সাবেক সেনা কর্মকর্তার বাসা থেকে আড়াই কোটি টাকা উদ্ধার

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই-ডিরেক্টর জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স) সাবেক প্রধান অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল সাইফুল আলমের বাসা থেকে আড়াই কোটি টাকা জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
আক্তার হোসেন বলেন, সাবেক এই কর্মকর্তার বিষয়ে দুদকে একটি অনুসন্ধান চলমান ছিল। ২৭ ফেব্রুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থা, যৌথ বাহিনীর সহায়তায় তার ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদক।
দুদক সূত্র জানায়, সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টের বাসায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে ভোর ৩টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ওই পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। তবে এ বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
আরেকটি সূত্র জানায়, সাইফুল আলমকে গ্রেফতার করতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। অভিযানের খবর আগেই জানতে পেরে তিনি বিপুল পরিমাণ টাকা গাড়িতে তুলে বাসা থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সময়ের অভাবে একপর্যায়ে গাড়িতে তোলা টাকা ফেলেই তিনি পালিয়ে যান। অভিযানে যাওয়া যৌথ বাহিনীর সদস্যরা গাড়িতে টাকার অবস্থা নিশ্চিত হয়ে তা জব্দ করতে থানা পুলিশকে খবর দেন। কিন্তু পুলিশ টাকা জব্দ করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে দুদক গিয়ে টাকা জব্দ করে।
রোববার দুদকের হেফাজতে থাকা উদ্ধার করা টাকা ও জব্দ করা আলামত আদালতে উপস্থাপন করা হয়। জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। একই সঙ্গে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা অ্যাকাউন্ট এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসার ব্যাংক অ্যাকাউন্টও স্থগিত করা হয়।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি অভিযোগ আসে দুদকে। দুদকের গোয়েন্দা সেল গোপন অনুসন্ধান করে তার নামে অবৈধ সম্পদের আমলযোগ্য তথ্য পায়।
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান সাইফুল আলমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

