Logo
Logo
×

শেষ পাতা

মিয়ানমারে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের রেশন বন্ধ করল ইউএনএইচসিআর

Icon

জসিম উদ্দিন, কক্সবাজার

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মিয়ানমারে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের রেশন বন্ধ করল ইউএনএইচসিআর

ফাইল ছবি

স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের রেশন (খাবার) সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে দাতা সংস্থা ইউএনএইচসিআর। এতে নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে উখিয়ার ট্রানজিট ক্যাম্পে আসা চারটি পরিবারের নারী, শিশুসহ ২৩ জন খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে রোহিঙ্গাদের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে চলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে ২৪ মে ভাসানচর থেকে ২৩ জন রোহিঙ্গা উখিয়ার ট্রানজিট ক্যাম্পে উঠেন। মিয়ানমারে চলে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা পরিবারগুলো হলো-আমির হোসেন, স্ত্রী নাসিমা, সন্তান রাবেয়া বসরী, উমেন আরা ও রাকিবুল হাসান; মোহম্মদ হাসান, স্ত্রী তাইয়েবা, সন্তান ইয়ারি জান, ইয়াসমিন আক্তার, পারভিন আক্তার, রবিউল আলম ও মোহাম্মদ ইউসুফ; হোসান জোহার, স্ত্রী তছমিন আরা, সন্তান রসিদা বেগম, সাহিনা আকতার, আকতার ফারুক; মোহম্মদ হাসান, স্ত্রী ফাতেমা খাতুন, সন্তান সারা খাতুন, রমিদা খাতুন, মোহাম্মদ ইউনুস ও মোহাম্মদ ইউসুফ।

প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই মিয়ানমারে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের খাবার (রেশন) সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইউএনএইচসিআর। এতে আমরা চরম বেকায়দায় পড়েছি। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে যাক আর না যাক, খাবার পাওয়া প্রত্যেকের অধিকার। তিনি আরও বলেন, সোমবার সকাল ও দুপুরে আমাদের (সিআইসি) অফিস থেকে খাবার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাতে কোথা থেকে খাবার দেব, তা আমি জানি না। বিষয়টি ইউএনএইচসিআর-এর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হলেও কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে জানতে ইউএনএইচসিআর-এর দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাউকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে ইউএনএইচসিআর-এর রেশন বন্ধ করা নিয়ে নেতিবাচক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মিয়ানমারে ফিরে যেতে রোহিঙ্গাদের রাজি করানোর দায়িত্ব থাকা সংশ্লিষ্টদের মাঝে অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, খাবার বন্ধ করা নিয়ে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গা নেতারা বলছেন, এমন অবস্থার সৃষ্টি হলে প্রত্যাবাসনে রাজি করানো খুবই কষ্ট হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম