Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্কোর ২৩

নিয়ন্ত্রণের বাইরে দুর্নীতি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নিয়ন্ত্রণের বাইরে দুর্নীতি

ছবি: সংগৃহীত

দেশে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে দুর্নীতি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতির স্কোরে আরও পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ২৩। এ স্কোর ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ১৮০টি দেশের মধ্যে ২০২৪ সালে অধঃক্রম অনুযায়ী (খারাপ থেকে ভালো) বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম। সূচকের উচ্চক্রম অনুযায়ী (ভালো থেকে খারাপ) অবস্থান ১৫১-তে নেমেছে। অর্থাৎ দুর্নীতি মূল্যায়নের তিনটি সূচকই বলছে, দুর্নীতি বাড়ছে।

রিপোর্টে স্পষ্টভাবে বলা হয়, দুর্নীতির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে বাংলাদেশ। জার্মানভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা টিআই-এর দুর্নীতির ধারণাসূচক (করাপশন পারসেপশন ইনডেক্স বা সিপিআই)-২০২৪ সালের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। বিশ্বে মঙ্গলবার একযোগে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এদিন বাংলাদেশে টিআই-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান টিআইবি নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তার মতে, ৫ আগস্টের পর দেশে চাঁদাবাজি চলছে। তবে ব্যানারের পরিবর্তন হয়েছে। এছাড়া দেশ থেকে অর্থ পাচারের অন্যতম গন্তব্য ভারত। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের এ অবস্থান এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পঞ্চম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয়। এছাড়া বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দক্ষিণ সুদান এবং সবচেয়ে কম ডেনমার্ক। দুর্নীতি প্রতিরোধে বেশকিছু সুপারিশ করেছে টিআই। এগুলো হলো-দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, দুদককে আরও স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া এবং অবাধ গণমাধ্যম ও সক্রিয় নাগরিক সমাজ বিকাশে উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা।

বাংলাদেশের অবস্থান : টিআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১৪তম। আগের বছর যা ছিল দশম। বাংলাদেশের চার ধাপ এগিয়ে যাওয়ার কারণ এ দেশে দুর্নীতি কমেছে, তা নয়। বরং অবস্থা খারাপ হয়েছে। গত বছর বেশি নম্বর পেয়েও বাংলাদেশের অবস্থান ছিল পেছনে। এ বছর কম নম্বর পেয়েও বাংলাদেশ ৪ ধাপ এগিয়েছে। এর কারণ হলো-অন্যান্য কয়েকটি দেশের অবস্থান খারাপ হয়েছে। ফলে তারা বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়েছে। এতে বাংলাদেশ সামনে এগিয়েছে। কিন্তু সামগ্রিক মূল্যায়নে বাংলাদেশ আগের বছরের চেয়ে নম্বর আরও কম পেয়েছে। অন্যদিকে উচ্চক্রম অনুসারে বাংলাদেশ দুই ধাপ পিছিয়েছে। ১৮০টি দেশের মধ্যে আলোচ্য বছরে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫১তম। ২০২৩ সালে যা ছিল ১৪৯তম। একই স্কোর নিয়ে তালিকার উচ্চক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ অবস্থানে কঙ্গো ও ইরান। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ৩১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ পঞ্চম। এর আগে রয়েছে সিরিয়া, মিয়ানমার ও উত্তর কোরিয়া।

সিপিআই অনুযায়ী, দুর্নীতির ধারণার মাত্রাকে ০ (শূন্য) থেকে ১০০ (একশ)-এর স্কেলে নির্ধারণ করা হয়। এ পদ্ধতি অনুসারে স্কেলের ০ (শূন্য) স্কোরকে সর্বোচ্চ এবং ১০০ স্কোরকে সর্বনিম্ন দুর্নীতি বলে ধারণা করা হয়। ২০২৪ সালে ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৩, আগের বছর পেয়েছিল ২৪। এর মানে হলো, দুর্নীতি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের স্কোর ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে এক ধাপ কমেছে।

সিপিআই অনুসারে, ১০০ স্কোরের মধ্যে বৈশ্বিক গড় স্কোর ৪৩। সেখানে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৩ অর্থাৎ বৈশ্বিক গড় স্কোরের তুলনায় বাংলাদেশ ২০ নম্বর কম পেয়েছে। এছাড়াও ২০১২ সালের পর অর্থাৎ ১৩ বছর পর এবার সর্বনিম্ন স্কোর।

দুর্নীতিতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন : সিপিআই অনুযায়ী, ১০০-এর মধ্যে ৯০ স্কোর পেয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ডেনমার্ক। অর্থাৎ ১৮০টি দেশের মধ্যে ডেনমার্কে সবচেয়ে দুর্নীতি কম হয়। এরপর সবচেয়ে কম দুর্নীতি থাকা দেশগুলোর মধ্যে ৮৮ স্কোর নিয়ে ফিনল্যান্ড দ্বিতীয়, ৮৪ স্কোর নিয়ে সিঙ্গাপুর তৃতীয়, ৮৩ স্কোর নিয়ে নিউজিল্যান্ড চতুর্থ এবং ৮১ স্কোর নিয়ে যৌথভাবে লুক্সেমবার্গ, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড পঞ্চম স্থানে রয়েছে। তবে এবার সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় উঠে এসেছে দক্ষিণ সুদানের নাম। এবার দেশটির স্কোর মাত্র ৮। এ তালিকায় আরও রয়েছে সোমালিয়া, ভেনিজুয়েলা ও সিরিয়া।

দক্ষিণ এশিয়া : দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম দুর্নীতি হয় ভুটানে। এর মধ্যে ৭২ স্কোর নিয়ে ওপরের দিক থেকে তাদের অবস্থান ১৮তম। দেশটিতে ২০২৩ সালের তুলনায়ও দুর্নীতি কমেছে। ভুটান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশেই গত বছর দুর্নীতি বেড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় আফগানিস্তান ১৭ পয়েন্ট নিয়ে সর্বনিম্ন স্কোর ও অবস্থানে রয়েছে। এ অঞ্চলে ৮টি দেশের মধ্যে আফগানিস্তানের পরই বাংলাদেশে দুর্নীতির মাত্রা সবচেয়ে বেশি।

দুর্নীতির ধরন : রিপোর্টে দুর্নীতির বেশকিছু ধরনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হলো-ঘুস ও সরকারি তহবিল তছরুপ, ব্যক্তিগত লাভের জন্য কর্মকর্তাদের সরকারি অফিসের অবাধ ব্যবহার, সরকারি কাজে অতিরিক্ত লাল ফিতার দৌরাত্ম্য-যা দুর্নীতির সুযোগ বৃদ্ধি করে, সরকারি নিয়োগে স্বজনপ্রীতি এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় কায়েমি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর দখলদারি।

অর্থ পাচার : অর্থ পাচার বাংলাদেশের অন্যতম সমস্যা। তবে বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে বেশি অর্থ পাচার হচ্ছে, ওইসব দেশে তুলনামূলকভাবে দুর্নীতি কম। এর মধ্যে রয়েছে সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, কানাডা, হংকং, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া ও ভারত। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এসব দেশে দুর্নীতি কম হলেও তারা অর্থ পাচারে সহযোগিতা করছে। তাদের দেশে পাচারের চাহিদা তৈরি হয়েছে বলেই ওই দেশে অর্থ যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে যে অর্থ পাচার হচ্ছে, এর অন্যতম গন্তব্য ভারত। নানাভাবে সেখানে টাকা যাচ্ছে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, দেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা গভীর উদ্বেগজনক। আর এ বছর স্কোর ও উচ্চক্রম অনুযায়ী অবস্থানের অবনমন প্রমাণ করে, গত ১৩ বছর কর্তৃত্ববাদী সরকার মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেও বাস্তবে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে। এমনকি দুর্নীতির কাজে সহায়তা ও অংশগ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে সরকারি প্রকল্পে কেনাকাটায় সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে। অথচ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদকসহ অন্য সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তায় অর্থ পাচার ও দুর্নীতির বিস্তার ঘটেছে। বিগত ১৩ বছর কর্তৃত্ববাদী সরকার লুটপাট ও দুর্নীতিবাজদের রাষ্ট্রীয়ভাবে তোষণ করেছে। এক্ষেত্রে আইনের সঠিক প্রয়োগ না করায় সার্বিক কাঠামোগত দুর্বলতায় বাংলাদেশের অবস্থানের ক্রম অবনতি হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরও দেশে চাঁদাবাজি ও দলবাজি চলছে। এক্ষেত্রে ব্যানারের পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু চাঁদাবাজির কাজ আগের মতোই রয়েছে। তবে আমরা আশাবাদী, অবস্থার পরিবর্তন হবে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিশ্বে ২৪টি দেশ পূর্ণ গণতান্ত্রিক। ৫০টি ত্রুটিপূর্ণ গণতান্ত্রিক, ৩৬টি হাইব্রিড গণতান্ত্রিক এবং ৫৯টি কর্তৃত্ববাদী। কিন্তু আরেকটি বিষয় অত্যন্ত হতাশাজনক-এবারের রিপোর্টে পূর্ণগণতান্ত্রিক দেশের সম্মিলিত স্কোর ৭৩, ত্রুটিপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশের ৪৭, হাইব্রিড দেশের ৩৭ এবং কর্তৃত্ববাদী দেশের স্কোর ২৯। আর বাংলাদেশের স্কোর ২৩। এর মানে হলো, কর্তৃত্ববাদী দেশের গড় স্কোরের চেয়েও বাংলাদেশের স্কোর কম। তার মতে, বাংলাদেশে দুর্নীতি ও অবিচার পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। দুর্নীতি অন্যায়কে উৎসাহিত করে এবং অন্যায় দুর্নীতির দুষ্টচক্র তৈরি করে। তিনি বলেন, যেসব দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা রয়েছে, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত, সেসব দেশের কার্যকর দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের সম্ভাবনা বেশি। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে। সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা, ইতোমধ্যে যার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড অ্যালার্ট জারি করেছে-তিনি চারবার জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন। গত কয়েক বছরে সরকারি ক্রয় ও বিতরণব্যবস্থাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে দুর্নীতির অসংখ্য তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এ সময়ে বিদেশে অর্থ পাচারের আশঙ্কাজনক চিত্র উঠে এলেও প্রতিরোধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেই। ঋণখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থ পাচারে জর্জরিত ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। উলটো এসব ঘটনায় দায়ীদের জন্য বিচারহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও অবস্থান ও পরিচয়-নির্বিশেষে আইনের কঠোর প্রয়োগ হয় না। তিনি বলেন, রাজনৈতিক শুদ্ধাচারের মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করা গেলে আমাদের অবস্থান আরও ভালো হতো।

