Logo
Logo
×

শেষ পাতা

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন

কর্ণফুলীর ৭ ড্রেজার নির্মাণে দুর্নীতি

দুদকে অভিযোগের পর তদন্ত কমিটি গঠন * ৮ পিডির অবসরের সুযোগ-সুবিধা বন্ধ * পিপিআর লঙ্ঘন করে ৬১৫ কোটি টাকার কাজ দেওয়া হয়েছিল কর্ণফুলীকে

Icon

নেসারুল হক খোকন

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কর্ণফুলীর ৭ ড্রেজার নির্মাণে দুর্নীতি

প্রতীকী ছবি

বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কারিগরি সহযোগিতা ছাড়াই ব্যয়বহুল ৭ ড্রেজার নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) সরবরাহ করেছে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড। অথচ ক্রয় প্রক্রিয়ায় প্রধান শর্ত ছিল অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের কারিগরি সহায়তা গ্রহণ। এ সহায়তা ছাড়া নির্মাণ করায় এগুলোর নদী ড্রেজিংয়ে প্রকৃত উৎপাদনক্ষমতা অনেক কম। এমন তথ্য গোপন ছিল বছরের পর বছর।

৭ ড্রেজারের চুক্তিমূল্য ছিল ৬১৫ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ৮ প্রকল্প পরিচালক (পিডি) এসব ড্রেজার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতির মান নিশ্চিত না হয়ে বিল পরিশোধ করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দেওয়ার পর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগেই এ প্রকল্পের দায়িত্বরত ৮ পিডি অবসরে চলে গেছেন। তারা হলেন আব্দুল বাতেন, মোজাফফর আহমেদ, মো. সোহরাব উদ্দিন, খন্দকার মনিরুল ইসলাম, প্রদীপ কুমার রায়, জীবন কৃষ্ণ সাহা, আশরাফুল হোসেন ও শহীদুল ইসলাম।

পাউবো তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে কৈফিয়ত তলব করেছে। ক্রয় শর্তের বিভিন্ন ধারা-উপধারার কথা বলে লিখিত জবাব দিলেও প্রকল্প পরিচালকরা তদন্ত কমিটিকে সন্তুষ্ট করতে পারেননি। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার সুযোগে দুই প্রকল্প পরিচালক (প্রদীপ কুমার রায় ও জীবন কৃষ্ণ সাহা) তদন্ত কমিটিকে কোনো সহযোগিতাই করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাউবোর শৃঙ্খলা পরিদপ্তরের পরিচালক মো. নোমান ফরিদ যুগান্তরকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ৮ প্রকল্প পরিচালকের চাকরি থেকে অবসরের সব সরকারি সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাউবোর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ড্রেজারের প্রথম ক্ষতি হয়েছে প্রকল্প পরিচালক আব্দুল বাতেনের হাত ধরে। এরপর ধাপে ধাপে শহীদুল ইসলাম সর্বনাশের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন।

জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে পাঠানো একটি অভিযোগের সূত্র ধরে ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি ড্রেজার সরবরাহ নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এসএম রেজাউল মোস্তফা কামালকে আহ্বায়ক এবং একই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুল্লাহ আল আরিফকে সদস্যসচিব ছাড়াও পাউবোর ডিজাইন সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম রব্বানীকে সদস্য করা হয়। কমিটি গত বছরের ৯ নভেম্বর ১৫ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২০ জানুয়ারি যুগান্তরে ‘পাউবোর ড্রেজার কেনায় দুর্নীতি, পদে পদে শর্ত লঙ্ঘন, ৮০ কোটি টাকা গচ্চা’ এবং ওই বছরের ২২ জানুয়ারি ‘ভয়াবহ দুর্নীতির দায়ে শাস্তির বদলে সমঝোতার চাতুরী’ শিরোনামে দুই পর্বের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রায় ৯ বছর পর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে ড্রেজার ক্রয়ের শত শত কোটি টাকার এই প্রকল্পের অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করা হলো।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৩টি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে পাউবো কর্ণফুলী শিপইয়ার্ড লি. তথা ভোস্তা এলএমজি কর্ণফুলী জয়েন্ট ভেঞ্চার কনসোর্টিয়াম লি. কর্তৃক ৭টি ড্রেজার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ নেয়। এর মধ্যে একটি দরপত্রে গড়াই নদী পুনরুদ্ধার (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ২টি ড্রেজার (সিএসডি ২৬ ইঞ্চি ও সিএসডি পদ্মা ২৬ ইঞ্চি) ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি নেওয়া হয়। এ দুই ড্রেজারের চুক্তিমূল্য ছিল ২৩৯ কোটি ৫৭ লাখ ৭৪ হাজার ৭১৯ টাকা। অন্য একটি দরপত্রে ‘প্রকিউরমেন্ট অব ড্রেজার্স অ্যান্ড অ্যানসিলারি ইকুইপমেন্ট ফর রিভার ড্রেজিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে তিনটি ড্রেজারও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ নেওয়া হয়। এগুলো হচ্ছে সিএসডি বাঙালি ২৬ ইঞ্চি, সিএসডি তুরাগ ২৬ ইঞ্চি ও সিএসডি রূপসা ২৬ ইঞ্চি। এ তিন ড্রেজারের চুক্তিমূল্য ছিল ২৫৭ কোটি ৪৪ লাখ ২৭ হাজার ৯৬৪ টাকা। একই প্রকল্পের আওতায় আরেকটি দরপত্রে দুইটি ২০ ইঞ্চি ড্রেজারসহ (সিএসডি বিশখালী ও সিএসডি ধানসিঁড়ি) আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি নেওয়া হয়। ২০ ইঞ্চি এ দুই ড্রেজারের জন্য চুক্তিমূল্য ছিল ১১৮ কোটি ৭ লাখ ৯২৪ টাকা। তিনটি দরপত্রের মাধ্যমে ৬১৫ কোটি ৯ লাখ ১০ হাজার ৬০৮ টাকায় ৭টি ড্রেজার ও সরঞ্জাম নেওয়া হয়।

যত অনিয়ম : তদন্ত প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, গড়াই নদী (২য় পর্যায়) পুনরুদ্ধার শীর্ষক প্রকল্পে ডিপিপিতে দেওয়া শর্তাবলি অনুসারে ড্রেজার সরবরাহটি গুডস (পণ্য) পার্চেস অব ড্রেজার উইথ এক্সেসরিস (আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিসহ ড্রেজার ক্রয়) হিসাবে উল্লেখ ছিল। দরপত্র প্রক্রিয়ায় ড্রেজার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে ক্রয় পদ্ধতি পণ্য (গুডস) হিসাবে উল্লেখ ছিল। কিন্তু টেন্ডার ডকুমেন্টে গুডসের পরিবর্তে ওয়ার্কস-এর নথিপত্র ব্যবহার করা হয়। এর কারণ ব্যাখ্যা করে প্রতিবেদনে বলা হয়, পণ্য সরবরাহ নেওয়ার জন্য পিপিআর ২০০৮ অনুসারে কোনোরকম জয়েন্ট ভেঞ্চার করা যায় না। এক্ষেত্রে পিপিআর ২০০৮-এ বিধিমালা (বিধি-১২)-এর ব্যত্যয় ঘটেছে।

এ প্রকল্পের নথিপত্র পর্যালোচনার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০১০ সালের ১১ নভেম্বর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি স্মারকে সিএসডি গড়াই ২৬ ইঞ্চি ড্রেজারও সিএসডি পদ্মা ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি কেনার লক্ষ্যে ভোস্তা এলএমজি ভিবি নেদারল্যান্ডস এবং কর্ণফুলী শিপইয়ার্ড লি. নিয়ে গঠিত ভোস্তা এলএমজি কর্ণফুলী জয়েন্ট ভেঞ্চার কনসোর্টিয়ামকে চুক্তি করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর ভোস্তা এলএমজি কর্ণফুলী জয়েন্ট ভেঞ্চার কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি না করে ভোস্তা এলএমজি কর্ণফুলী জয়েন্ট ভেঞ্চার কনসোর্টিয়াম লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘লিমিটেড’ সংযোজন করে প্রকৃত তথ্য গোপন রেখে কর্ণফুলীর মালিক আব্দুর রশীদকে কাজটি দেওয়া হয়। এতে কাজের চুক্তি দলিলের শর্ত (জিসিসি ১০) ও পিপিআর ২০০৮-এর বিধি ৫৪ উপবিধি (৯) ভঙ্গ করা হয়েছে। আমাদের তদন্তে লিমিটেড সংযোজিত প্রতিষ্ঠানের নামে সম্পাদিত চুক্তি সঠিক নয় বলে বিবেচিত হয়েছে। ওই প্রকল্পে চুক্তি সম্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানের দরপত্র প্রতিযোগিতায় ভোস্তা এলএমজি ভিবি নেদারল্যান্ডস আদৌ ছিল কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদনের এক স্থানে বলা হয়, দরপত্র প্রতিযোগিতায় বিদেশি কোনো প্রযুক্তি তত্ত্বাবধান ছাড়াই শুধু কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড কর্তৃক ড্রেজার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিগুলো তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ড্রেজার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিগুলো আন্তর্জাতিক মানের কোনো ড্রেজার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের যথাযথ তদারকি ছাড়াই নির্মিত হয়েছে।

এদিকে ‘প্রকিউরমেন্ট অব ড্রেজারস অ্যান্ড অ্যানসিলারি ইকুইপমেন্ট ফর রিভার ড্রেজিং অব বাংলাদেশ’ (বাংলাদেশের নদী খননের জন্য ড্রেজার এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ক্রয়) শীর্ষক প্রকল্পে আরও যে ৫টি (৬৫০ ইঞ্চি ও দুটি ৫০০ মিটার) ড্রেজার সরবরাহ নেওয়া হয়, সেখানেও একইভাবে দরপত্র প্রক্রিয়া পরিবর্তন করা হয়েছে, যা পিপিআর ২০০৮-এর বিধিমালা (বিধি-১২) অনুসরণ করা হয়নি। এই ৫টি ড্রেজার সরবরাহের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের এক স্থানে বলা হয়, এ দুটি ড্রেজার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ নেওয়ার জন্য ‘ভোস্তা এলএমজি কর্ণফুলী জয়েন্ট ভেঞ্চার কনসোর্টিয়াম নামে দরপত্র দাখিল করা হয়। ২০১২ সালের ২৩ মে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে চুক্তি সম্পাদিত হয়। ২০১৩ সালের অক্টোবরে পাউবোর অনুমতিক্রমে প্রতিষ্ঠানের নামের শেষে লিমিটেড যুক্ত করে সংশোধন করা হয়। তবে ‘লিমিটেড কোম্পানি’তে পরিবর্তনের বিষয়ে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কোনো অনুমতি নেয়নি। নথিপত্র পর্যালোচনার তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়, কর্ণফুলী শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ড্রেজার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিগুলো নির্মাণে যথাযথ টেকনিক্যাল অভিজ্ঞতা না থাকায় ভোস্তা এলএমজি কর্ণফুলী জহয়েন্ট ভেঞ্চার কনসোর্টিয়াম বা অ্যাসোসিয়েশন (জেভিসিএ) গঠন করা হয়।

ড্রেজার সরবরাহের কাজ বাগিয়ে নিতে কীভাবে দরপত্রের নথিপত্র ছয়নয় করা হয়, তারও একটি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আছে তদন্ত প্রতিবেদনে। এ বিষয়ে বলা হয়, দরপত্র প্রস্তাবনা অনুযায়ী ড্রেজার সরবরাহের বিষয়ে ক্রয় চুক্তিপত্রে উল্লেখ ছিল যে, লিড পার্টনার (প্রধান অংশীদার) হিসাবে ভোস্তা এলএমজির টেকনিক্যাল সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে ড্রেজার ও যন্ত্রপাতি নির্মাণ করা হবে। কর্ণফুলী শিপইয়ার্ড লি. সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করবে। পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, প্রতিটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের পর কর্ণফুলী শিপইয়ার্ড লি. কর্তৃক ভোস্তা এলএমজির সব শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে লিমিটেড শব্দ যোগ করে ভোস্তা এলএমজি কর্ণফুলী জয়েন্ট ভেঞ্চার কনসোর্টিয়াম লি. নামে সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এমতাবস্থায় ২০১৪ সালে ২৬ ইঞ্চি যে ৩টি ড্রেজার সরবরাহের বিষয়ে পাউবোর সঙ্গে ভোস্তা এলএমজি কর্ণফুলী জয়েন্ট ভেঞ্চার কনসোর্টিয়ামের সম্পাদিত চুক্তি আইনগতভাবে বৈধ নয় বলে বিবেচিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোস্তা এলএমজি নেদারল্যান্ডসের টেকনিক্যাল সাপোর্ট ছাড়াই শুধু কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সকে ড্রেজার তৈরির সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এই ড্রেজার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি নির্মাণ যথাযথ হয়নি। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত ড্রেজারের কার্যক্ষমতা কমিটির প্রতিবেদনে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ২৬ ইঞ্চি ৩টি ড্রেজারের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি গ্রহণ করা যাবে না মর্মে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে কর্ণফুলীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রশীদ যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি আরও আগের। চূড়ান্ত আরবিটেশনে (সমঝোতামূলক সালিশি ট্রাইব্যুনাল) যাচ্ছে। আশা করি, এর সমাধান হয়ে যাবে। কোনো সমস্যা হবে না।

পাউবোর শৃঙ্খলা অধিদপ্তর থেকে প্রকল্প পরিচালকদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে কয়েকজন জবাব দিয়েছেন। এর মধ্যে শহীদুল ইসলাম বলেন, গুণগত মান নিশ্চিত হতে তিন সদস্যবিশিষ্ট প্রিশিপমেন্ট কমিটি জার্মানি যায়। তারাই ড্রেজারসহ যন্ত্রপাতি পরিদর্শন করে সন্তোষজনক প্রতিবেদন দাখিল করে।

মান নিশ্চিত হওয়ার কথা বলেন পিডি আশরাফুল হোসেনও। তিনিও বলেন, ড্রেজার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতির মান নিশ্চিত হয়েই বিল দেওয়া হয়েছে।

খন্দকার মনিরুল ইসলাম বলেন, বিদেশি বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লি. ড্রেজার নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে ড্রেজারগুলোর কার্যকারিতা সন্তোষজনক। তিনি একটি অংশের দুটি ড্রেজারের আংশিক বিল দেওয়ার দাবি করেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম