ্কা আছে কিনা-এমন প্রশ্নে ইসি আনিছুর রহমান বলেন, গণমাধ্যমে আসা তথ্য অনুযায়ী ৭০ ভাগ দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা উঠছে। যদি ৭০ ভাগই অংশ নিয়ে থাকে তবে নির্বাচনে প্রভাব পড়ার কোনো কারণ নেই।
নির্বাচনি পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনি পরিবেশ বিঘ্ন হওয়ার মতো কিছু দেখছি না। যেহেতু একটা চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচি আছে, সেটাকে কেন্দ্র করে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ঘটনা হয়েছে। সেটার সঙ্গে নির্বাচনকে মেলানো ঠিক হবে না। এটা নির্বাচনকে উপলক্ষ্য করেই হচ্ছে, কিন্তু নির্বাচনি পরিবেশ বিঘ্ন করছে এমন কিছু পরিলক্ষিত হয়নি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন চাচ্ছে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ। কিন্তু কোনো দল না এলে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। তবে কমিশন আশা করছে সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে।