Logo
Logo
×

শেষ পাতা

সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী

সাংবাদিকতায় যেন বাধা না হয় খেয়াল রাখব

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সাংবাদিকতায় যেন বাধা না হয় খেয়াল রাখব

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বা সাংবাদিকতা করতে যেন বাধা সৃষ্টি না হয় আমরা সেদিকে খেয়াল রাখব। এক্ষেত্রে যেন একটি চেক অ্যান্ড ব্যালান্স থাকে-সেদিকে কঠোরভাবে নজর দেওয়া হবে। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) আয়োজিত ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন বিষয়ে বিএফইউজের উপস্থাপনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, অনেকেই সাংবাদিক সেজে অপরাধ করেন। কিন্তু প্রকৃত সাংবাদিক ও সাংবাদিক সেজে অপরাধ করাটা এক নয়। এর মধ্যে বড় পার্থক্য আছে। সেই পার্থক্য যেন আমরা সবাই বুঝি-সেই অনুরোধ থাকবে। সাংবাদিক সমাজের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যেন এ আইনটা (সাইবার নিরাপত্তা আইন) ভালোভাবে পরিচালনা করা যায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, আজ (মঙ্গলবার) এ বিলটা সংসদে উপস্থাপনের পর সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে হয়তো চার থেকে পাঁচ দিনের জন্য থাকবে।

সাংবাদিকদের অংশগ্রহণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি গতকালও (সোমবার) আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে আপনাদেরও যাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়, সে ব্যাপারে বলেছি। তিনি আমাকে মৌখিকভাবে আশ্বস্ত করেছেন, সেখানে আপনাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করলে বাদীকে সাজা দেওয়ার বিধান রাখার ব্যাপারে কাজ চলছে। এটার জন্য যা করা দরকার, তা নিয়ে আজই কথা শেষ করে ফেলব। এটা আমি আপনাদের (সাংবাদিক) আশ্বস্ত করে গেলাম। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মামলা শেষ করার বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখবেন জানিয়ে তিনি বলেন, মামলা হলে তা একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হওয়া উচিত। সাংবাদিকদের এ দাবির সঙ্গে আমিও একমত। এটার জন্য সাইবার ট্রাইব্যুনাল আছে, সেখানে আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে ব্যবস্থা নেব।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন : সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বিবৃতি-সংক্রান্ত বক্তব্য দিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন বলে জানান আইনমন্ত্রী। আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ডিএজি (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল)। তিনি যদি সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন তাহলে তাকে হয় পদত্যাগ করে বা অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি নিয়ে কথা বলা উচিত। তিনি সেটি করেননি। তখন সাংবাদিকরা জানতে চান, তাহলে এখন কী হবে? জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি দেখব।

সাইবার নিরাপত্তা আইন যেন দেশকে জেলখানা না বানায় : এর আগে অনুষ্ঠানে প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সংশোধনের দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা। তারা বলেন, সংবাদকর্মীরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কোনো কোনো ধারার খপ্পরে আগেও যেমন পড়েছেন, প্রস্তাবিত আইনটি পাশ হলে এবারও রেহাই মিলবে না। তারা আরও বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন সময়ের দাবি। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, সেই আইন দেশকে স্বর্গরাজ্য না বানাক, জেলখানা যাতে না বানায়। সেটিই সাংবাদিক সমাজের প্রত্যাশা।

অনুষ্ঠানে অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকতায় ঝুঁকি থাকবে। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে কোনোদিন সাহসী, সুষ্ঠু সাংবাদিকতা হতে পারে না। তাই অনুরোধ থাকবে, কোনো আইন যেন সাংবাদিকদের অধিকার, মর্যাদা ও পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার বাধাগ্রস্ত না করে।

অনুষ্ঠানে শুরুতে বিএফইউজের পক্ষ থেকে চার পৃষ্ঠার পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ আইনমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদসহ বর্তমান ও সাবেক নেতারা। সভায় পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশগুলো উপস্থাপন করেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল।

বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব দীপ আজাদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, বর্তমান সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম