ভুক্তভোগীর বর্ণনা
সুবর্ণচরে যুবলীগ নেতাকে গুলি চেয়ারম্যানের!
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ওয়ার্ড যুবলীগের এক নেতাকে তুলে নিয়ে দুই পায়ে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে চরজব্বর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার পক্ষে ভোট না করায় চেয়ারম্যান প্রতিশোধ হিসাবে এই নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ করেন ওই যুবলীগ নেতা।
নির্যাতনের শিকার মো. হোসেন (৩১) উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি এবং একই এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ইউনিয়নের চেউয়াখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মোহাম্মদ ওমর ফারুক সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান। গত ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
ভুক্তভোগী মো. হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমি পেশায় একজন ট্রাক ড্রাইভার। গত ইউপি নির্বাচনে আমি নৌকার প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলামের পক্ষে ভোট করি এবং টাকাও খরচ করি। এটাই হচ্ছে আমার অপরাধ। এ নিয়ে ইউপি চেয়াম্যান ওমর ফারুক আমার ওপর ক্ষুদ্ধ ছিল। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে চেউয়াখালী বাজারের একটি চায়ের দোকানে চেয়ারম্যান অনুসারী এক যুবকের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান সেখানে এসে মানুষের সামনে আমার পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে তার গাড়িতে করে চোখ বেঁধে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারপর একটি বাড়িতে নিয়ে আমার দুই পায়ে গুলি করে চেয়ারম্যান। এরপর গুলিবিদ্ধ স্থানে তারকাঁটা ঢুকিয়ে দেয়। পরে চৌকিদার নুরউদ্দিনকে দিয়ে আমাকে হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয় বাসিন্দা নয়ন অভিযোগ করেন, সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্স চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারীর উপস্থিতিতে হোসেনের পা থেকে গুলি ও তারকাঁটা বের করে দ্রুত সরিয়ে ফেলে। আমরা বাগ্বিতণ্ডা করলে ডাক্তার বলে আমরা পায়ে কোনো গুলি পাইনি।
জানতে চাইলে চরজব্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. ওমর ফারুক অভিযোগ নাকচ করে বলেন, গুলির বিষয়টি ডাহা মিথ্যা।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, এ ধরনের একটা রোগী এসেছে। এক্স-রে না করা পর্যন্ত গুলি করা হয়েছে কিনা বলা যাচ্ছে না। এখনো এক্স-রে রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। চরজব্বর থানার ওসি দেবপ্রিয় দাশ বলেন, এ ধরনের একটা ঘটনা তিনি শুনেছেন। তবে কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।