হাফছার এগিয়ে যাওয়ার গল্প
প্রবীর চক্রবর্তী, ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর)
প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
নিভৃত পল্লিতে জন্মগ্রহণ করা হাফছা আক্তার আজ সমাজের আলোকবর্তিকা। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা পেছনে রেখে শুধু নিজেকে জয় করেননি তিনি। তিনি এনে দিয়েছেন দেশকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। যেখানে প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, সেখানে তিনি নিজেই এখন জাতির মেরুদণ্ড ঠিক করতে শিক্ষকতার মহান পেশায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। হয়েছেন উপজেলা ও জেলার গণ্ডি পেরিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা। দুই সন্তানের গর্বিত মা হাফছার গল্প পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ নারীদের জন্য দৃষ্টান্ত, বললেন উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আমেনা বেগম। শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও স্কুলে পড়ার সময় প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে যখন তার পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল তখন আলোর বাহন হিসাবে পাশে দাঁড়ায় প্রতিবন্ধী সংগঠন বিপিকেএস, বর্তমানে যা চাঁদপুর ডিপিওডি নামে পরিচিত। তাদের সহযোগিতায় ২০০৫ সালে জাপানের নাগোয়া সিটিতে অনুষ্ঠিত ২১তম হ্যান্ডিম্যারাথন (হুইল চেয়ার) প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য মনোনীত হয় হাফছা। সেখানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১টি দেশের ২৫১ জন প্রতিযোগীর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হাফছা। ২০১৬ সালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসাবে নির্বাচিত হয়ে পর্যায়ক্রমে চাঁদপুর জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়েও শ্রেষ্ঠ জয়িতা হওয়ার গৌরব অর্জন করে হাফছা। বর্তমান কর্মস্থল চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। হাফছা জানান, ১৭ বছর ধরে শিক্ষকতার মহান পেশায় নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছি। জয়িতা নির্বাচিত হওয়ার পর আমার গল্প সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষকে বলেছি।