সাজেক যাওয়ার পথে ঢাবি ছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ, পরে উদ্ধার
ঢাবি ও রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র সাজেক যাওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা-সাজেক সড়কের শিজকছড়া থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। প্রায় ৭ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। অর্মি ও পুলিশের ব্যাপক অভিযানের মুখে দুর্বৃত্তরা ছাত্রীকে সাজেক ইউনিয়নের ছয়নালছড়া নামক মোন এলাকায় রেখে যায়। ওই ছাত্রীর নাম দিপিতা চাকমা। তিনি ঢাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। থাকেন রোকেয়া হলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান ছাত্রী উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ রাজুও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, লোকপ্রশাসন বিভাগের বার্ষিক ট্যুরে বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ৪০ জনের একটি দল মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গামাটির সাজেকের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। পথে বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শিজকছাড়া এলাকায় অতর্কিত তাদের গাড়ি আটকায় একদল দুর্বৃত্ত। এরপর তারা দিপিতাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযানে নামে আর্মি ও পুলিশ। অভিযানের মুখে একটি পাহাড়ি গ্রামে দিপিতাকে ছেড়ে দিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে ওই এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে সাজেক থানা পুলিশ। কী কারণে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল তা জানা যায়নি। দিপিতা খাগড়াছড়ি জেলা সদরের শীতেজ বিকাশ চাকমার মেয়ে।
দিপিতার সহপাঠী নিয়ামুর রহমান বলেন, সাজেকে যাওয়ার পথে দুপুরে আমাদের বাসের গতিরোধ করে একটি সশস্ত্র দল। সেখান থেকে দিপিতা চাকমাকে তারা জোর করে তুলে নিয়ে যায়। আমরা বাধা দিলে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
লোকপ্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান জানিয়েছেন, তাদের ছাত্রী উদ্ধার হয়েছে। এর আগে বিকালে তিনি বলেছিলেন, ‘মেয়েটা রেসকিউ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। যারা অপহরণ করেছে তারা ছাত্রীর মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা মা-বাবার কাছেই দিপিতাকে হ্যান্ডওভার করবে। কোনো বাঙালির কাছে নয়। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আর্মি-পুলিশ সবাই অ্যাকশনে আছে। আমরা বিভাগ থেকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। মেয়েটা সেফ আছে। মা-বাবার সঙ্গে মেয়েটার কথা হয়েছে।’
আর প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমরা আমাদের শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে সব প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। যেহেতু এটি একটি দুর্গম পাহাড়ি এলাকা; তাই একটু সময় লাগছে। আশা করছি তাকে দ্রুত উদ্ধার করতে পারব।’