
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র সচিব

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ফাইল ছবি
আরও পড়ুন
দেশে জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। সোমবার সচিবালয়ে সমুদ্রপথে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়া গমনকারীদের দ্রুত প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের মধ্যে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি)’ স্বাক্ষর শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। চুক্তি স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের পক্ষে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে জয়েন্ট এজেন্সি টাস্কফোর্সের ডেপুটি কমান্ডার মার্ক হুয়াইটচার্জ।
ঈদে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রতিবার ঈদের সময় যেসব নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়, তার সবগুলোই এবার নেওয়া হবে। আমরা সতর্ক থাকব যেন কোনো অপ্রীতিকর কিছু না ঘটে। কোনো হুমকি আছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, আমার নলেজে নেই, নরমাল যেমন ঝুঁকি থাকে, সবকিছু সে রকমই আছে।
পুলিশ কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশকে নিরাপত্তা দিতে পারছে না। কেউ কেউ জরুরি অবস্থা জারির কথা বলছেন। সেনাবাহিনীই সবকিছু দেখবে। এ ধরনের সম্ভাবনা কিংবা আলোচনা আছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, এ সম্পর্কে আমার কোনো কমেন্ট (মন্তব্য) নেই। এগুলো গসিপ, আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। দু-একজন কথা বলছেন। আমরা যেভাবে কাজ করছি, সেটা জারি রাখব। সেভাবেই চলতে থাকবে।
ঈদুল ফিতরে মানুষের নিরাপত্তার বিষয়ে নাসিমুল গনি বলেন, আমরা ভিজিলেন্সি একটুও কমাইনি। শুধু যে পুলিশের সাধারণ টহল হচ্ছে, তাই নয়, আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে একটি তালিকা করা আছে। আমার দুজন কর্মকর্তা সারারাত ঘুরে বেড়াচ্ছেন, দেখছেন। আমরা সতর্ক আছি, পুলিশ সতর্ক আছে। আমরা সবাই চেষ্টা করছি, যে স্থিতিশীলতা আছে সেটা যেন অব্যাহত থাকে।
অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়ায় গমনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, অনেকে ঘরবাড়ি ও জমি বিক্রি করে দালালের মাধ্যমে অবৈধ পথে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করেছেন। সে দেশের বর্ডার গার্ড বিভাগের কর্মরতরা অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারীদের আটকে রেখেছেন। তাদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি, তা আমরা নিশ্চিত নই। তবে তাদের বায়োমেট্রিকসহ অন্য তথ্য সে দেশ থেকে পাঠানোর পর যাচাই-বাছাই করে তারা বাংলাদেশি হলে ফেরত আনা হবে।