আমার বড়াপা ছিল এক অপরূপা। ওকে বিয়ে করার জন্য আমার পিতাকে রাজাকার ডেকেছিল
যুদ্ধফেরত একদল মুক্তিসেনা। আমি তখন ছুঁড়ি কুড়ি শ্যামাবতী। মুক্তিসেনা দেখি আর চমকাই
রাজাকার ডাকা মুক্তির চোখ বাঁচিয়ে বড়াপা রাতারাতি চলে গেল ভিনগাঁয়ের এক মাস্টারের বউ হয়ে
আমার অনামিকায় তখন গোঁয়ার এক মুক্তিসেনার অন্ধকারে পরানো নিষিদ্ধ আংটি দিনে লুকাই
রাতে পরি খোয়াবের লোবান জ্বলে মুখে, বুকে, ঊরু ও জঙ্ঘায়। রাজাকার ডাকা প্রতিশোধের সেনারা
মাফলারে পুরো মুখ ঢেকে জমা না দেওয়া অস্ত্রের মুখে আমাদের সোনাদানা কাঁসা পিতল
লুটে নিল শবেকদরের রাতে। আমার অনামিকার নিষিদ্ধ খোয়াব নাকি আমারই গোঁয়ারের কাছে
নামমাত্র দামে বেচতে চেয়েছিল পিতাকে রাজাকার ডাকা এক দুস্থ প্রেমিক মুক্তিফৌজ।