পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) পালিত
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানীসহ সারা দেশে বৃহস্পতিবার ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) পালিত হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে এদিন আখেরি নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পূর্ণাঙ্গ জীবন নিয়ে আলোচনা, পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসব অনুষ্ঠানে মুসলমানদের কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন শহরে আয়োজন করা হয় জশনে জুলুসের (আনন্দ শোভাযাত্রা)। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়।
ঈদে মিলাদুন্নবি উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আবদুর রশিদ প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) ও লিবারেল ইসলামিক জোটের উদ্যোগে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। এটি শাহবাগ, মৎস্য ভবন, দোয়েল চত্বর হয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে শান্তির মহাসমাবেশে মিলিত হয়। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, বংশাল, হোসেনি দালানসহ বিভিন্ন স্থানে জশনে জুলুসের আয়োজন করা হয়। এসব শোভাযাত্রার অগ্রভাগে দৃষ্টিনন্দন বড় বড় হরফে লেখা ছিল ‘ইয়া নবি সালামু আলাইকা, ইয়া রাসুল সালামু আলাইকা’। জশনে জুলুসে কালেমা খচিত পতাকা, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন ছাড়াও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বহন করেন অংশগ্রহণকারীরা।
ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উপলক্ষ্যে বুধবার থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ১৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পবিত্র কুরআনখানি, দোয়া মাহফিল, ১৫ দিনব্যাপী ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় সেমিনার, ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত মাহফিল, হামদ-না’ত, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্কুলে নৈতিকতা ও চরিত্র গঠনবিষয়ক সেমিনার, বিশেষ স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ। এছাড়াও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উদযাপন উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫০টি ইসলামিক মিশন ও ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনেরও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।