ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল লিটারে সর্বোচ্চ ১৮ টাকা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ভোজ্যতেলের দাম লিটারে সর্বোচ্চ ১৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম মোল্লার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতি লিটার ১১৭ টাকা দরের খোলা পাম সুপার তেল ১৮ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে এ দাম ছিল ১৮৭ টাকা। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭৬ টাকা, যা আগে ১৬৭ টাকা ছিল।
সেক্ষেত্রে নতুন করে দাম বাড়ানো হয়েছে ৯ টাকা। পাশাপাশি ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯০৬ থেকে ৯৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এই নতুন দাম বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে ভোজ্যতেল বিপণনকারী সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা জানান, ভোজ্যতেলের আমদানিতে সরকারের ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ এপ্রিল শেষ হওয়ায় এই নতুন দাম সমন্বয় করা হয়েছে। কারণ, এখন থেকে ভোজ্যতেলের কাঁচামালের ওপর আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে পণ্য খালাস করতে হবে। এছাড়া উৎপাদন পর্যায়েও ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে বাজারে ভোজ্যতেল সরবরাহ করতে হবে। সেক্ষেত্রে ভ্যাট মওকুফ না করলে দাম বৃদ্ধি ছাড়া আর কোনো গতি নেই।
এদিকে দাম বৃদ্ধির পর রাজধানীর খুচরা বাজারে সকালে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৮৫-১৯০ টাকায় বিক্রি হলেও বিকালে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বিক্রেতারা মূল্যবৃদ্ধির খবর জানার পর থেকেই আগে কম দামে কেনা সয়াবিন তেল বেশি মূল্যে বিক্রি করেছেন। বুধবার যেসব দোকানে তেল ছিল না, তারা দাম বৃদ্ধির পর তেল বের করে বেশি মূল্যে বিক্রি করেছেন।
রামপুরা কাঁচাবাজারে পণ্য কিনতে আসা মো. ইকবাল বলেন, কোনো পণ্যের দাম কমলে বিক্রেতারা পণ্যের দাম সঙ্গে সঙ্গে কমায় না। কিন্তু পণ্যের দাম বাড়লে সঙ্গে সঙ্গে মূল্য বাড়িয়ে বিক্রি করে। এবারও এটাই করা হয়েছে। এগুলো দেখার জন্য যেসব তদারকি সংস্থা আছে, তাদের ভূমিকা বাড়াতে হবে।
জানতে চাইলে ভোক্তার স্বার্থ নিয়ে কাজ করা কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, এখন বাজার ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানোর সময় এসেছে। কোন কোন পণ্যের দাম বেড়েছে এবং কী করে এই দাম সহনীয় করা যায়, এর একটি তালিকা করা খুব বেশি দরকার।
যেসব পণ্যের ভ্যাট কমানো দরকার, তা করা উচিত। পাশাপাশি বাজারে তদারকি জোরদার করতে হবে। অসাধুপন্থায় কেউ পণ্যের দাম নিয়ে কারসাজি করলে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এতে ভোক্তার উপকার হবে।