Logo
Logo
×

শেষ পাতা

বিচারব্যবস্থা সরকারের নিয়ন্ত্রণে: মির্জা ফখরুল

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বিচারব্যবস্থা সরকারের নিয়ন্ত্রণে: মির্জা ফখরুল

বর্তমান বিচারব্যবস্থা পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। কারণ, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের উদ্যোগে ‘কারেন্ট স্টেট অব জুডিশিয়ারি : এ টুল টু অপ্রেস অপোজিশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের সহ-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।

দেশে একদলীয় শাসন চলছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কেউ কথা বলতে পারে না। আজকে যখন পুলিশ কর্মকর্তারা রাজনীতিবিদের মতো কথা বলেন; জজরা শপথবদ্ধ, তারাও রাজনীতির কথা বলেন; তখন সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? কার কাছে যাবে? বিচারব্যবস্থা পুরোপুরিভাবে যদি দলীয়করণ হয়ে যায়, মানুষ কোথায় যাবে? সেজন্যই এ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। শুধু বিচারব্যবস্থা নয়, আজ যে রাষ্ট্রকাঠামো তৈরি করা হয়েছে, তা ভেঙে দিতে হবে। সত্যিকার অর্থেই একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাঠামো নির্মাণ করতে হবে।

বিচারব্যবস্থার সমস্যা সমাধানে জুডিশিয়াল কমিশন গঠনসহ ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাবনার কথাও উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব। আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সবাইকে জোটবদ্ধ হতে হবে। প্রত্যেককে সোচ্চার হয়ে কথা বলতে হবে। সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, যথেষ্ট হয়েছে, যথেষ্ট ক্ষতি করেছ। এখন দয়া করে বিদায় হও। জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনগণের একটা পার্লামেন্ট, জনগণের একটা সরকার তৈরি করো। ক্ষমতায় থাকার জন্য যতই চেষ্টা করো, কোনো লাভ হবে না। মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারকে আর দেখতে চায় না। আইনজীবীদের কাছে অনুরোধ থাকবে-এ সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, জনগণ আপনাদের সঙ্গে আছে। আমরা জয়ী হবই।

সাইবার নিরাপত্তা বিল পাশের নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বুধবার সংসদে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট পাশ হয়েছে। এটা এর আগে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামে ছিল। কোনো পরিবর্তন না করে, শুধু নামটা পরিবর্তন করে তারা সংসদে পাশ করেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বার এবং বেঞ্চ একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার কথা থাকলেও এদেশে তা হচ্ছে না। পাশাপাশি দেশের বিচার বিভাগকে সরকার অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে। হাইকোর্ট ডিভিশনের অবসরপ্রাপ্ত দুই বিচারপতি যথাক্রমে বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী উচ্চ আদালতের বর্তমান অবস্থায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের আহ্বায়ক সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে এবং ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দীন খান, সুপ্রিমকোর্টের ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, মনিরুল হক চৌধুরী, নূর মোহাম্মদ খান, জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, ইসমাইল জবিউল্লাহ, এসএকে কামরুজ্জামান, জহিরুল হক, শাহাজাদা মিয়া, আবদুর রশিদ, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বদুরুজ্জামান বাদল, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মীর হেলাল উদ্দিন, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণফোরামের জগলুল হায়দার আফ্রিকসহ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীরা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম