Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

নবি মোর পরশমণি

নবি মোর সোনার খনি

Icon

মুহাম্মদ জহিরুল আলম

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নবি মোর সোনার খনি

মহান আল্লাহ নিজেকে প্রকাশ করার বাসনা থেকে বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করেন। সৃষ্টির শুরু থেকেই দয়াময় আল্লাহ প্রতিটি জাতির জন্য নবি-রাসূল প্রেরণ করেছিলেন। সর্বকালের, সর্বযুগের, সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব দয়াল রাসূল হজরত মুহাম্মাদ (সা.) হলেন সৃষ্টি জগতের জন্য রহমত, কল্যাণ ও হেদায়েতের মূল।

পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘হে রাসূল (সা.)! আমি তো আপনাকে জগৎগুলোর প্রতি কেবল রহমতস্বরূপই প্রেরণ করেছি।’ (সূরা আল আম্বিয়া ২১ : আয়াত ১০৭)। এমন মহামানবের শুভ আগমনের দিন সৃষ্টিজগতের জন্য রহমত, বরকত, মাগফিরাত বা ক্ষমা লাভের দিন।

দয়াময় আল্লাহ তাঁর সর্বোত্তম সৃষ্টি হজরত রাসূল পাক (সা.)কে হিজরিপূর্ব ৫৩ সালের ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার সুবেহ সাদেকের সময় এ পৃথিবীতে প্রেরণ করেন। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ নিজে ও তাঁর ফেরেশতারা নবির ওপর দরুদ পাঠ করেন। হে বিশ্বাসীরা! তোমরাও তাঁর ওপর দরুদ পাঠ করো এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে সালাম পেশ করো।’ (সূরা আল আহযাব ৩৩ : আয়াত ৫৬)।

অন্যত্র এরশাদ হচ্ছে, ‘হে রাসূল (সা.)! আমি আপনার জিকির বা স্মরণকে সর্বোচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত করেছি।’ (সূরা আল ইনশিরাহ ৯৪ : আয়াত ৪)। রাসূল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে বিশ্বময় শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

দয়াল রাসূল হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর ভুবনজুড়ে ছিল তাঁর উম্মতের জন্য কল্যাণ ও মুক্তির ভাবনা। সাহাবিরাও তাকে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। নিজ জীবনের ঝুঁকি নিয়েও হজরত আলী (রা.) হিজরতের সময় রাসূল (সা.)-এর বিছানায় শুয়ে ছিলেন। আমাদের জন্য বিষয়টি নবিপ্রেমের অনন্য শিক্ষা।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, ‘(হে হাবিব) আপনি বলে দিন, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও, তবে আমার অনুসরণ কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন, তোমাদের পাপগুলো ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।’ (সূরা আলে ইমরান-৩ : আয়াত ৩১)। দয়াল রাসূল (সা.)-এর ভালোবাসার মাধ্যমেই রহমত-বরকত লাভ হয়।

যারা আল্লাহর হাবিবকে ভালোবাসতে পেরেছেন, তারা আল্লাহকে ভালোবাসতে পেরেছেন। দয়াল রাসূলের আনুগত্য মানেই আল্লাহর আনুগত্য। তাই পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, অর্থাৎ ‘যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করল।’ (সূরা নিসা ৪ : আয়াত ৮০)।

হাদিসে কুদসিতে এরশাদ হয়েছে, অর্থাৎ ‘(হে হাবিব) আমি আপনাকে সৃষ্টি না করলে কোনো কিছুই সৃষ্টি করতাম না।’ (তাফসিরে মাজহারি ১০ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৮০)। দয়াময় আল্লাহ রাসূল (সা.)কে সবকিছুর ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন এবং আমাদের তাকে ভালোবাসতে বলেছেন।

মহান আল্লাহ কাছ থেকে রহমত, বরকত, মাগফিরাত বা ক্ষমা লাভের উত্তম সুযোগ রাসূল (সা.)কে নিজের জীবনে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখা। দয়াল রাসূল (সা.)-এর শুভ আগমনের মাস রবিউল আউয়াল, বারবার আমাদের রাসূল প্রেমের প্রেরণা দেয়।

লেখক : শিক্ষক, গবেষক ও প্রাবন্ধিক

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম