Logo
Logo
×

শেষ পাতা

ভিডিও ফুটেজ দিয়ে পুনঃভোট চাইলেন হিরো আলম

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ভিডিও ফুটেজ দিয়ে পুনঃভোট চাইলেন হিরো আলম

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ‘জাল ভোট ও অনিয়ম’ হয়েছে দাবি করে পুনঃনির্বাচন দাবি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) তিনি জাল ভোটের ভিডিও ফুটেজও জমা দিয়েছেন। একইসঙ্গে তাকে নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে শপথ না পড়ানোর দাবি জানান তিনি। এ ব্যাপারে রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন। কমিশন থেকে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, এ নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশের জন্য ইসি রোববার পর্যন্ত সরকারি ছাপাখানায় পাঠায়নি। তবে তা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বিচারিক তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাব তুলেছে ইসি সচিবালয়। ওই বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন।

১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরাফাত ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। আর হিরো আলম পান ৫ হাজার ৬০৯ ভোট। গেজেট প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে হিরো আলম বলেন, সেদিন তারা (আওয়ামী লীগ) জাল ভোট দিয়েছে। ‘১২ থেকে ১৩ বছরের ছেলেমেয়েরা ভোট দিচ্ছে’-এমন ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে আছে। একটা মেয়ে ১০ থেকে ১৫টা ভোট দিয়েছে। তাদের জোর করে ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। সেই ভিডিও ফুটেজ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে জমা দিয়েছি। আমরা এ ফলাফল বাতিল চাই। পুনরায় নির্বাচনের জন্য এখানে এসেছি জানিয়ে তিনি বলেন, রিটার্নিং অফিসার আমাকে বলেছেন-সিইসি বরাবর চিঠি দিতে পারেন। এজন্য এখানে (ইসি) আপিল করলাম। আপিলের শুনানি দেখার অপেক্ষায় আছি।

হিরো আলম বলেন, স্পিকার ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে বিনীত অনুরোধ করব-আরাফাত ভাই যেন শপথ নিতে না পারেন। কারণ সাক্ষী-প্রমাণের ওপর সবকিছু নির্ভর করে। ভিডিও ফুটেজ আপনারা সবাই দেখবেন। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না দাবি করে তিনি বলেন, এ সরকারের অধীনে তিনটা নির্বাচন করলাম। ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়ে মার খেয়েছি। ২০২৩ সালে বগুড়ায় উপনির্বাচন করে সেখানেও মার খেলাম। এবার ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচন করেও মার খেলাম। তাহলে এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কিভাবে আশা করি?

মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্যই নির্বাচনে তার অংশ নেওয়া মন্তব্য করে হিরো আলম বলেন, ‘এ সরকারের অধীনে কতটা সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তা জনগণের কাছে তুলে ধরতে অন্যায়ের প্রতিবাদের মশাল হিসাবে কাজ করতে চাই। এর বাইরে আর কিছু নয়।’

ভোটের দিন তার ওপর হামলার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেয়নি মন্তব্য করে হিরো আলম বলেন, ‘তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) আমায় নিরাপত্তা দেয়নি। জীবন বাঁচানোর জন্য আমি যখন বিজিবির গাড়ির পাশে গেলাম একটা লোকও কিন্তু নামেননি। ডিএমপি কমিশনার ফারুক সাহেবের কথা দুঃখজনক ও ব্যথাজনক। কারণ তারা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতা অর্জন করছে। পুলিশ আমাকে কোনোদিনই নিরাপত্তা দিতে পারেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারা (পুলিশ) বলেছে নিরাপত্তা ভেতরে দেবে, বাইরে দেবে না-এটা ভুল ধারণা। কারণ সারা বাংলাদেশে পুলিশ নিরাপত্তা দেবে-এটাই পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের দায়িত্ব ছিল ঢাকা-১৭ আসনের পুরো এলাকার নিরাপত্তা দেওয়া। তাদের উচিত ছিল-আমাকে সসম্মানে কেন্দ্রের ভেতর থেকে বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া।’

ইসিতে জমা দেওয়া হিরো আলমের অভিযোগে বলা হয়েছে-ভোটগ্রহণ শুরুর ১ ঘণ্টার মধ্যে একতারা প্রতীকের ৮৮ জন এজেন্টকে ১৯টি ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ব্যাপক জাল ভোট দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ভোটের দিনই ই-মেইলে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, নির্বাচনের দিন বেলা ৩টায় বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে ভোটগ্রহণ পরিদর্শনে গেলে সরকারদলীয় ক্যাডাররা আমাকে মারধর করে; যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ওই ঘটনার পর বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে ভোটগণনা করা হয়েছে, যা নির্বাচনবিধির সম্পূর্ণ পরিপন্থি।’ এ নির্বাচন বিধিসম্মত হয়নি। প্রহসনের নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে পুনঃনির্বাচনের দাবি করছি। একইসঙ্গে আমার প্রতিপক্ষকে নির্বাচন বিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে তার বিরুদ্ধে যথাবিহিত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম