দেবর গ্রেফতার
কাশিয়ানীতে গাছে বেঁধে আগুন দেওয়া সেই নারীর মৃত্যু
কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে গাছে বেঁধে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া নারী সুফিয়া বেগম (৫০) মারা গেছেন।
বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। কাশিয়ানী থানার ওসি ফিরোজ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ওই নারীর দেবর অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য লিয়াকত মোল্যাকে (৫০) গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাশিয়ানী থানার এসআই দেওয়ান সাদেকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রাজধানীর কদমতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারীর ভাই আকতার হোসেন কাশিয়ানী থানায় লিয়াকত আলীসহ দু’জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনের নামে একটি মামলা করেন।
কাশিয়ানী থানার ওসি বলেন, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকার নেতৃত্বে একদল পুলিশ কাশিয়ানী থানায় অবস্থান করে আসামির লোকেশন ট্র্যাকিং করে। তারপর তাকে গ্রেফতারে ঢাকা অভিযানরত কাশিয়ানী থানা পুলিশ টিমকে তিনি নির্দেশনা দেয়। সন্ধ্যায় ওই টিম আসামি লিয়াকতকে ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। ঘটনার সাড়ে ৮ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত লিয়াকতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। লিয়াকতকে রাতেই কাশিয়ানী থানায় আনা হয়েছে। বুধবার তাকে গোপালগঞ্জের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের বাঘঝাপা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে বাড়ির উঠানের পেয়ারা গাছের সঙ্গে বেঁধে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ ওঠে দেবর লিয়াকত মোল্যার বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা তাকে কাশিয়ানী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। আগুনে ওই নারীর শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে যায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।