
প্রিন্ট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২২ পিএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
-67f5a8da8baec.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার পরোক্ষভাবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল-এমনটা দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পাসপোর্টে ইসরাইল ছাড়া সব দেশে গমনের যে নির্দেশনা ছিল, সেখান থেকে ইসরাইল শব্দটি তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। এর মানে আওয়ামী লীগ ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। অথচ তারা বাংলাদেশের মুসলমানদের পক্ষে, সারা পৃথিবীর মুসলমানদের পক্ষে মায়াকান্নাও করত। হাসিনা সরকার আড়ি পাতার যন্ত্র পেগাসাস, স্পাইওয়্যার ইসরাইল থেকে ক্রয় করেছিল। আজ হাসিনা যেখানেই আশ্রয় নিন না কেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী, ইসলামবিদ্বেষী, আলেমবিদ্বেষীরাই ইসরাইলপন্থিদের সমর্থক ছিল।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে ‘নো ওয়ার্ক নো স্কুল আনটিল দ্য জেনোসাইড স্টপস’ কর্মসূচির সমর্থনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও বিক্ষোভ করে ছাত্রদল। এ সময় নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারসহ গাজায় অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মুসলিমবিশ্বের যারা মোড়ল, তাদের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা পৃথিবীতে নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে আপনাদের কণ্ঠ জাগ্রত করবেন। আপনারা ব্যবস্থা নেবেন, যাতে বিশ্বের বড় বড় শক্তি যারা ইসরাইলের পক্ষে ভূমিকা রাখছে, সেটা বন্ধ হয়। অবিলম্বে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবি জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা পত্রিকা থেকে পরিসংখ্যান পেয়েছি ৫০ থেকে ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনবাসী হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে এ সংখ্যা আরও বেশি। আমরা বাংলাদেশে ইসরাইলি পণ্য বয়কট করব, তার মানে এই না যে আমরা কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা করব। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে এবং ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল অতি শীঘ্রই সারা দেশে বৃহৎ পরিসরে কর্মসূচির ঘোষণা করবে।
ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভে সোমবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বলতে চাই, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতা এখানে লক্ষণীয়। আপনাদের (সরকার) উচিত ছিল আগে থেকেই এখানে সতর্কতা নিশ্চিত করা। তাহলে দেশের নামে এই বদনাম আমাদের হতো না।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলসহ ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, ফিলিস্তিন ছোট্ট রাষ্ট্র। সেখানকার শান্তিকামী মুসলমানরা নিজেদের আবাসভূমি স্থায়ী করার জন্য আন্দোলন করে আসছিলেন। ইসরাইলের হামলায় নিহতদের অর্ধেক নারী ও শিশু। এরকম ধ্বংসযজ্ঞ চলার পরও যেসব রাষ্ট্রপ্রধান প্রতিবাদ জানাননি, তাদের আমরা ধিক্কার জানাই। আজ জাতিসংঘসহ সব মানবাধিকার সংগঠন নিশ্চুপ। আজ থেকে আমরা ইসরাইলি পণ্য বয়কট করব। আজ যদি বিশ্বের মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে তাদের সামনে কেউ দাঁড়াতে পারবে না।
রাকিবুল ইসলাম রাকিব ফিলিস্তিনে নারী-শিশুসহ নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, ফিলিস্তিনে ধারাবাহিকভাবে চলা গণহত্যা ছাত্রদল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যারা রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে তাদের সাধুবাদ জানাই।