বিকল্প আরও ৯ দেশ থেকে আসছে পেঁয়াজ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও ৯টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। দেশগুলো হলো-চীন, পাকিস্তান, মিসর, তুরস্ক, কাতার, মিয়ানমার, নেদারল্যান্ড, ইউএই ও থাইল্যান্ড।
এই দেশগুলো থেকে আমদানির জন্য অনুমতিপত্র বা আইপি অনুমোদন নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রাথমিক তথ্য মতে, ১৩ লাখ ৭৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশে এসেছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার টন। বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এদিন (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত চীন থেকে ২ হাজার ৪০০ টন, মিশর থেকে ৩ হাজার ৯১০ টন ও পাকিস্তান থেকে ১১ হাজার ৮২০ টন আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার ১ হাজার ১০০ টন, তুরস্ক থেকে ২ হাজার ১১০ টন, মিয়ানমার থেকে ২০০ টন, থাইল্যান্ড থেকে ৩৩ টন, নেদারল্যান্ডস থেকে ৪ টন ও ইউএই থেকে ৩ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত পেয়াজ রফতানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর দেশের বাজারে দাম হু হু করে বাড়ছে। দাম আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় বিকল্প দেশ থেকে দ্রুত আমদানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ভারত থেকে সাড়ে ১৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এর বিপরীতে দেশে এসেছে তিন লাখ ৭৫ হাজার টন। ভারত সরকার শুল্কহার বৃদ্ধির কারণে সেখান থেকে আমদানি কিছুটা ধীর হয়েছে। এই শুল্কহারে কেজিতে আমদানি ব্যয় বাড়বে সাড়ে ছয় টাকা, কিন্তু দেশের বাজারে সেই পেঁয়াজ আসার আগেই পূর্বে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, নতুন সাত দেশ থেকে পেঁয়াজ কনটেইনার জাহাজে আসবে। ভিড়বে চট্টগ্রাম বন্দরে। সেখান থেকে পাইকারি বাজার হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছবে। এসব পেঁয়াজ দেশে আসতে ১৫ দিন লাগতে পারে।
পেঁয়াজ আমদানিকারকরা জানান, অনেক সময় বিদেশি সরবরাহকারীদের সঙ্গে দেশের আমদানিকারকদের ভালো বোঝাপড়া থাকলে ঋণপত্র খোলার আগেও পেঁয়াজ জাহাজীকরণ করা হয়। এতে আরও কম সময়ে পেঁয়াজ দেশে এসে পৌঁছে। আমদানি করা পেঁয়াজ এলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।