প্রিয় নবির প্রিয় সুন্নাত
মুহাম্মাদ আল আমিন নূরী
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
মিসওয়াক করার সুন্নত পদ্ধতি জেনে নিন
মিসওয়াক করার সুন্নত পদ্ধতি হলো, ডান হাতে মিসওয়াক ধরে মুখের ডান দিক থেকে শুরু করা এবং ওপর থেকে নিচে মিসওয়াক করা। আড়াআড়িভাবে না করা। মিসওয়াক করার সময় দাঁতের ভেতর-বাইরেসহ মিসওয়াক করা এবং জিহ্বাও গোড়া পর্যন্ত মিসওয়াক করা। বসে কিংবা দাঁড়িয়ে উভয়ভাবেই মিসওয়াক করা বৈধ। মিসওয়াক ধরার পদ্ধতি হলো, ডান হাতের শাহাদত, মধ্যমা এবং অনামিকা অঙ্গুলি মিসওয়াকের ওপরে এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি সম্মুখ দিকের নিচে এবং কনিষ্ঠাঙ্গুলি নিুাংশের নিচে থাকবে। অর্থাৎ কনিষ্ঠা ও বৃদ্ধাঙ্গুলি মিসওয়াকের নিচে থাকবে। আর অন্যান্য অঙ্গুলি মিসওয়াকের ওপরে থাকবে। মিসওয়াক এক বিঘত পরিমাণ এবং কনিষ্ঠাঙ্গুলির মতো মোটা হওয়া সুন্নাত। ইমাম নববী (রা.) বলেন, মুস্তাহাব হলো-মধ্যমানের নরম ও মুখ পরিষ্কার করার যোগ্য যে কোনো ডাল ব্যবহার করা, যা ক্ষতিকর নয় এবং এর দ্বারা মুখ জখম বা রক্তাক্ত হয় না। রাসূল (সা.) পিলু গাছের ডাল দিয়ে মিসওয়াক করেছেন। খেজুর ও জয়তুন গাছের ডাল দিয়ে মিসওয়াক করার বর্ণনা বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত নয়। তাই পিলু গাছের ডাল দিয়ে মিসওয়াক করা উত্তম। এছাড়া তিক্ত স্বাদযুক্ত গাছের ডাল হলেও ভালো। মিসওয়াক কাঁচা ও নরম গাছের ডাল হওয়া উচিত। এতে মিসওয়াকের বাড়তি ফায়দা হাসিল হয়।
সর্বাবস্থায় মিসওয়াক করা সুন্নাত। কিন্তু পাঁচ সময় বেশি গুরুত্ব রাখে-
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়।
ওজু করার সময়।
কুরআন তেলাওয়াতের সময়।
ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর।
মুখের অবস্থা পরিবর্তন হওয়ার পর। এটা কোনো কিছু পানাহারের মাধ্যমে হতে পারে, দীর্ঘক্ষণ চুপ থাকার মাধ্যমেও হতে পারে, আবার দীর্ঘক্ষণ কথা বলার মাধ্যমেও হতে পারে।
এছাড়াও নিম্নোক্ত সময় মিসওয়াক করা সুন্নাত।
জুমআর দিন মিসওয়াক করা।
মসজিদে প্রবেশের সময়।
বাড়িতে প্রবেশের সময়।
ব্রাশ করলে মিসওয়াকের সুন্নাত আদায় হবে কিনা? মিসওয়াকের মাঝে দুটি বিষয় সুন্নাত। এক. মুখ পরিষ্কার হওয়া। দুই. গাছের ডাল হওয়া। তাই গাছের ডাল ছাড়া অন্য কিছুর মাধ্যমে দাঁত মাজলে একটি সুন্নাত (মুখ পরিষ্কার) আদায় হবে। অপরটি (ডাল হওয়া) আদায় হবে না। সুতরাং মিসওয়াক না থাকলে আঙুল বা শুকনা কাপড় দিয়ে কিংবা ব্রাশ করলে একটি সুন্নাত আদায় হবে।