
প্রিন্ট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৩ পিএম

আইটি ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নীতির কারণে বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি বিলিয়নেয়াররা। নির্বাচনি প্রচারণা ও অভিষেক অনুষ্ঠানে যারা ট্রাম্পকে মোটা অঙ্কের অনুদান দিয়েছিলেন, তারাই আজ অর্থনৈতিক দিক থেকে বিপর্যস্ত।
ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষিত নতুন শুল্ক ‘লিবারেশন ডে’ কর্মসূচি হিসাবে চিহ্নিত হলেও এর প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বজুড়ে টেক কোম্পানিগুলোর শেয়ারবাজারে ধস নামে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা নাগাদ পূর্বাঞ্চলীয় সময় অনুযায়ী, মেটার শেয়ারদর কমেছে ৮.৯৬ শতাংশ, অ্যামাজনের ৮.৯৮ শতাংশ, গুগলের ৩.৯২ শতাংশ এবং অ্যাপলের ৯ শতাংশ।
হোয়াইট হাউজের উপদেষ্টা ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারের দাম কমেছে ৫.৪৭ শতাংশ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর শেয়ার হারিয়েছে ৮.১৪ শতাংশ। এ ধসের ফলে মেটাপ্রধান মার্ক জাকারবার্গ ব্যক্তিগতভাবে হারিয়েছেন প্রায় ১৭৯ কোটি ডলার, জেফ বেজোসের সম্পদ কমেছে ১,৬০০ কোটি ডলার, আর মাস্কের ক্ষতির পরিমাণ ৮৭০ কোটি ডলার। ফোর্বস।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ারস ইনডেক্স জানায়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৫০০ জনের সম্মিলিত সম্পদ কমেছে প্রায় ২০,৮০০ কোটি ডলার। এটি ইনডেক্সের ১৩ বছরের ইতিহাসে চতুর্থ বৃহত্তম একদিনের ক্ষতি।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট একে ‘ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন সমস্যা’ হিসাবে উল্লেখ করে জানান, প্রযুক্তি কোম্পানির শেয়ার মূল্যের এ পতন মূলত এআই হাইপ ও অতিমূল্যায়নের বাস্তব প্রতিফলন। উল্লেখ্য, ‘ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন’ বলতে বোঝানো হয় অ্যাপল, অ্যামাজন, টেসলা, অ্যালফাবেট, মাইক্রোসফট, মেটা ও এনভিডিয়ার মতো কোম্পানিগুলোকে।
অবাক করার মতো হলেও সত্য, এ কোম্পানিগুলোর বেশিরভাগই ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনের সময় তার প্রচারণায় অর্থায়ন করেছিল। ইলন মাস্ক একাই অনুদান দিয়েছিলেন ২৯ কোটি ডলারের বেশি। মেটা ও অ্যামাজন ট্রাম্পের অভিষেকে দিয়েছিল ১০ লাখ ডলার করে এবং অ্যাপল সিইও টিম কুক ব্যক্তিগতভাবে সমান অঙ্কের অর্থ সহায়তা দেন।
প্রযুক্তিপ্রধানদের প্রত্যাশা ছিল, ট্রাম্প প্রশাসন এআই ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং সরকারি নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে দেবে। কিন্তু শুল্কনীতির কারণে এখন তাদের সেই আশার মুখে ছাই পড়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এ ধাক্কা টেকনোলজি দুনিয়ার জন্য একটি বড় বার্তা, রাজনৈতিক বিনিয়োগ সব সময় প্রত্যাশা মাফিক ফল আনে না।