২ যুগে যুগান্তর
বিশিষ্টজনের শুভেচ্ছা বার্তা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী
স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমিকা রাখবে
দৈনিক যুগান্তর ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে ২৪ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা এবং দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে গণমাধ্যম। তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের যুগে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জন্মলগ্ন থেকেই দৈনিক যুগান্তর মহান জাতীয় সংসদের বিভিন্ন কার্যক্রম গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছে। ভবিষ্যতে দৈনিক যুগান্তর এই ধারা অব্যাহত রাখবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে পাঠক সমাজ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে সত্যকে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে পৌঁছে দিতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দর্শন প্রচারের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দৈনিক যুগান্তর অনন্য ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। পাশাপাশি নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে দৈনিক যুগান্তর জনগণের আস্থা অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।
দৈনিক যুগান্তরের ২৪ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে আমি এর উত্তরোত্তর কল্যাণ এবং সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক সফলতা কামনা করছি।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী
স্পিকার, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ
ওবায়দুল কাদের
গণতন্ত্রের চর্চা ও রক্ষায় অংশীদার
দৈনিক যুগান্তরের দুই যুগ পদার্পণ উপলক্ষ্যে যুগান্তর পরিবারের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিহার্য। মুক্ত বুদ্ধিচর্চার মাধ্যমে সংবাদপত্র একটি অগ্রসর জাতিগঠনে চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করে। দেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং একে অর্থবহ করে তোলার পাশাপাশি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায়ও গণমাধ্যম সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। জঙ্গিবাদ, অপসংস্কৃতি, মূল্যবোধের অবক্ষয়, ধর্মান্ধতা, মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস রোধে দৈনিক যুগান্তর বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়ে আদর্শ সমাজ গঠনে অগ্রপথিকের ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করি।
মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও দেশের জনগণের পক্ষে যেসব গণমাধ্যম সাহসিকতার সঙ্গে ভূমিকা পালন করছে, দৈনিক যুগান্তর তাদেরই একটি। গণতন্ত্রের চর্চা ও রক্ষায় গণমাধ্যমের নিরপেক্ষ ভূমিকা অনস্বীকার্য। দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে দেশের গণমাধ্যমগুলো। সেই ভূমিকায় দৈনিক যুগান্তরও অংশীদার ছিল। সামনের দিনে এ ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।
দৈনিক যুগান্তর জাতীয় ও তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, সমস্যা, সম্ভাবনা ও জনমতকে সবার সামনে তুলে ধরে আসছে। তুলে ধরছে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। সংস্কৃতির বিকাশেও দৈনিক যুগান্তর কাজ করছে। দেশ ও জাতির মনন ও মানস সমৃদ্ধ করতে তাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করি।
আমি দৈনিক যুগান্তরের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
ওবায়দুল কাদের, এমপি
মন্ত্রী, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়
রওশন এরশাদ
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অবদান অব্যাহত রাখবে
দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা ২৪ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে জেনে আমি সংবাদপত্রটির সম্পাদক, প্রকাশক ও পাঠকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। গণমাধ্যমকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং শোষণমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় গণমাধ্যম হিসাবে সংবাদপত্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমি মনে করি, মুক্তবুদ্ধিচর্চার মাধ্যমে সংবাদপত্র একটি অগ্রসরমান জাতি গঠনে নিয়ামক হিসাবে কাজ করতে পারে। অপসংস্কৃতি, মূল্যবোধের অবক্ষয়, ধর্মান্ধতা, মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস রোধে গণমাধ্যম বিশেষ করে সংবাদপত্র বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়ে একটি নিষ্কলুষ সমাজ গঠনে অগ্রপথিকের ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। দৈনিক যুগান্তর পত্রিকাটি বস্তুনিষ্ঠ এবং গঠনমূলক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে দেশে সুশাসন, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারা ত্বরান্বিত করতে তাদের অবদান অব্যাহত রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। পত্রিকাটি পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দেশ ও জাতির কথা বলে মাটি ও মানুষের আরও কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হবে এই প্রত্যাশা আমাদের সবার।
আমি আশা করব, দেশের কল্যাণে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে যুগান্তর আগামী দিনগুলোতেও স্বমহিমায় উদ্ভাসিত থাকবে। সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পথে যুগান্তরের অভিযাত্রা অব্যাহত থাকুক। আগামী দিনগুলোতেও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকাটির সাফল্য কামনা করি।
রওশন এরশাদ এমপি
বিরোধীদলীয় নেতা, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জনগণের পক্ষে
দেশের অন্যতম প্রধান জনপ্রিয় পত্রিকা ‘দৈনিক যুগান্তর’ ২৩ বছর পেরিয়ে ২৪ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পত্রিকার প্রকাশক, সম্পাদক, সাংবাদিক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সবাইকে আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। পাশাপাশি যুগান্তরের পাঠক, শুভানুধ্যায়ীদের বর্ষপূর্তির শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
দৈনিক যুগান্তর পাঠকপ্রিয় একটি পত্রিকা। সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে নানাধরনের প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও যুগান্তর বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে চেষ্টা করে। তাদের সংবাদ পরিবেশনা বৈচিত্র্যপূর্ণ। জনগণের বিভিন্ন ইস্যুতে সচেতন করার ক্ষেত্রেও যুগান্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। সমাজের অনিয়ম, দুর্নীতি, সুখ-দুঃখ, বৈষম্য, ঘটনা-দুর্ঘটনা রাষ্ট্রের মনোযোগ আকর্ষণে সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যম ভূমিকা পালন করে। সমাজ পরিবর্তনের জন্য সত্য কথা বলা অত্যন্ত জরুরি, এই সত্য বলা একটি শক্তি হিসেবে কাজ করে। যুগান্তর সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। বর্তমানে সমগ্রজাতি একটি কঠিন ও দুঃসময় অতিক্রম করছে। নানা কালাকানুনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং একইসঙ্গে মুক্তবুদ্ধি, বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আমরা সংগ্রামরত। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে গণমাধ্যম সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। চলমান সংগ্রামেও গণমাধ্যমের ভূমিকা জনগণ প্রত্যাশা করে। অতীতের মতো দৈনিক যুগান্তর স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জনগণের পক্ষে থাকবে, এই কামনা করি। দৈনিক যুগান্তর সংবাদ প্রকাশে দলমত নির্বিশেষে নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখবে, এটাই আমার বিশ্বাস। আমি যুগান্তর পত্রিকার সর্বাঙ্গীণ সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি
ড. হাছান মাহ্মুদ
মানুষের আরও কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হবে
দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ২৩তম বর্ষ পেরিয়ে ২৪তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। এদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কারিগর ও আধুনিক সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশে বিশ্বাসী।
সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদপত্রের ভূমিকা অত্যন্ত ব্যাপক ও গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তবুদ্ধি চর্চার মাধ্যমে সংবাদপত্র একটি অগ্রসরমান জাতি গঠনে মিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে। জঙ্গিবাদ, অপসংস্কৃতি, মূল্যবোধের অবক্ষয়, ধর্মান্ধতা, মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস রোধে গণমাধ্যম বিশেষ করে সংবাদপত্র বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়ে একটি নিষ্কলুষ সমাজ গঠনে অগ্রপথিকের ভূমিকা পালন করতে পারে।
দৈনিক যুগান্তর বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন এবং গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে দেশে সুশাসন, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারা ত্বরান্বিত করতে বিশেষ অবদান রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। পত্রিকাটি পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দেশ ও দশের কথা বলে মাটি ও মানুষের আরও কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হবে-এ প্রত্যাশা আমাদের সবার।
আমি দৈনিক যুগান্তরের উত্তরোত্তর সাফল্য ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।
ড. হাছান মাহ্মুদ, এমপি
মন্ত্রী, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়
গোলাম মোহাম্মদ কাদের
ন্যায়ের পক্ষে নির্ভীক সাংবাদিকতার প্রতীক
১ ফেব্রুয়ারি দেশের জনপ্রিয় গণমাধ্যম দৈনিক যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ২৪তম বর্ষে পদার্পণের এই মাহেন্দ্রক্ষণে দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক, সম্পাদক, সাংবাদিকসহ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
দৈনিক যুগান্তর ইতোমধ্যে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পাঠকের প্রত্যাশা পূরণ করে দৈনিক যুগান্তর নন্দিত গণমাধ্যমে পরিণত হয়েছে। দৈনিক যুগান্তর এখন গণমানুষের মুখপত্র। অন্যায়, অবিচার আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা অনন্য করেছে দৈনিক যুগন্তারকে। ন্যায়ের পক্ষে নির্ভীক সাংবাদিকতার প্রতীক দৈনিক যুগান্তর। স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের কারণে আর দশটি গণমাধ্যম থেকে নিজেকে আলাদা করতে সমর্থ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ডেইলি ইভেন্ট, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন, ফিচার, খেলা, সংস্কৃতি আর বিষয়ভিত্তিক পাতা সম্পাদনায় দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে আসছে যুগান্তর। আর বিশিষ্টজনদের নিবন্ধগুলো সুধী সমাজে সমাদৃত হচ্ছে।
আশা করি, দেশের সুশাসন সুসংহত করতে দৈনিক যুগান্তর ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে সমর্থ হবে। বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে যুগান্তরের ভূমিকা অম্লান থাকবে। দৈনিক যুগান্তরের দৃপ্ত পথচলা আরও উজ্জ্বল হোক।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি
চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টি এবং বিরোধীদলীয় উপনেতা, জাতীয় সংসদ
একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী
কালোকে কালো বলার সাহস অনবদ্য
দেশের বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র দৈনিক যুগান্তরের দুই যুগে পদার্পণে প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশক, সম্পাদকসহ অন্য সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। বিশিষ্ট শিল্পপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম যুগান্তরের স্রষ্টা। পত্রিকাটির মধ্য দিয়ে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় আজীবন তিনি সচেষ্ট ছিলেন। কোনো লোভ-প্রলোভন যেমন নুরুল ইসলামকে আকৃষ্ট করতে পারেনি, তেমনি কোনো চাপও তাকে দমাতে পারেনি। নুরুল ইসলামের অবর্তমানেও যুগান্তর সেই কাজটিই করে যাচ্ছে। তার দেখানো পথে পত্রিকাটি মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে ‘কালোকে কালো এবং সাদাকে সাদা’ বলার যে সাহস দেখিয়ে যাচ্ছে, তা এক কথায় অনবদ্য এবং প্রশংসনীয়। আমি যুগান্তর এবং যুগান্তর পরিবারের মঙ্গল ও সাফল্য কামনা করছি।
অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রেসিডেন্ট, বিকল্পধারা বাংলাদেশ
ড. কামাল হোসেন
যুগান্তর আপসহীনতার অনন্য উদাহরণ
যুগান্তর দুই যুগে পা দিয়েছে জেনে আমি আনন্দিত।
পত্রিকাটি সূচনালগ্ন থেকেই গণমানুষের পক্ষে কথা বলে আসছে। গণমানুষের পক্ষে কথা বলার কারণেই পত্রিকাটি আজও পাঠকপ্রিয় এবং মানুষের কাছে সমাদৃত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে থেকে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুগান্তর আপসহীনতার এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
দেশের এই কঠিন এবং ক্রান্তিকালে পত্রিকাটি গণমানুষের পক্ষে আরও জোরালো ভূমিকা পালন করবে-এমনটাই প্রত্যাশা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে যুগান্তর প্রকাশক, সম্পাদকসহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই।
ড. কামাল হোসেন
সংবিধানপ্রণেতা, বিশিষ্ট আইনজীবী ও সভাপতি, গণফোরাম
আনিসুল হক
দুর্নীতি প্রতিরোধে সহযোগিতা করছে
দেশের অন্যতম প্রধান জাতীয় দৈনিক ‘যুগান্তর’ ২৩ বছর পেরিয়ে ২৪ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পত্রিকাটির সব পর্যায়ের সাংবাদিকসহ মুদ্রণ ও প্রকাশনা কাজে নিয়োজিত সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। পাশাপাশি যুগান্তরের পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদেরও বর্ষপূর্তির শুভেচ্ছা জানাই।
যুগান্তর তার দীর্ঘ চলার পথে বহু গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সমাজের বাস্তবচিত্র তুলে ধরে সামাজিক পরিবর্তন আনার ব্যাপারে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারের কাজে সহযোগিতা করেছে।
আশা করি যুগান্তর আগামীতেও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে রেখে পেশাদারিত্বের মাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের গর্বিত অংশীদার হিসাবে কাজ করবে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথচলায় সব সময় পাশে থাকবে যুগান্তর।
আমি যুগান্তরের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি। সেই সঙ্গে যুগান্তর পরিবারের মালিক, সম্পাদক, সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট সবার কল্যাণ কামনা করি।
যুগ যুগ ধরে লক্ষ-কোটি মানুষের হৃদয়ের গভীরে বেঁচে থাকুক যুগান্তর।
আনিসুল হক, এমপি
মন্ত্রী ও আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়
সাইফুজ্জামান চৌধুরী
যুগান্তর রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের অন্যতম অংশ
দৈনিক যুগান্তরের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যুগান্তর পরিবারের সবাইকে অভিনন্দন। গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে স্বাধীন, পেশাদার ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে দৈনিক যুগান্তর রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের অন্যতম অংশ হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাবে বলে আশা করছি। আমি দৈনিক যুগান্তরের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করি এবং যুগান্তর পরিবারের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী, এমপি
মন্ত্রী, ভূমি মন্ত্রণালয়
মুজিবুল হক চুন্নু
কঠিন সময়ে সত্য প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করছে
যুগান্তরের দুই যুগে পা দেওয়া দেশের সংবাদপত্র জগতে একটি অনন্য ঘটনা। আজকের এই দিনে স্মরণ করছি যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা বিশিষ্ট শিল্পপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে। যিনি স্বপ্ন দেখতেন, স্বপ্ন বাস্তবায়নও করতেন। সব ভয়-ভীতি ও চাপ উপেক্ষা করে সত্য প্রতিষ্ঠায় নুরুল ইসলাম আজীবন লড়াই করে গেছেন। তার হাতে গড়া যুগান্তর আজও এই কঠিন সময়ে সত্য প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সমাজের অসংগতি, অনিয়ম, অন্যায় সাহসের সঙ্গে তুলে ধরছে পত্রিকাটি। আমি যুগান্তরের প্রশাসক বিশিষ্ট শিল্পপতি ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, পত্রিকাটির সম্পাদক জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলমসহ সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। আশা করছি পাঠকপ্রিয়তা ধরে রেখে যুগান্তর আরও এগিয়ে যাবে। আমি যুগান্তরের সফলতা কামনা করছি।
মুজিবুল হক চুন্নু এমপি
সাবেকমন্ত্রী ও মহাসচিব, জাতীয় পার্টি
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই স্বাধীনতার পক্ষে
দেশের অন্যতম বহুলপ্রচারিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকা ১ ফেব্রুয়ারি ২৪ বছরে পদার্পণ করছে। যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সম্পাদক, প্রকাশকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পত্রিকাটি মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পক্ষে এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ ও গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে এ দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিকসহ সব ক্ষেত্রের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া কৃষির উন্নয়ন, সাফল্য, সমস্যা ও সম্ভাবনাকেও সুনিপুণভাবে প্রতিনিয়ত তুলে ধরছে। যার ফলে পত্রিকাটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমার বিশ্বাস, দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ‘দৈনিক যুগান্তর’ অতীতের মতোই আগামী দিনেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে সব ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠ, দায়িত্বশীল ও সাহসী ভূমিকা রাখবে। আমি যুগান্তরের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক
মন্ত্রী, কৃষি মন্ত্রণালয়
আ হ ম মুস্তফা কামাল
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ধরে রেখেছে জনপ্রিয়তা
অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, দেশের অন্যতম জাতীয় দৈনিক যুগান্তর দেশের লাখো-কোটি পাঠকের অন্তর জয় করে দুদশকেরও বেশি সময় পার করে চলেছে। ১ ফেব্রুয়ারি যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, যুগান্তরকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ‘সত্যের সন্ধানে নির্ভীক’-এ স্লোগান সামনে নিয়ে পত্রিকাটি বস্তুনিষ্ঠভাবে সংবাদ পরিবেশন করে চলছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ অবধি এ দৈনিকটি ধরে রেখেছে তার জনপ্রিয়তা। আর উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে তার পাঠক সংখ্যা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে এ দেশের গণমানুষের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতেই বর্তমান সরকার উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে একটি শক্তিশালী ও উন্নত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এখন বিশ্ব ব্যবস্থায় অন্যতম রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও বাংলাদেশ আজ অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ এবং ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার মাধ্যমে জাতির পিতার অন্তর-মনপ্রথিত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের সুবর্ণ রেখাটি স্পর্শ করবে, ইনশাআল্লাহ-এ শুভ সংবাদগুলো দশ দিগন্তে পৌঁছে দিক যুগান্তর। আমি দৈনিক যুগান্তরের সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করি। শুভ হোক যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফসিএ
মন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রণালয়
ডা. দীপু মনি
সংবাদ প্রকাশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে
পাঠকপ্রিয় দৈনিক যুগান্তরের ২৪তম জন্মদিনে এর অগণিত পাঠক, সব সাংবাদিক, সম্পাদক, অন্যান্য কলাকুশলী এবং সব শুভানুধ্যায়ীকে আমি শুভেচ্ছা জানাই। তেইশ বছর ধরে এই কাগজটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে পাঠক-ভালোবাসায় ধন্য হয়ে উঠেছে। সংবাদ প্রকাশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছে। বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ ও গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় যুগান্তরের ইতিবাচক ভূমিকা আগামীদিনেও অব্যাহত থাকবে এবং দেশ ও পাঠকের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে যুগান্তরের প্রতিবেদনে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, সমৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধির চিত্র উঠে আসবে-এ আমাদের প্রত্যাশা।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগ ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক ইশতেহার ঘোষণা করে। দেশকে সমৃদ্ধির শিখরে নিয়ে যেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সমৃদ্ধি অর্জনে যেসব দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে তার অন্যতম হচ্ছে শিক্ষা। ‘স্মার্ট শিক্ষায় স্মার্ট দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ এ প্রত্যয়কে সামনে নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চাই দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্যে সরকার যোগ্য, আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, সুস্থ ও সবল জাতি গঠনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রগামী, চিন্তা-চেতনায় প্রগতিশীল, সততা, মানবিকতা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ, শরীর-মনে সুস্থ ও কর্মে উদ্যমী প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই। এ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের অক্লান্ত প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে রূপকল্প ২০৪১ ঘোষণা করেছেন তা বাস্তবায়ন করতে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
নির্ভুল, বস্তুনিষ্ঠ ও নির্মোহ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে যুগান্তর দিন দিন আরও বেশি পাঠকপ্রিয় হয়ে উঠুক। শিক্ষা সংক্রান্ত প্রতিবেদন বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে প্রকাশের মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি এগিয়ে নিতে এবং জাতীয় উন্নয়নের কর্মসূচি বাস্তবায়নে শিক্ষার সহায়ক ভূমিকা পালনে যুগান্তরের সহযোগিতা অব্যাহত থাকুক। যুগান্তরের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। যুগান্তর পরিবারের প্রতি শুভকামনা।
ডা. দীপু মনি
মন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়
জাহিদ মালেক
সব শ্রেণি-পেশার মানুষের পক্ষে
দেশের পাঠকনন্দিত পত্রিকা ‘দৈনিক যুগান্তর’ ২৪ বছরে পদার্পণ করেছে জেনে আমি আনন্দিত। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সব শ্রেণি-পেশার মানুষের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে এই পত্রিকাটি। আশা করি, যুগান্তরের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। দেশের উন্নয়নের পক্ষে যত রকম বাধা রয়েছে, সেসব দূর করার জন্য যুগান্তর নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে একের পর এক উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে হয়েছে, মেট্রোরেল হয়েছে। করোনায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বিশ্বে ৫ম স্থান অধিকার করেছে। এগুলো সম্ভব হয়েছে সরকারের দূরদৃষ্টি ও নিরলস পরিশ্রমের ফসল হিসাবে। তবে কাজের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বাধা রয়েছে। সেই বাধাগুলো দূর করার বিষয়টি বেশ বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। বাধা যত কঠিনই হোক, আশা করি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুগান্তর অতীতের মতো আগামীতেও পিছপা হবে না। যুগান্তরের এসব বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ন থাকলে এটি আরও দ্রুত এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে। আশা করি যুগান্তর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাসহ সব ধরনের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। ২৪ বছরে পদার্পণ করায় এ পত্রিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।
জাহিদ মালেক
মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
আসাদুজ্জামান খান
গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় দায়িত্বশীল গণমাধ্যম
‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকাটি ২৩ বছর পেরিয়ে ২৪ বছরে পদার্পণ করছে। এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পত্রিকাটির সাংবাদিক ও এর প্রকাশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের ভূমিকা পালন করে আসছে ‘দৈনিক যুগান্তর’। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ‘দৈনিক যুগান্তরের’ সহযোগিতা সব সময়ের জন্য প্রত্যাশিত। আমি ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকাটির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি।
আসাদুজ্জামান খান
মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মো. তাজুল ইসলাম
ভালো-মন্দের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই
গণমাধ্যম একটি সমাজ বা দেশের দর্পণস্বরূপ। এর মাধ্যমেই আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া নিত্যদিনের ভালো-মন্দের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। তাই গণমাধ্যমের গুরুত্বকে অস্বীকার করে সমাজ বা রাষ্ট্র কখনোই একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। যুগান্তর পত্রিকাটি জন্মলগ্ন থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার খবর বিতরণের মাধ্যমে অনেক সহযোগিতা করেছে।
বহুল প্রচারিত পত্রিকা দৈনিক যুগান্তর দুই যুগে পদার্পণ করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে পত্রিকাটির সাংবাদিক, পাঠক এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মধ্য দিয়ে দৈনিক যুগান্তর ইতোমধ্যে একটি বিশেষ মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে অতীতের ধারাবাহিকতায় দেশ ও দশের উন্নয়নে ‘দৈনিক যুগান্তর’ আগামী দিনগুলোতে আরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে আমার এমনই প্রত্যাশা। দেশবাসীর মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং বিভিন্ন সমস্যা ও জনদুর্ভোগ লাঘবে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে পত্রিকাটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকাটির যাত্রা শতবর্ষ অতিক্রম করুক এবং আমাদের প্রিয় দেশকে মর্যাদার আসনে পৌঁছানোর জন্য যথাযথ সহযোগিতা অব্যাহত রাখুক এই প্রত্যাশা রইল।
মো. তাজুল ইসলাম
মন্ত্রী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়
শ ম রেজাউল করিম
নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে
দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম ‘দৈনিক যুগান্তর’-এর দুই যুগপূর্তি উপলক্ষ্যে পত্রিকাটির সম্পাদক, প্রকাশক, সাংবাদিক, পাঠক, শুভানুধ্যায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন।
‘সত্যের সন্ধানে নির্ভীক’-এই স্লোগানকে ধারণ করে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হয়েছে দৈনিক যুগান্তর। তথ্যনির্ভর সংবাদ পরিবেশন ও সংবাদের বিশ্লেষণধর্মী উপস্থাপন কৌশলের মাধ্যমে সংবাদপত্র জগতেও বিশেষ অবস্থান করে নিয়েছে এ গণমাধ্যমটি।
দেশ ও জনগণের স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দৈনিক যুগান্তর তার আগামী দিনের পথচলায় জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে-এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। দুই যুগপূর্তির এই শুভক্ষণে দৈনিক যুগান্তরের সব আয়োজনের আমি সাফল্য কামনা করছি।
শ ম রেজাউল করিম
মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
ড. এ কে আব্দুল মোমেন
সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাজ গঠনে সহায়তা করে
বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক ‘যুগান্তর’ পত্রিকার ২৪ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে পত্রিকাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
দেশ ও জাতি গঠনে সংবাদপত্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা, সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাজ গঠনে সহায়তা করে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতেও সংবাদপত্রের দায়িত্বশীল ভূমিকা রয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের ইতিহাসে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির এই পথপরিক্রমায় যুগান্তর সহযোগীর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।
মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে সোচ্চার ‘যুগান্তর’ দেশের গণতন্ত্রের বিকাশ তথা উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে গণমাধ্যম হিসাবে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলেছে। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চর্চায় যুগান্তরের উত্তরোত্তর উৎকর্ষ ও সার্বিক সাফল্য কমনা করছি।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মো. নূরুল ইসলাম সুজন
সংবাদ পরিবেশনে অনন্য
দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা ‘দৈনিক যুগান্তর’-এর দুই যুগপূর্তি উপলক্ষ্যে পত্রিকাটির সম্পাদক, প্রকাশক, সাংবাদিক, পাঠক, শুভানুধ্যায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক ভালোবাসা ও প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আজ থেকে প্রায় দুই যুগ আগে ‘সত্যের সন্ধানে নির্ভীক’-এই স্লোগানকে ধারণ করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে পত্রিকাটি সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে। পত্রিকাটি সংবাদ পরিবেশনে অনন্য। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে বলিষ্ঠ মতপ্রকাশে যুগান্তর দেশের অগ্রগামী একটি পত্রিকায় পরিণত হয়েছে। আমি যুগান্তরের সাফল্য কামনা করি। যুগান্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি রইল আমার আন্তরিক অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
মো. নূরুল ইসলাম সুজন
মন্ত্রী, রেলপথ মন্ত্রণালয়
এম. এ মান্নান
পাঠকের বহুমাত্রিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম
দেখতে দেখতে দুই যুগে পদার্পণ করছে দেশের অন্যতম পত্রিকা দৈনিক যুগান্তর। দীর্ঘ এ পথযাত্রায় নানা ঘাতপ্রতিঘাত পেরিয়ে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে যুগান্তর। পাঠকের বহুমাত্রিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে বলেই সগৌরবে টিকে আছে পত্রিকাটি। আমি আশা করি যুগান্তরের পথযাত্রা আগামীতে আরও সুন্দর ও মসৃণ হবে। এর সঙ্গে যুক্ত সকলের জন্য রইল আমার শুভ কামনা। সেই সঙ্গে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পত্রিকাটির যাত্রা অব্যাহত রাখায় সম্পাদকসহ মালিক পক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।
এম. এ মান্নান
মন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
সত্য প্রকাশে কখনো পিছপা হয়নি
পাঠকনন্দিত জাতীয় দৈনিক যুগান্তর দুই যুগে পদার্পণ করেছে জেনে আমি খুবই আনন্দিত। আজকের এই দিনে পত্রিকাটির স্বপ্নদ্রষ্টা যমুনা গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম নুরুল ইসলামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমকে বলা হয়ে থাকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। অসহায়, হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অব্যক্ত বেদনার কথা, শোষিতদের বঞ্চনা ও আগ্রাসী ভূমিকার চিত্র-একজন সাংবাদিকের ক্ষুরধার লেখনীতে আদ্যোপান্ত সংবাদপত্রের পাতায় উঠে আসে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে যুগান্তর সেই কাজটিই করে যাচ্ছে। সারা দুনিয়ায় সংবাদকর্মীরা মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। রাজনৈতিক টানাপোড়েনে বাংলাদেশে সাংবাদিকরা আরও বেশি জীবনের ঝুঁকিতে রয়েছে। আমি আশা করি, সামনের দিনগুলোতেও পত্রিকাটি গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সুরক্ষাসহ দেশ ও জাতির প্রত্যাশা পূরণে যথাযথ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। শুভদিনে আমি পত্রিকার প্রকাশক, সম্পাদক, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, বিএনপি
সাধন চন্দ্র মজুমদার
মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও জনপ্রিয় ‘যুগান্তর’-এর দুই যুগ পূর্তিতে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। উদ্ভাসিত তারুণ্যের এবং সত্যের জয়গান গেয়ে পাঠকের কাছে দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে সংবাদ পৌঁছে দিচ্ছে দৈনিক যুগান্তর। পত্রিকাটি গুজব ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থেকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করে সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির পাঠক, শুভানুধ্যায়ী ও সংশ্লিষ্ট সব কর্মীকে জানাই জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আমি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামন করি।
সাধন চন্দ্র মজুমদার
মন্ত্রী, খাদ্য মন্ত্রণালয়
ড. আবদুল মঈন খান
মতপ্রকাশে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখছে
যুগান্তর পত্রিকার দুই যুগে পদার্পণ উপলক্ষ্যে এই পত্রিকার সম্পাদক, সাংবাদিক, প্রকাশক তথা সব কলাকুশলী ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বাংলাদেশের মতো এমন একটি দেশে যার অর্ধশতাব্দীর ইতিহাসে অধিকাংশ সময়ই বাক-স্বাধীনতার কণ্ঠ রোধ করে রাখা হয়েছে, সেই পরিস্থিতিতে দুই যুগ ধরে সাহসিকতার সঙ্গে মুক্তচিন্তা ও অবাধ মতপ্রকাশের সংগ্রামে যুগান্তর যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে সফল হয়েছে, এ কথা বললে হয়তো অত্যুক্তি হবে না। একটি সংবাদপত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা সত্যিকার অর্থে নির্ভর করে বস্তুনিষ্ঠভাবে সংবাদ পরিবেশনের ওপর, যার ওপরে ভিত্তি করে একদিকে গড়ে ওঠে পাঠকের আস্থা, অন্যদিকে জনগণের অভিমত সৃষ্টি। এই উভয় ক্ষেত্রেই যুগান্তরের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে, এই বিশ্বাস আমাদের আছে। আশা করি ভবিষ্যতেও যুগান্তর তার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নীতিতে অটল থাকবে। আমি এই পত্রিকার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
ড. আবদুল মঈন খান
সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, বিএনপি
বীর বাহাদুর উশৈসিং
অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ
বহুল প্রচারিত গণমাধ্যম ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকা মুক্তবুদ্ধি চর্চা ও প্রগতিশীলতার ধারক হিসাবে ২৪ বছরে পদার্পণ করায় আমি এই গণমাধ্যমের সম্পাদক, প্রকাশক, সংবাদকর্মী, পাঠক ও এর শুভানুধ্যায়ীদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর গৃহীত পদক্ষেপ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় পদক্ষেপকে অনুসরণ করে পার্বত্য অঞ্চলের গণতন্ত্রকামী নেতৃত্বশীল মানুষ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অত্যন্ত সুচারুভাবে পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন ও শান্তি সুপ্রতিষ্ঠা করে চলেছে।
আমার বিশ্বাস তথ্যের অবাধ প্রবাহের এ যুগে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে ‘দৈনিক যুগান্তর’ সংবাদ মাধ্যমটি দেশের মানুষের আস্থা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে ওঠেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন, বিকাশ ও স্বাধীন সত্তায় বিশ্বাসী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের উৎকর্ষসাধন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকাটি গুণে-মানে, আধুনিকতার উৎকর্ষ সাধনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।
বীর বাহাদুর উশৈসিং
মন্ত্রী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
মো. আতিকুল ইসলাম
ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে
গণমাধ্যম একটি সমাজ বা দেশের দর্পণ। এই দর্পণে আমরা আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া নিত্যদিনের ভালো-মন্দের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। তাই গণমাধ্যমের গুরুত্বকে অস্বীকার করে সমাজ বা রাষ্ট্র কল্পনা করা অসম্ভব।
বহুল প্রচারিত জাতীয় পত্রিকা দৈনিক যুগান্তর দুই যুগে প্রবেশ করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে পত্রিকাটির সাংবাদিক, পাঠক এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মধ্য দিয়ে দৈনিক যুগান্তর ইতোমধ্যে একটি বিশেষ মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে। নগরবাসীর মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং নগরবাসীর বিভিন্ন সমস্যা ও জনদুর্ভোগ লাঘবে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে পত্রিকাটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
আমি বিশ্বাস করি, একটি পরিচ্ছন্ন, সুস্থ, সচল, নিরাপদ ও আধুনিক ঢাকা বিনির্মাণে পত্রিকাটির ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। দৈনিক যুগান্তর এগিয়ে যাক শতবর্ষে-দুই যুগে পদার্পণ উপলক্ষ্যে এটাই প্রত্যাশা।
মো. আতিকুল ইসলাম
মেয়র, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)
শরীফ আহমেদ
অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক
বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে দৈনিক যুগান্তর দুই যুগের পথচলা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে পত্রিকাটি পাঠকসমাজে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে ও মানুষের ব্যাপক আস্থা অর্জন করেছে। প্রকাশনার শুরু থেকে দৈনিক যুগান্তর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরছে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্পর্কে তথ্যসমৃদ্ধ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে যুগান্তর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে আসছে। আশা করি ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। পত্রিকাটি প্রকাশে সরকারের সহযোগিতা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি দৈনিক যুগান্তরের সার্বিক সাফল্য ও অগ্রগতি কামনা করি।
শরীফ আহমেদ
প্রতিমন্ত্রী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
মো. জাকির হোসেন
তথ্যচাহিদা পূরণে সদা তৎপর
সত্যের সন্ধানে নির্ভীক স্লোগান সামনে রেখে দেশের অন্যতম জাতীয় দৈনিক যুগান্তর ২৪তম বছরে পদার্পণ করায় যুগান্তর পরিবারকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। পত্রিকাটি সব শ্রেণিপেশার মানুষের তথ্যচাহিদা পূরণে সদা তৎপর। পাঠক, লেখক-সবাই পত্রিকাটিতে পেয়ে থাকেন সংবাদ পরিবেশন-বিশ্লেষণে তীক্ষ্ম পর্যবেক্ষণের পরিচয়।
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপক্ষে সংবাদ পরিবেশের মাধ্যমে বলিষ্ঠ মতপ্রকাশে যুগান্তর দেশের অগ্রগামী একটি পত্রিকায় পরিণত হয়েছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, জাতীয়, আন্তর্জাতিক-সবখানেই রয়েছে এর অভিনবত্ব।
আশা করি সৎ, সাহসী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় যুগান্তর আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, স্বাধীনতার পক্ষে দেশের কথা, দেশের মানুষের কথা বলবে। সুন্দরের পাশাপাশি সমাজের অসংগতি ও কুৎসিত কদর্য চেহারাকে তুলে ধরা সংবাদপত্রের দায়বদ্ধতার মধ্যেই পড়ে। আমরা সত্যকে মানতে চাই না বলেই আজ সাংবাদিকতা একটি ঝুঁকির কাজ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় যুগান্তরের সহযোগিতা সব সময়ের জন্য প্রত্যাশিত। আমি যুগান্তরের সাফল্য কামনা করি। যুগান্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি রইল আমার আন্তরিক অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
মো. জাকির হোসেন
প্রতিমন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী
সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতায় পিছিয়ে নেই
পহেলা ফেব্রুয়ারি ২০২৩ দৈনিক যুগান্তরের দুই যুগে পদার্পণ উপলক্ষ্যে আমি পত্রিকাটির সম্পাদক, প্রকাশক এবং সংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং পত্রিকাটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
পত্রিকাটি দীর্ঘদিন ধরে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন আঙ্গিকে অসাধারণ ভূমিকা রাখছে বলে আমার বিশ্বাস। আপামর জনসাধারণের মনের কথা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে দৈনিক যুগান্তর একটি উদাহরণ। অনেক সংবাদপত্রের ভিড়ে দৈনিক যুগান্তর সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতায়ও পিছিয়ে নেই। দেশের প্রথম সারির পত্রিকাগুলো মধ্যে দৈনিক যুগান্তর উল্লেখযোগ্য স্থান ধরে রাখতে পেরেছে বলে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
আশা করি আগামী দিনগুলোতে পত্রিকাটি মানুষের চাহিদার দিক বিবেচনা করে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাবে। দৈনিক যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাচ্ছি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী
প্রতিমন্ত্রী, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়
শেখ ফজলে নূর তাপস
ঢাকা বিনির্মাণে অনন্য অবদানের প্রত্যাশা
সমাজের নানাবিধ অসংগতি, অগ্রগতি, প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা তথা একটি রাষ্ট্রের সামগ্রিক চিত্র গণমাধ্যমের সহযোগিতায় পরিস্ফুটিত হয়ে থাকে বলেই গণমাধ্যমকে সমাজের দর্পণ বলা হয়ে থাকে।
সংবাদকর্মীরা এই দর্পণকে ঝকঝকে, তকতকে করে রাখেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমেই প্রকাশ পায় নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ। সেজন্যই গণমাধ্যমকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভও বলা হয়।
সংবাদপত্রের ভূমিকা যতই ন্যায়নিষ্ঠ, পক্ষপাতশূন্য ও যথার্থ হবে গণতন্ত্রের ভিত্তি ততই শক্তিশালী, বলিষ্ঠ ও টেকসই রূপ লাভ করবে। কিন্তু সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে হাতিয়ার করে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি দুরভিসন্ধিমূলক অসত্য বা অর্ধসত্য সংবাদ প্রচার করে, তা দেশ, জাতি ও সমাজের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
বহুল প্রচারিত জাতীয় পত্রিকা ‘দৈনিক যুগান্তর’-এর দুই যুগে পদার্পণের এই আনন্দঘন মুহূর্তে আমি এই পত্রিকার সাংবাদিক, পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের ধারা অব্যাহত রাখবে বলে বিশ্বাস করি। পাশাপাশি ঐতিহ্যের সুন্দর, সচল, সুশাসিত ও উন্নত ঢাকা মহানগরী গড়ে তুলতে দৈনিক যুগান্তর অতীতের মতো আগামী দিনেও অনন্য অবদান রাখতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে- দৈনিক যুগান্তরের দুই যুগে পদার্পণ উপলক্ষ্যে এটাই প্রত্যাশা।
শেখ ফজলে নূর তাপস
(ব্যারিস্টার-এট-ল), মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন
ডা. মো. এনামুর রহমান
অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর
দেশের অন্যতম প্রধান জাতীয় পত্রিকা ‘দৈনিক যুগান্তর’ ২৩ বছর পেরিয়ে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে ২৪ বছরে পা দিচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত দৈনিক যুগান্তর অতীতের মতো আগামীতেও অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় পত্রিকাটি আগামী দিনেও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে-সেই প্রত্যাশা রেখে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই দৈনিক যুগান্তরকে এবং যুগান্তর পরিবারের সব সদস্যকে।
ডা. মো. এনামুর রহমান
প্রতিমন্ত্রী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
ফরহাদ হোসেন
জাতি গঠনে সংবাদপত্র নিয়ামক শক্তি
যুগান্তর ২৪তম বর্ষে পদার্পণ করছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
রাষ্ট্র পরিচালনায় সংবাদপত্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি অগ্রসরমান জাতি গঠনে সংবাদপত্র নিয়ামক শক্তি হিসাবে কাজ করে। যুগান্তর বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন এবং গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে দেশে সুশাসন, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারা ত্বরান্বিত করতে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদৃঢ় নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন এদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরের। তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছি। আমি আশা করি, যুগান্তরসহ সব গণমাধ্যম সেই স্বপ্ন পূরণে আন্তরিকভাবে কাজ করবে।
আমি পত্রিকাটির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
ফরহাদ হোসেন
প্রতিমন্ত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
জুনায়েদ আহমেদ পলক
পাঠকদের হৃদয়ে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছে
‘সত্যের সন্ধানে নির্ভীক’ স্লোগান ধারণ করে তথ্যনির্ভর ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশের মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যেই পাঠকদের হৃদয়ে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছে দৈনিক যুগান্তর। পত্রিকাটির ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রকাশক, সম্পাদক, সাংবাদিক, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন।
পত্রিকাটির তথ্যপ্রযুক্তির জন্য বিশেষায়িত পাতায় (আইটি বিশ্ব) দেশের তথ্যপ্রযুক্তির নানা সংবাদ উঠে আসে, যা অন্যদের উদ্বুদ্ধ করে। পত্রিকাটি যুগ যুগ পার করে শতবর্ষে পৌঁছাবে এ প্রত্যাশা রইল। আরও বেশি বেশি প্রযুক্তি খাতের সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সাল নাগাদ সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, উদ্ভাবনী, উচ্চ অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।
‘আমরা জয়ী, আমরা দুর্বার,
প্রযুক্তি এগিয়ে যাওয়ার হাতিয়ার’
জুনায়েদ আহমেদ পলক
প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
ড. শামসুল আলম
গণমানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার প্রতিচ্ছবি
দেশের অন্যতম প্রধান জাতীয় দৈনিক ‘যুগান্তর’ পত্রিকা ২৪ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। গণমানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার প্রতিচ্ছবি উঠে আসে পত্রিকাটিতে। ফলে এরই মধ্যে সাধারণ পাঠকের হৃদয়ের স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে যুগান্তর। সেই সঙ্গে জাতীয় পর্যায়ে আর্থ-সামাজিক যেকোনো ইস্যু, অনিয়ম, দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক যেকোনো বিষয় সবার আগে বস্তুনিষ্ঠভাবে উপস্থাপনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে যুগান্তর এগিয়ে যাচ্ছে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। যুগান্তর অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারা এবং দায়িত্বশীল সংবাদপত্র হিসেবে অনেক পথ এগিয়ে যাক সেই প্রত্যাশা করি। এটি প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত মালিক, সম্পাদক, সাংবাদিকসহ সব বিভাগে কর্মরতদের মেধা ও শ্রম সার্থক হোক।
ড. শামসুল আলম
প্রতিমন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
হাসানুল হক ইনু
সত্য খবর প্রকাশে অবিচল
দৈনিক যুগান্তরের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এর সম্পাদক, প্রকাশক, প্রতিবেদক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, লেখক ও পাঠকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সত্য খবর প্রকাশে যুগান্তরের বস্তুনিষ্ঠতা ও সাহসিকতার প্রশংসা না করাটা হবে সংকীর্ণতা ও কৃপণতা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দৈনিক যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা, উদ্যোক্তা ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশের বিশিষ্ট বৃহৎ সফল শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যক্তিগতভাবে আমার বন্ধু, প্রয়াত নুরুল ইসলামকেও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।
আমি দৈনিক যুগান্তর পরিবারের সবার সুস্থতা ও কল্যাণ কামনা করছি। দৈনিক যুগান্তরের অব্যাহত পাঠকপ্রিয়তা কামনা করছি।
হাসানুল হক ইনু
সভাপতি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ
আ স ম আবদুর রব
দৈনিক যুগান্তর সত্য উচ্চারণে সাহসী
দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক যুগান্তর গণমাধ্যমের প্রতিশ্রুতিকে লালন করার মাধ্যমে প্রকাশনার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলছে। কঠিন বাস্তবতাকে মোকাবিলা করে যুগান্তরের নিরন্তর এগিয়ে চলা নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য। যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত নুরুল ইসলাম এটাকে বিকশিত করার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, যা অবশ্যই স্মরণযোগ্য। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্রমাগত দুর্বল করার প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত আছে। সমালোচনার কণ্ঠকে আক্রমণ করা ক্ষমতাসীনদের বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাংবাদিকদের চাপ দেওয়ার জন্য মৌখিক হয়রানি, মানহানি ও কালিমা লেপনের হুমকি দেওয়া হয়। আমাদের রাষ্ট্র প্রতিনিয়ত গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হুমকি হয়ে উঠছে। দেশে শাসকগোষ্ঠী তথ্যের উৎসের ওপর সব সময় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের এই বাস্তবতায়ও গণআকাঙ্ক্ষা পূরণে, সত্য উচ্চারণে দৈনিক যুগান্তর সাহসী ও দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রাখবে সে প্রত্যাশা করছি। যুগান্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আ স ম আবদুর রব
সভাপতি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি
একেএম এনামুল হক শামীম
সমাজ গঠনে অগ্রপথিক
‘সত্যের সন্ধানে নির্ভীক’ স্লোগান সামনে রেখে দেশের অন্যতম জাতীয় দৈনিক যুগান্তর ২৪তম বছরে পদার্পণ করায় যুগান্তর পরিবারকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। পত্রিকাটি সব শ্রেণিপেশার মানুষের তথ্যচাহিদা পূরণে সদা তৎপর। পাঠক, লেখক সবাই পত্রিকাটিতে পেয়ে থাকেন সংবাদ পরিবেশন-বিশ্লেষণে তীক্ষ্ম পর্যবেক্ষণের পরিচয়।
মুক্তিবুদ্ধিচর্চার মাধ্যমে সংবাদপত্র একটি অগ্রসরমান জাতি গঠনে নিয়ামক হিসাবে কাজ করতে পারে। জঙ্গিবাদ, অপসংস্কৃতি, মূল্যবোধের অবক্ষয়, ধর্মান্ধতা, মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস রোধে গণমাধ্যম বিশেষ করে সংবাদপত্র বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়ে একটি নিষ্কলুষ সমাজ গঠনে অগ্রপথিকের ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে বলিষ্ঠ মতপ্রকাশে যুগান্তর দেশের অগ্রগামী একটি পত্রিকায় পরিণত হয়েছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, জাতীয়, আন্তর্জাতিক-সবখানেই রয়েছে এর অভিনবত্ব। আমি যুগান্তরের সাফল্য কামনা করি। যুগান্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সাংবাদিক ও কলাকুশলীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি এবং পত্রিকাটির সাফল্য কামনা করি। সবার প্রতি রইল আমার আন্তরিক অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
একেএম এনামুল হক শামীম
উপমন্ত্রী, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়
কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ
পাঠকদের কাছে প্রিয় দৈনিক
দৈনিক যুগান্তর ২৪ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। বিগত দিনগুলোতে এই পত্রিকা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে সাহসী ভূমিকা পালন করেছে এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করেছে। ফলে সম্মানিত পাঠকদের কাছে অধিকতর গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে, সম্মান অর্জন করেছে। এবং পাঠকদের কাছে প্রিয় দৈনিক হিসাবে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতি উন্মোচন, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং সংবিধানকে সমুন্নত রাখার অব্যাহত প্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। যা খুবই প্রশংসনীয়। এসব সফলতার পেছনে রয়েছে দক্ষ প্রশাসন, সুদক্ষ ও নির্ভীক সাংবাদিকতা, যা বর্তমানে সচরাচর অনুপস্থিত। আশা করি ভবিষ্যতে এই দৈনিক আরও উত্তরোত্তর উন্নতি লাভ করবে। আপনাদের সবার সুন্দর জীবন, সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি।
কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ, বীরবিক্রম
সভাপতি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি
রাশেদ খান মেনন
নিরপেক্ষ পত্রিকা হিসাবে সামনে আসে
যুগান্তরের দুই যুগ পূর্তিতে পত্রিকাটির সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। যুগান্তরের আবির্ভাব ছিল একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। যুগান্তর একটি স্বাধীনচেতা ও নিরপেক্ষ পত্রিকা হিসাবে সামনে আসে। যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলাম সাহেবকে আমি স্মরণ করি। তিনি সত্যিকার অর্থেই একটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্র প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। আমার মনে আছে, সেই সময় প্রখ্যাত সাংবাদিক গোলাম সারওয়ারের হাত ধরে যুগান্তরের যাত্রা শুরু। যা পত্রিকা জগতে নতুন একটি ধারার সূচনা করেছিল। যুগান্তরে আমাকে লেখার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি পত্রিকাটিকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। যুগান্তর এখনো তাদের সেই ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে। আমি আশা করব, যদিও নুরুল ইসলাম নেই, তবে তার স্ত্রী যুগান্তরের প্রকাশক সালমা ইসলাম এমপির তত্ত্বাবধানে এবং সম্পাদক সাইফুল আলমের পরিচালনায় পত্রিকাটি আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। আমি যুগান্তরের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
রাশেদ খান মেনন
সভাপতি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি