
প্রিন্ট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০২ এএম
ব্যাংককে জানালেন উপপ্রধানমন্ত্রী ইউ থান শিউ
১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত নেবে মিয়ানমার
রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবর্তনের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

বাসস
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৮ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা থেকে প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের জন্য চিহ্নিত করেছে সে দেশের কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে তাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশকে নিশ্চয়তা দিয়েছে মিয়ানমার। আরও ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে চূড়ান্ত যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ছবি ও নাম মিলিয়ে দেখার কাজ চলমান রয়েছে। ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ছয়টি ধাপে এই মূল তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ।
শুক্রবার ব্যাংককে বিমসটেকের ষষ্ঠ সম্মেলনের ফাঁকে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ থান শিউ এই তথ্য বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানকে জানান। এই প্রথম মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ একটি নিশ্চিত প্রত্যাবর্তনের তালিকা প্রদান করল, যা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, মূল তালিকায় থাকা বাকি ৫ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গার যাচাই দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে। বৈঠকে ড. খলিলুর রহমান মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং বলেন, দুর্যোগকবলিত মানুষের জন্য বাংলাদেশ অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবর্তনের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের : এদিকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মিয়ানমারে নৃশংস সংঘাতের অবসানের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, দেশটিতে সহিংসতার অবসান ঘটাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। এ সংকট সমাধানে অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের পথ নিশ্চিত করতে হবে। গেল মাসে আমি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করেছি। মিয়ানমারজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার অবসান করতে হবে।
রাখাইনে আরও বাস্তুচ্যুতি বন্ধে মানবিক চ্যানেল স্থাপনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার : বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য একটি মানবিক চ্যানেল স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন। যাতে সেখানে বাস্তুচ্যুতি বন্ধ করা যায়। তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে দুর্ভিক্ষের বিষয়ে ইউএনডিপির সতর্কবার্তা রয়েছে। রাখাইন থেকে আরও বাস্তুচ্যুতি বন্ধ করার জন্য জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে সেখানে একটি মানবিক চ্যানেল স্থাপন করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকটের যদি মীমাংসা না হয়, তাহলে সমগ্র অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, বিমসটেক অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, বিশেষ করে রাখাইনের বিরোধপূর্ণ পক্ষগুলোর মধ্যে সমাধানের জন্য সংফলাপ চালাতে পারে।