সংবাদ সম্মেলনে ড. জামান আরও বলেন, বিশ্বের বেশকিছু দেশে নাগরিক স্বাধীনতা সংকুচিত হওয়ায় দুর্নীতি বাড়ছে। বাংলাদেশেও এই প্রবণতা দেখা যায়। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, আইন প্রয়োগে ঘাটতি রয়েছে। অর্থনৈতিক খাতসহ বিভিন্ন খাতে ক্রমবর্ধমান অনৈতিক প্রভাব বিস্তার, অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং বিশৃঙ্খলায় দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা যায়নি। ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করলে এক্ষেত্রে হয়রানি ও নাজেহাল হতে হয়। এটি গণমাধ্যমকর্মী ও নাগরিক সমাজ-সবার জন্য একইভাবে প্রযোজ্য। নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য কাজের ক্ষেত্রে ক্রমাগত সংকুচিত হচ্ছে। এটি দুর্নীতি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অত্যন্ত বড় প্রতিবন্ধকতা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বের ১৩টি শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের জরিপের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ রিপোর্ট তৈরি করে টিআই। এক্ষেত্রে যেসব দেশ এখানে স্থান পাবে, তাদের কমপক্ষে ৩টি আন্তর্জাতিক জরিপ থাকতে হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তথ্যসূত্র হিসাবে ৮টি জরিপ ব্যবহৃত হয়েছে। এগুলো হলো-বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি পলিসি অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল অ্যাসেসমেন্ট, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এক্সিকিউটিভ ওপিনিয়ন সার্ভে, গ্লোবাল ইনসাইট কান্ট্রি রিস্ক রেটিংস, বার্টেলসম্যান ফাউন্ডেশন ট্রান্সফরমেশন ইনডেক্স, ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট রুল অব ল, পলিটিক্যাল রিস্ক সার্ভিসেস ইন্টারন্যাশনাল কান্ট্রি রিস্ক গাইড, ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কান্ট্রি রিস্ক রেটিংস এবং ভ্যারাইটিস অব ডেমোক্র্যাসি প্রজেক্ট ডেটাসেট রিপোর্ট। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সিপিআই নির্ণয়ে টিআইবির কোনো ভূমিকা নেই। এমনকি টিআইবির গবেষণা থেকে প্রাপ্ত কোনো তথ্যও এখানে বিবেচনায় নেওয়া হয় না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতোই টিআইবি ধারণাসূচক দেশীয় পর্যায়ে প্রকাশ করে। এক্ষেত্রে এবারের সূচকের জন্য ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম