বিবিসি বাংলাকে ড. ইউনূস
পলাতক দল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে
সারা দুনিয়ায় আমরা আস্থা স্থাপন করতে পেরেছি * রাজনৈতিক বক্তব্যে অনেক তফাত থাকলেও ঐক্যে ফাটল ধরেনি * আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে সবাই মিলে যা ঠিক করবে আমরা তাই করব

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: সংগৃহীত
‘একটা পলাতক দল, দেশ ছেড়ে চলে গেছে বা তাদের নেতৃত্ব চলে গেছে। তারা দেশটাকে অস্থিতিশীল করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই মন্তব্য করেন। এ সময়ে তার সরকারের সাত মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সংস্কার ও নির্বাচন, ছাত্র নেতৃত্বের নতুন দল গঠনসহ রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কথা বলেছেন। কথা বলেছেন ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি নিয়েও। যুগান্তরের পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটির কিছু অংশ তুলে ধরা হলো।
বিবিসি বাংলা : সর্বশেষ যখন আপনার সঙ্গে কথা হচ্ছিল ঠিক এক বছর আগে, এর মধ্যে একটা বিশাল পরিবর্তন হয়ে গেছে বাংলাদেশে। আপনি তখন গ্রেফতার আতঙ্কে ছিলেন। সেখান থেকে আপনি প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন, যার ছয় মাস পার হয়ে গেছে। এই ছয় মাসকে আপনি কীভাবে দেখেন? আপনি যা করতে চেয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে তাতে কতটা সফল হয়েছেন?
ড. ইউনূস : প্রথমেই একটা সংশোধনী বলি, গ্রেফতার আমার কাছে কোনো আতঙ্ক ছিল না। একটা সম্ভাবনা ছিল আমাকে নিয়ে যাবে। আই ওয়াজ টেকিং ইট ইজি যে নিলে নেবে। আমার তো করার কিছু নাই। যেহেতু আইন-কানুন নাই দেশে, কাজেই তারা যা ইচ্ছা তা করতে পারে। ওর মধ্য দিয়ে জীবন চলছিল আমার। সরকার যখন গঠন হলো, আমার কোনো চিন্তা ছিল না, ভাবনা ছিল না যে আমি হঠাৎ করে একটা সরকারের প্রধান হবো, দায়িত্ব পাব। এবং সেই দেশ এমন দেশ, যেখানে সব তছনছ হয়ে গেছে। কোনো জিনিস আর ঠিকমতো কাজ করছে না। যা কিছু আছে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে কাজ করতে হবে। কাজেই আমার প্রথম চেষ্টা ছিল সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে আসল চেহারাটা বের করে আনা। মানুষের দৈনন্দিন জীবন সহজ করে আনা। সেই চেষ্টাটার মধ্যে ছিলাম। তারপর আস্তে আস্তে ভবিষ্যৎটা কী হবে, সেটার জন্য চিন্তা করা, কোনদিকে আমরা অগ্রসর হবো। প্রথম চিন্তা এলো একটা সংস্কার দরকার আমাদের। কারণ যেজন্য এসব ঘটনা ঘটেছে, ফ্যাসিবাদী সরকার চলতে পেরেছে। ১৬ বছর ধরে চলতে পেরেছে, আমরা কিছুই করতে পারি নাই। তিন-তিনটা নির্বাচন হয়ে গেল। ভোটারের কোনো দেখা নাই। এই যে অসংখ্য রকমের দুর্নীতি এবং ব্যর্থতা, মিসরুল (অপশাসন) ইত্যাদি চলছে।
প্রশ্ন : কতটা পরিবর্তন? আপনার চোখে কী মনে হয়?
উত্তর : বহু পরিবর্তন। এটা আমি বলব, যে ধ্বংসাবশেষ থেকে এসেছিলাম, তার নতুন চেহারা আসছে। ভেসে উঠছে যে, আমরা অর্থনীতি সহজ করেছি। দেশ-বিদেশের আস্থা অর্জন করেছি। এটা তো পরিষ্কার-সারা দুনিয়ায় আমরা আস্থা স্থাপন করতে পেরেছি। এটা কেউ প্রশ্ন করতে পারবে না যে আমি অমুক দেশের আস্থা অর্জন করতে পারিনি। যে দেশই বলুন, তারা আমাদের ওপর আস্থা স্থাপন করেছে। শুধু আস্থা স্থাপন করেছে না, বিপুলভাবে করেছে।
প্রশ্ন : সংস্কারের কথা বলছিলেন, আমরা যদি আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে ফিরে আসি, পরিস্থিতির যে অবনতি হয়েছে, অনেকেই বলছেন তারা নানারকম ভয়ে আছেন, আতঙ্কে আছেন। যেহেতু অপরাধটা তারা দেখছেন, রাস্তাঘাটে যেটা হচ্ছে। এটা আপনারা কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না?
উত্তর : অবনতিটা কোন পয়েন্ট থেকে হয়েছে? এটা বলতে হবে তো আমাকে। আপনি বলছেন অবনতি হয়েছে। কোন রেফারেন্স পয়েন্ট থেকে অবনতিটা হয়েছে? সেটা না দিলে তো আমরা বুঝতে পারব না।
প্রশ্ন : আপনার দায়িত্ব গ্রহণ প্রসঙ্গে আসি। আপনি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন, তার আগে যে আলোচনা হয়েছে, সেখানে তিনটি পক্ষকে সক্রিয় দেখা গিয়েছিল। একটি হচ্ছে গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্ররা, রাজনৈতিক দলগুলো এবং তৃতীয় হচ্ছে সেনাবাহিনী। এই তিনপক্ষের সবাই আপনাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তখন আপনাদের অন্তর্বর্তী সরকারের যে সম্পর্কটা ছিল, এখনো কি সেটা আছে?
উত্তর : অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে আমার তো মনে হয় না। কেউ আমাকে অসমর্থন করছে, এ রকম কোনো খবর তো আমি পাইনি এখনো। সবাই সমর্থন করছে, সবাই চাচ্ছে যে সুন্দরভাবে দেশ চলুক, তাদের সবার মধ্যে ঐক্য আছে। রাজনৈতিক বক্তব্যের মধ্যে অনেক তফাত আছে। কিন্তু তার মানে এই নয়, ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরেছে। এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।
প্রশ্ন : আমি যদি একজনের কথা বলি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি বক্তব্যে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে।
উত্তর : জনমনে... ওনার মনে সন্দেহ হয়েছে কিনা এটা হলো কথা।
প্রশ্ন : তাদের মনে কেন সন্দেহ তৈরি হবে?
উত্তর : সে করেনি তো। সে কথাই বলছি। আমরা যখন বসি, কেউ তো বলে নাই যে সন্দেহ হচ্ছে। সে বলছে আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।
প্রশ্ন : মানে আপনাদের সামনে ভিন্ন কথা বলছে, কিন্তু বক্তব্যে ভিন্ন কথা বলছে। তাই কি হচ্ছে?
উত্তর : ভিন্ন বলছে কিনা সেটা আপনারা বোঝেন। কিন্তু আমাদের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো ঘাটতি হয়নি।
প্রশ্ন : ছাত্রদের প্রসঙ্গে... ছাত্ররা একটা রাজনৈতিক দল গঠন করেছে। সে বিষয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে সরকার তাদের সহায়তা করছে। সরকার কি সহায়তা করছে তাদের বা করেছে?
উত্তর : না, সরকার কোনো সহায়তা করে না। যে রাজনীতি করতে চায়, সে নিজেই ইস্তফা দিয়ে চলে গেছে। তিনজন ছাত্র প্রতিনিধি ছিল সরকারের ভেতরে। যিনি রাজনীতি করতে মনস্থির করেছেন, তিনি ইস্তফা দিয়ে সরকার থেকে চলে গেছেন। উনি প্রাইভেট সিটিজেনশিপে রাজনীতি করবেন, কার বাধা দেওয়ার কী আছে?
প্রশ্ন : সেনাবাহিনী থেকে কি আপনি সহযোগিতা পাচ্ছেন?
উত্তর : সর্বাত্মকভাবে।
প্রশ্ন : প্রথম থেকে যা ছিল, এখনো তাই?
উত্তর : এবসুলেটলি (নিশ্চয়ই)।
প্রশ্ন : আপনি নিশ্চয়ই জানেন সম্প্রতি সেনাপ্রধান একটি বক্তব্য দিয়েছেন, যেখানে তিনি বলেছেন, অনেক বিষয়ে তিনি এবং আপনি একমত। তার মধ্যে তার একটি বক্তব্য ছিল, সবাই একসঙ্গে কাজ করতে না পারলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে বা বিপন্ন হতে পারে। আপনি কি এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত?
উত্তর : এটা ওনার বক্তব্য উনি বলবেন। আমার ওনাকে এনডোর্স করা না করার তো বিষয় না।
প্রশ্ন : যেহেতু উনি বলেছেন অনেক বিষয়ে কথা হয়। আপনি অনেক বিষয়ে একমত। অথবা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা? সরকার প্রধান হিসাবে আপনি কী মনে করেন?
উত্তর : এটা তো সব সময় থাকে। একটা পলাতক দল দেশ ছেড়ে চলে গেছে বা তাদের নেতৃত্ব চলে গেছে। তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছে এটাকে আনসেটেল করার জন্য। এটা তো সব সময় থ্রেট আছেই। প্রতিক্ষণেই আছে, প্রতি জায়গাতেই আছে। কাজেই এটা তো সব সময় থাকবে।
প্রশ্ন : হুমকিটা কি আপনি বলছেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ থেকে?
উত্তর : অবশ্যই। তারা মাঝে মাঝেই ঘোষণা করছে। বক্তৃতা দিচ্ছে। এড্রেস করছে। আপনি-আমরা সবাই শুনছি। মানুষ উত্তেজিত হচ্ছে।
প্রশ্ন : আওয়ামী লীগের বিষয়ে আপনারা বলেছেন বা আপনি এখন যেটা বললেন, তাদের দিক থেকে নানা কর্মকাণ্ড আছে। হুমকিটা কোথায়?
উত্তর : এই যে এড্রেস করছে। জাগো, কাজে নামো ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক আহ্বান জানাচ্ছে না-কর্মসূচি দিচ্ছে, হরতাল করো, অমুক করো। মানুষ কীভাবে নেবে এটাকে বলেন? এটা কি মিষ্টিমুখে চলে যাবে সব?
প্রশ্ন : অন্তর্বর্তী সরকারের একটা বড় লক্ষ্য হিসাবে আপনি সংস্কারের কথা বলেছেন। এটি নিয়ে আপনি অনেকগুলো কমিশনও গঠন করেছেন। কিন্তু এখন যেহেতু আপনারাই বলছেন, বছরের শেষে নির্বাচন হবে। তো এই অল্প সময়ের মধ্যে আপনারা সংস্কার কতটা করতে পারবেন বলে মনে করেন?
উত্তর : সেটা আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আমরা একেবারে প্রত্যেকটা সুপারিশ দেব। সুপারিশের সঙ্গে কথা থাকবে, আপনার রাজনৈতিক দল এটা কি সমর্থন করে? এটাতে রাজি আছেন? রাজি থাকলে বলেন, রাজি না থাকলে বলেন। বা এই যে সুপারিশটা আছে সেটার মধ্যে যদি কোনো একটা সংশোধনী এনে রাজি হবেন, সেটা বলেন। এটা কি নির্বাচনের আগে সংশোধন করা ঠিক হবে নাকি নির্বাচনের পরে, সব প্রশ্নের এখানেই সমাবেশ আছে। রাজনৈতিক দলকে শুধু বলতে হবে কোনটা? সবকিছু মিলালে আমরা এটা ঠিক করব কোন সুপারিশে সবাই একমত হয়েছে। সেটা আলাদা করব যে, এটাতে সবাই একমত হয়েছে। এ রকম যেসব সুপারিশে তারা একমত হয়েছে, সেগুলো আমরা আলাদা একটা কাগজে নিয়ে আসব যে এসব বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। তবে এটাকে আমরা বলব একটা চার্টার। জুলাই চার্টার। এবং সবাইকে আহ্বান জানাব, আপনারা সবাই যেহেতু একমত হয়েছেন এটাতে সই করে দেন। জুলাই চার্টারের মতোই আমরা চলব। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই নির্বাচনটা হবে। নির্বাচনের আগে যেটা বলেছেন সেটা নির্বাচনের আগে হবে, যেটা নির্বাচনের পরে বলেছেন সেটা নির্বাচনের পরে হবে। এটা আপনাদের বিষয়। কিন্তু আপনারা একমত হয়েছেন। সেই ঐকমত্যই আমরা গঠন করার চেষ্টা করছি।
প্রশ্ন : তবে কি বলা যায়, নির্বাচনটা এ বছরের মধ্যেই হচ্ছে?
উত্তর : আমরা তো সেটা ঘোষণা করে দিয়েছি। আবার নতুন করে বলার তো কিছু নাই।
প্রশ্ন : গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি দেখা গেছে। দুই দেশের সম্পর্ক এখন কোন পর্যায়ে আছে?
উত্তর : খুবই ভালো। আমাদের সম্পর্কের কোনো অবনতি হয়নি। আমি যেভাবে ব্যাখ্যা করে এসেছি, সম্পর্ক সব সময় ভালো থাকবে। এখনো ভালো আছে, ভবিষ্যতেও ভালো থাকবে। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ভালো না থেকে উপায় নেই। আমাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, আমাদের পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতা এত বেশি এবং ঐতিহাসিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে আমাদের এত ক্লোজ সম্পর্ক, সেটা থেকে আমরা বিচ্যুত হতে পারব না। তবে মাঝখানে কিছু কিছু দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, আমি বলেছি মেঘ দেখা দিয়েছে। এই মেঘগুলো মোটামুটি এসেছে অপপ্রচার থেকে। অপপ্রচারের সূত্র কারা সেটা অন্যরা বিচার করবে। কিন্তু এই অপপ্রচারের ফলে আমাদের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। সেই ভুল বোঝাবুঝি থেকে আমরা উত্তরণের চেষ্টা করছি।
প্রশ্ন : ভারত সরকারের সঙ্গে আপনার সরাসরি যোগাযোগ হচ্ছে?
উত্তর : সব সময় যোগাযোগ হচ্ছে। তারা এখানে আসছে, আমাদের লোকজন সেখানে যাচ্ছে। প্রাইম মিনিস্টার মোদির সঙ্গে আমার প্রথম সপ্তাহেই কথাবার্তা হয়ে গেছে।
প্রশ্ন : আওয়ামী লীগ কি নিষিদ্ধ হবে বা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না? আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ দেখা গেছে। বিভিন্নজন বিভিন্ন কথা বলছেন। এটা নিয়ে আপনার অবস্থানটা কী?
উত্তর : ওই যে ঐকমত্য। আমরা বরাবরই ফিরে যাচ্ছি ঐকমত্যে। সবাই মিলে যা ঠিক করবে আমরা তাই করব।
প্রশ্ন : এ বিষয়ে আপনার সরাসরি অবস্থান নেই বা আওয়ামী লীগ কি নিষিদ্ধ হবে বা রাজনীতি করবে কিনা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না?
উত্তর : আমি অত ডিটেইলসে যাচ্ছি না। আমার বরাবরই পজিশন হলো, আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক। আমাদের এই দেশের ওপরে সমান অধিকার। আমরা সব ভাই ভাই। আমাদের এই দেশেই বাঁচতে হবে। এ দেশকেই বড় করতে হবে। কাজেই যে মত-দল করবে, তার মতো করে, সবকিছু করবে। এই দেশ থেকে কারও অধিকার কেড়ে নেওয়ার কোনো উপায় নাই। কিন্তু যে অন্যায় করেছে, যার বিচার হওয়া উচিত, তার বিচার হতে হবে। এটুকুই শুধু।