মাদারীপুরের শিবচরে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় এক তরুণীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় রোববার রাতে মামলা হলে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানাতে অসম্মতি জানিয়েছে পুলিশ।

৮ মে শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের পদ্মার চরের তাহের শিকদারের কান্দি এলাকায় ওই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মেয়েটির বাবা জানান, হতদরিদ্র হওয়ায় ভয়ে প্রথমে মামলা করতে থানায় যাননি তিনি। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা অভয় দিলে রোববার রাতে থানায় গিয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার বিবরণ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিবচরের বন্দরখোলা ইউনিয়নের মোছলেম মৌলভীর কান্দির এক হতদরিদ্র পরিবারের তরুণী ৮মে বিকালে স্থানীয় শিকদারহাট বাজারে যায়। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যায় শিকদারহাট বড় ব্রিজের ওপর আড্ডায় থাকা কয়েকজন বখাটে মেয়েটির গতিরোধ করে তার মোবাইল নম্বর চায়। নম্বর না দিয়ে মেয়েটি হাঁটতে থাকলে পিছু নেয় বখাটেরা। নির্জন স্থানে পৌঁছলে পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে পাশের পাট খেতে নিয়ে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনা কাউকে না জানাতেও হুমকি দেয় তারা। ৬ দিন পর রোববার রাতে চার বখাটেদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এরা হলো-বন্দরখোলা ইউনিয়নের বাক্কাস মোল্লার ছেলে হাসান মোল্লা, লাল মিয়া শিকদারের ছেলে মেহেদী শিকদার, আবু খালাসীর ছেলে সাগর খালাসী ও ফালান শেখের ছেলে আল আমিন শেখ ওরফে জিলা শেখ। শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মামলার পরই আমরা অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করেছি। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।