আইসিটি রিফর্ম রোডম্যাপের খসড়া প্রকাশ মতামত দিতে পারবেন বিশেষজ্ঞরা
ন্যাশনাল ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্ট্র্যাটেজি এবং আইসিটি রিফর্ম রোডম্যাপের খসড়া প্রকাশ করেছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি ডিভিশন। ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আইসিটি রোডম্যাপের এ খসড়াটিতে জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা) প্রদত্ত বাস্তবায়ন কৌশল এবং ইউনেস্কোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট মেথডোলজি (এআই আরএএম) সামরিকে আমলে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের দেওয়া দশটি প্রস্তাবনাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আইসিটি ও টেলিকম বিভাগের নীতি উপদেষ্টা ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ খসড়াটি সম্পাদনা করেছেন। তিনি জানান, এতে ইউরোপীয় ইজিএ টিমের ই-গভর্নেন্স ইনসেপশন রিপোর্ট ডিরেকশনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর লক্ষ্য হলো দেশের ডিজিটাল অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করা এবং ডিজিটাল অর্থনীতিকে টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়া।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম দেশ ও বিদেশের বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের কাছে এ খসড়ার ওপর মতামত আহ্বান করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে এটিকে আরও পরিমার্জন ও সমৃদ্ধ করা হবে।
১৭১ পৃষ্ঠার এ খসড়ায় ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের জন্য ১০টি কৌশলগত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে :
-আন্তঃক্রিয়াশীল ডিজিটাল অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা
-সাইবার সুরক্ষা ও ডাটা সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করা
-আইসিটি বিভাগের সেবা পদ্ধতির পুনর্গঠন
-নাগরিক ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে ডিজিটাল সেবার বিস্তার
-ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশে উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেম তৈরি
-২০৩০ সালের মধ্যে ৭০-৮০ লাখ আইটি দক্ষ পেশাদার কর্মী তৈরি
-৫০ হাজার সাইবার সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ তৈরি
-পোশাক শিল্পে এআই ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দক্ষতা উন্নয়ন
এ রোডম্যাপ বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের ডিজিটাল খাতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।