ছিনতাইকারীর সঙ্গে গোলাগুলি
কক্সবাজারে সাত পুলিশ আহত
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কক্সবাজারে শুক্রবার ভোরে ছিনতাইকারীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি হয়েছে। এতে পরিদর্শকসহ সাত পুলিশ আহত হয়েছেন। এ সময় অস্ত্রসহ তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনে সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান।
গ্রেফতাররা হলো, জসিম উদ্দিন সোহেল ওরফে সোহেল রানা, আব্দুর রাজ্জাক ওরফে আজিজ ও মোহাম্মদ এহসান ওরফে লালু।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস, উপপরিদর্শক শাকিল হাসান, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, মাসুম ফরহাদ ও সৈয়দ সফিউল করিম এবং কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম ও মো. মেহেদী হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে এএসপি মিজানুর জানান, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র শেখ সামির ইসলাম বাড়ি ফেরার পথে শহরের সার্কিট হাউজ সড়কের ম্যাজিস্ট্রেট কলোনির সামনে ছিনতাইয়ের শিকার হন। এ ঘটনায় বুধবার সামিরের মা অজ্ঞাতপরিচয় চার ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এরই সূত্র ধরে শুক্রবার ভোরে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ মুহুরীপাড়ার হেফাজত উদ্দিনের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছিনতাইকারীরা পালানোর চেষ্টা করে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আÍরক্ষার্থে পুলিশও পালটা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে পুলিশ
ছিনতাইকারী জসিম উদ্দিন ওরফে সোহেল রানাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে গ্রেফতারদের দেহ তল্লাশি করে একটি বন্দুক ও তিনটি ছোরা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার সোহেল রানার হাতে ও পেটে গুলি লাগে, আর পুলিশের এক পরিদর্শক, চার উপপরিদর্শক ও দুই কনস্টেবল আহত হন। সবাই কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এএসপি আরও জানান, গ্রেফতাররা সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সদস্য। দলটির প্রধান জসিম উদ্দিন সোহেল ওরফে সোহেল রানা। তারা শহরের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল। জসিমের বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ ১০টির বেশি মামলা রয়েছে। গ্রেফতার তিনজনের বিরুদ্ধে পৃথক আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে।