Logo
Logo
×

শেষ পাতা

ঢাকায় দুই ঘণ্টায় ৪৬ মিনিট নষ্ট হয় যানজটে : সিপিডি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাকায় দুই ঘণ্টায় ৪৬ মিনিট নষ্ট হয় যানজটে : সিপিডি

রাজধানীতে প্রতি ২ ঘণ্টার যাত্রাপথে ৪৬ মিনিটই যানজটে নষ্ট হয়। এর ফলে নষ্ট হয় কর্মঘণ্টা ও শ্রমের মান। বায়ুদূষণজনিত অসুস্থতার কারণে বছরে গড়ে চার হাজার টাকা খরচ হয় ঢাকার বাসিন্দাদের। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ঢাকার সিটি করপোরেশন এলাকার ৫০০ খানার তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিপিডি। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। এ সময় তিনি বলেন, এর আগে সড়ক তৈরিতে প্রধানমন্ত্রীকে ধোঁকা দিয়ে ফাইল পাশ করে গাছ কাটা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মাট ক্যানেল, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. সামিয়া সেলিম এবং বিশ্বব্যাংকের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. ওয়ামেক রাজা। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির রিসার্চ ফেলো সৈয়দ ইউসুফ সাদাত। সংস্থাটির জরিপে উঠে এসেছে, সড়কে প্রতি ২ ঘণ্টায় ঢাকাবাসীর ৪৬ মিনিট কাটে যানজটে বসে। আর বছরে তাদের গড়ে ২৭৬ ঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে যানজটে। জরিপে অংশ নেওয়া ৭৬ শতাংশ পরিবার মনে করে, বায়ুদূষণের পরিমাণ গত ২-৩ বছরের তুলনায় আরও বেড়েছে। আর ৭৩ শতাংশ মনে করছে, গত ২-৩ বছরের তুলনায় প্লাস্টিক দূষণের পরিমাণ বেড়েছে। ৪৩ শতাংশ পরিবারের মতামত হলো, দূষণ বাড়ছে সরাসরি রাস্তায় প্লাস্টিক ফেলার কারণে। এতে পরিবেশ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তার ওপর যোগ হয়েছে গাড়ি, কারখানার ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের ধুলাবালি।

এদিকে গবেষকরা বলছেন, দূষণ কমাতে নতুন কোনো কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দেওয়া যাবে না। বন্ধ করতে হবে পলিথিনের ব্যবহার। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে। পাশাপাশি আলাদা রিসাইকেল সেন্টার নির্মাণের পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি।

উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, সড়ক তৈরিতে প্রধানমন্ত্রীকে ধোঁকা দিয়ে ফাইল পাশ করে গাছ কাটা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এখন বুঝে গেছেন। কোনো ফাইল এলেই সেই প্রকল্পে গাছ কাটা হচ্ছে কিনা, পরিবেশের কোনো ক্ষতি হচ্ছে কিনা, তা যাচাই করে ফাইল পাশ করেন। পরিবেশসম্মত নয়, এমন অনেক ফাইল তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের আইন অনেক আছে, কিন্তু আইন বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ নেই। এটি শুধু পরিবেশ মন্ত্রণালয় নয়, সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলে লক্ষ্য পূরণ হবে না। পরিবেশ উন্নয়নে সবার আগে ব্যক্তিগতভাবে মানুষকে সচেতন হতে হবে। না হলে গোলটেবিলে পরিবেশ রক্ষার কথা বলে বাসায় গিয়ে পরিবেশ দূষণে পলিথিন ব্যবহার করবে।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে বটে, কিন্তু তা হচ্ছে পরিবেশকে ধ্বংস করে। পরিবেশ না বাঁচিয়ে উন্নয়ন করলে, তা টেকসই হবে না। তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণের প্রধান দুটি উৎস হলো বায়ু ও পলিথিন। এছাড়া নির্মাণ, যানবাহন, শিল্প, ইটের ভাটা থেকে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। ঘরের বাইরে-ভেতরে দুই পর্যায়েই এ ক্ষতি হচ্ছে। ঘরের ভেতরে ইলেকট্রনিক পণ্য, ফ্রিজ, ফ্যান, এমনকি বাজারে ব্যবহƒত পলিথিন ঘরে এসে পরিবেশের ক্ষতি করছে। এ ক্ষতি মারাÍকভাবে শিশুদের ওপরও পড়ছে। এ ক্ষতি থেকে আইনি পদক্ষেপ যেমন দরকার, তেমননি সচেতনতাও জরুরি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম