Logo
Logo
×

শেষ পাতা

বদলির পরও বিদেশ ভ্রমণে আরডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান

প্রকল্প শেষ হলেও নগর পরিকল্পনা দেখতে যান ৮ কর্মকর্তা

Icon

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বদলির পরও বিদেশ ভ্রমণে আরডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান

ফাইল ছবি

রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) চেয়ারম্যানের পদ আনওয়ার হোসেন ৮ জানুয়ারি ছেড়েছেন। এর কয়েকদিন পর বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক পদে তিনি যোগদানও করেছেন। কিন্তু আরডিএ ছেড়ে গেলেও প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ কর্মকর্তার সঙ্গে আনওয়ার ৬ ফেব্রুয়ারি এক সপ্তাহের থাইল্যান্ড ভ্রমণে গেছেন। যদিও বিদেশ ভ্রমণে তার সরকারি কোনো ছাড়পত্র নেই।

অতিরিক্ত সচিব আনওয়ার হোসেনকে গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। তবে নানা তদবির করে তিনি ওই বদলি বাতিল করান এবং টালবাহানা করে আরডিএতে থেকে যান। এরপর তাকে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক পদে বদলি করা হয়। বদলির ৩ মাস ২৬ দিন পর আনওয়ার নতুন চেয়ারম্যান যুগ্ম সচিব জিয়াউল হকের কাছে তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। সাবেক চেয়ারম্যান আনওয়ারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ডেভেলপারদের সঙ্গে তার গোপন লেনদেন ও সরকারি প্লট বাগিয়ে নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আরডিএ ছেড়ে গেলেও আনওয়ার হোসেন আরডিএ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে কার্পণ্য করেননি। আরডিএর ছয় মাস আগে সমাপ্ত প্রকল্পের আওতায় সরকারি খরচে তিনি থাইল্যান্ড ভ্রমণে গেছেন। ভ্রমণে গেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তাও। জানা গেছে, প্রকল্প থেকে প্রত্যেককে ৬ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, কয়েক বছর আগে আরডিএ ২৪ বছর মেয়াদি দ্বিতীয় মাস্টার প্ল্যান প্রকল্প নেয়। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২২ সালের ৩০ জুন প্রকল্প শেষ করা হয়। এ প্রকল্পের ব্যয় ২২ কোটি টাকা ধরা হয়েছিল। তবে মাস্টার প্ল্যানে ১৮ কোটি টাকা খরচ দেখানো হয়। বরাদ্দ চার কোটি টাকা খরচ হয়নি। এ প্রকল্প থেকে ৪৮ লাখ টাকা তুলে আট কর্মকর্তা বিদেশ ভ্রমণে বের হয়েছেন। এ প্রকল্পের আওতায় বিদেশে নগর পরিকল্পনা দেখতে আরডিএর সাবেক চেয়ারম্যানসহ ছয়জন এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তা বিদেশ ভ্রমণের বিষয়টি সংযুক্ত ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে প্রকল্প চলাকালে কেউ বিদেশ ভ্রমণে যেতে পারেননি। তাই প্রকল্প শেষ হওয়ার পর তারা বিদেশ ভ্রমণে বের হয়েছেন। থাইল্যান্ড ভ্রমণে যাওয়া আরডিএ’র কর্মকর্তাদের মধ্যে আরও রয়েছেন-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম রহমতুল্লাহ, মাস্টার প্ল্যান প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও নগর পরিকল্পক প্রকৌশলী আজমেরি আশরাফী, এস্টেট অফিসার বদরুজ্জামান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল্লাহিল তারিক, সহকারী টাউন প্ল্যানার রাহেনুল হক রনি। এছাড়া গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তা রয়েছেন। চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি তারা দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

প্রকল্পের বিদেশ ভ্রমণ দফায় বলা হয়-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উন্নত দেশের নগর পরিকল্পনা স্বচক্ষে দেখে সেই জ্ঞান মাস্টার প্ল্যানে প্রয়োগ করবেন। প্রকল্প শেষ হওয়ার সাত মাস পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের জ্ঞান কীভাবে প্রয়োগ করা হবে। সরকারি টাকায় বিদেশ ভ্রমণের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা সংকটে প্রকল্পের আওতায় বিদেশ ভ্রমণের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরডিএ’র নতুন চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বলেন, গত মাসে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছি। বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানি না। তবে এ ব্যাপারে তিনি খোঁজ নেবেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম