পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলের একাংশ। শনিবার পুরান ঢাকার হোসনি দালান এলাকায় -যুগান্তর
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শনিবার দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হয়েছে। কারবালার শোকাবহ এবং হৃদয়বিদারক ঘটনাবহুল এই দিনটি বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
সারা দেশে মুসলমানরা আশুরা উপলক্ষ্যে সিয়াম সাধনা, কুরআনখানি, নফল ইবাদত, মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন। মসজিদে মসজিদে আশুরার তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিয়া সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল বের করেন।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, পবিত্র আশুরার মহান শিক্ষা আমাদের সবার জীবনে প্রতিফলিত হোক-এ প্রত্যাশা করি। প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, হিজরি ৬১ সালের ১০ মহররম মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) ও তাঁর পরিবারবর্গ কারবালা প্রান্তরে শাহাদতবরণ করেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তাঁদের এই আত্মত্যাগ মুসলিম উম্মাহর জন্য এক উজ্জ্বল অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শনিবার দুপুর দেড়টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক এক আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আলোচকরা ইমাম হোসাইন (রা.)-এর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন।