
প্রিন্ট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৫
সাজা বহাল ২৫ আসামির
আবরার হত্যা মামলা: সমাজে বার্তা গেল-আপনি যত শক্তিশালী হোন না কেন, সত্য এবং ন্যায়বিচার একদিন প্রতিষ্ঠিত হবে-অ্যাটর্নি জেনারেল * রায়ের সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার পর আপিল করব-আসামির আইনজীবী

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
সাড়ে পাঁচ বছর আগে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করার মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ২৫ জনের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। নিম্ন আদালত ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবনের রায় দিয়েছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৬ জন কারাগারে এবং ৪ জন পলাতক রয়েছেন। আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানির ওপর রোববার এ রায় দেন বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আপিল বেঞ্চ। রায় ঘোষণার পর আদালতের পর্যবেক্ষণের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, নিম্ন আদালত যে ফাইন্ডিংস দিয়েছেন, এখানে ইন্টারফেয়ার করার মতো কিছু নেই।
এদিকে এ রায়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী ন্যায়বিচার পাননি বলে দাবি করেছেন দুই আসামির আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু। রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে পাওয়ার পর তারা আপিল দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন। রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। রায় যাতে অতিদ্রুত কার্যকর হয় সেটাই এখন আমাদের চাওয়া। আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বলেন, একজন আসামি, যিনি আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন, তার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ছয় মাস পরে কেন জানানো হলো, সেটি বোধগম্য নয়। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, হাইকোর্টের এই রায় চূড়ান্ত বিচার নয়। এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হলে আসামিপক্ষ আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করবে। আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আপিল বিভাগ চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ দায়ের হলে সেটিও নিষ্পত্তি করবেন আপিল বিভাগ। রায়ে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকলে রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি যাবে কারাগারে। কারা কর্তৃপক্ষ কারাবিধি অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ব্যবস্থা করবেন। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সুযোগ পাবেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), জেল আপিল ও আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিলেন। রোববার রায় ঘোষণা করলেন হাইকোর্ট।
রোববার বেলা ১১টায় বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে রায় ঘোষণা শুরু হয়। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান রায় পাঠ করে শোনান। এ সময় আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ ও তাদের আত্মীয়স্বজনসহ বিপুলসংখ্যক আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন। রায়ে বিচারিক আদালতে দেওয়া ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ আসামি : যে ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তার সবাই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার নেতাকর্মী। এরা হলেন-বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এসএম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬তম ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপদপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) ও এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)। তাদের মধ্যে ৪ জন পলাতক রয়েছেন, এরা হচ্ছেন-মুনতাসির আল জেমি, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান ও মুজতবা রাফিদ। তিনজন মামলার শুরু থেকেই পলাতক। আর মুনতাসির আল জেমি গত ৬ আগস্ট কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ৫ আসামি : বুয়েট ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭তম ব্যাচ)।
অ্যাটর্নি জেনারেল যা বললেন : রায়ের প্রতিক্রিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, রায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এদের মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৪ জন পলাতক রয়েছেন। আমার পাশে আবরারের বাবা আছেন, উনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন, গোটা জাতি ন্যায়বিচার পেয়েছে। এ রায়ের মধ্য দিয়ে সমাজে ডিসিপ্লিন আনার জন্য, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য বিচার বিভাগের যে ধারণা, সে ধারণাটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ রায়ের মধ্য দিয়ে সমাজে বার্তা গেল যে-আপনি যত শক্তিশালী হোন না কেন, আপনার পেছনে যত শক্তি থাকুক না কেন-সত্য এবং ন্যায়বিচার একদিন প্রতিষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, মাও জেদংয়ের মতে, কোনো কোনো মৃত্যু হয় পাহাড়ের মতো ভারী, আর কোনো কোনো মৃত্যু পাখির পালকের মতো হালকা। আবরারের মৃত্যু আমাদের কাছে পাহাড়ের মতো ভারী হয়ে আছে। গোটা জাতির মূল্যবোধের শিকড়ে নাড়া দিয়েছে। আবরার ফাহাদের মৃত্যু এক্সপোজ করেছে যে, রাজনৈতিক ফ্যাসিজম কীভাবে দিনে দিনে বাড়তে পারে। একই সঙ্গে আবরারের মৃত্যু আমাদের প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে গেছে যে, ফ্যাসিজম যত শক্তিশালী হোক, মানুষের মনুষ্যত্ববোধ কখনো কখনো জেগে উঠবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবরার ফাহাদ তার জীবন দিয়ে অসংখ্য মেধাবী ছাত্রের জীবন রক্ষা করে দিয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাধারণ জনগণের প্রতিক্রিয়ার কারণে আবরার ফাহাদের বিচার নিশ্চিত হয়েছে। আসাদুজ্জামান বলেন, এর আপিল ফাইল হবে। ডেথ রেফারেন্সের আপিলে সিপি ফাইল করতে হবে না, এটা মেটার অব রাইট।
প্রত্যাশা অনুযায়ী ন্যায়বিচার পাইনি : রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দুই আসামির আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু বলেন, উচ্চ আদালতের এ রায়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী ন্যায়বিচার পাইনি। তিনি আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামি মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম ও মেফতাউল ইসলাম জিওনের পক্ষের আইনজীবী। প্রতিক্রিয়ায় আজিজুর রহমান দুলু বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় যে রায় পড়ে শোনানো হয়েছে, তাতে সংশ্লিষ্ট ট্রায়াল ট্রাইব্যুনালের রায় আগের মতোই বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট ডিভিশন। আজকে প্রদত্ত রায়ে আমি আইনজীবী হিসাবে সংক্ষুব্ধ এবং আমি মনে করি ন্যায়বিচার যেটা প্রত্যাশা করেছিলাম, সেই প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা ন্যায়বিচার পাইনি।
কেন আপনি সংক্ষুব্ধ এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি যাদের পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলাম তার মধ্যে মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলামের নাম এজাহারে ছিল না। তার বিরুদ্ধে যে চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে সাজা দেওয়া হয়েছিল ট্রায়াল ট্রাইব্যুনালে সেই চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য, অর্থাৎ তাদের জবানবন্দিতে সেই বক্তব্যগুলো নেই। ট্রায়াল ট্রাইব্যুনাল অস্তিত্বহীন ডিপজিশন ইনসার্ট করে রায় দিয়েছিলেন। এবং তার বিরুদ্ধে একটিও ইনক্রিবিডিং এভিডেন্স নেই। এ কারণে আমি মনে করছি যে, ন্যায়বিচার বঞ্চিত হয়েছি। আশা করি আপিল বিভাগ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন। তিনি আরও বলেন, আমরা হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে পাওয়ার পরপরই আমরা আপিল বিভাগে আপিল করব।
মামলার বৃত্তান্ত : আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়, যেটি ডেথ রেফারেন্স হিসাবে নথিভুক্ত হয়। ফৌজদারি কোনো মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে কারও মৃত্যুদণ্ড হলে, তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যেটি ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসাবে পরিচিত। পাশাপাশি দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করতে পারেন। সাধারণত ডেথ রেফারেন্স ও এসব আপিলের ওপর একসঙ্গে হাইকোর্টে শুনানি হয়ে থাকে। মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পর কারাগারে থাকা দণ্ডিত ব্যক্তিরা কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জেল আপিল ও আপিল করেন। পৃথক জেল আপিল গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির জন্য ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে ওঠে। সেদিন আদালত তা শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পাশাপাশি নিয়মিত আপিল করেন কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা। আসামিদের এই ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আপিলের ওপর হাইকোর্টে একসঙ্গে শুনানি হয়। গত বছরের ২৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু করে। এরপর পেপারবুক থেকে উপস্থাপনের মাধ্যমে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় শুনানি হয়। সেদিন থেকে মধ্যে একদিন ছাড়া প্রতি কার্যদিবসে শুনানি হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, খন্দকার বাহার রুমি, নূর মুহাম্মদ আজমী ও রাসেল আহম্মেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল জব্বার জুয়েল, লাবনী আক্তার, তানভীর প্রধান ও সুমাইয়া বিনতে আজিজ শুনানিতে ছিলেন। আসামিপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহজাহান, আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু, মাসুদ হাসান চৌধুরী, মোহাম্মদ শিশির মনির প্রমুখ শুনানিতে অংশ নেন।