Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

রাজউকের ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ

হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে আরও তিন মামলা

আসামির তালিকায় অন্যরা হলেন-সাইফুল ইসলাম, পূরবী গোলদার, কাজী ওয়াছি উদ্দিন, মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, আনিছুর রহমান মিঞা, মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মেজর (ইঞ্জি.) শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, মো. নূরুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান ও শাহিনুল ইসলাম।

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে আরও তিন মামলা

ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আর সহযোগী আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনা ও টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিককে। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়। এর আগে রোববার একই অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করে দুদক।

সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, পূর্বাচল নতুন শহরে প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রভাবিত করেছেন। এ বিষয়ে দুদকের কাছে যথেষ্ট প্রমাণাদি আছে।

জানা যায়, শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। এ মামলায় শেখ হাসিনা, রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। রিজওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক এসএম রাশেদুল হাসান। মামলাটিতে ববির ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তীসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আর আজমিনাকে প্রধান আসামি করে দায়ের করা মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।

তিনটি মামলার আসামি তালিকায় অন্য যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন-জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সচিব পূরবী গোলদার, সাবেক অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মেজর (ইঞ্জি.) শাসসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, মো. নূরুল ইসলাম, সাবেক উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান ও পরিচালক শাহিনুল ইসলাম। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/ ৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজউকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় সরকারের ক্ষমতা ব্যবহার করে রাজনৈতিক বিবেচনায় প্লট বরাদ্দ দেন। এই বরাদ্দের তালিকায় শেখ হাসিনা ছাড়াও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, ছোট বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের নাম রয়েছে। বরাদ্দকৃত প্লটগুলো পূর্বাচল নতুন শহরের সেক্টর ২৭-এর কূটনৈতিক জোনে সড়ক নং ২০৩-এ অবস্থিত। জনপ্রতি ১০ কাঠা করে মোট ৬০ কাঠা জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। জানা যায়, এ প্লট বরাদ্দে অনিয়ম নিয়ে যুগান্তরে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয়। এরপর ২৬ ডিসেম্বর এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধান শেষে রবি ও সোমবার দুই দিনে চারটি মামলা করেছে দুদক। প্রসঙ্গত, টানা দেড় দশক দেশ শাসনের পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তিনি এখনো সেখানেই আছেন। প্লট কেলেঙ্কারি ছাড়াও শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ওঠা ৩০০ মিলিয়ন ডলার (৩০ হাজার কোটি টাকা) বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান দুদকে চলমান।

এছাড়া শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে পাঁচ সদস্যের একটি টিম।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম