ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে এখনো ছয়টি লাশ বেওয়ারিশ অবস্থায় আছে। তারা শেখ হাসিনা সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় মারা গেছেন বলে দাবি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিষয়ক বিশেষ সেলের। শনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় ময়নাতদন্ত শেষে লাশগুলো এখন মর্গের হিমাগারে আছে।

জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকাল থেকে এখন পর্যন্ত কারও স্বজন নিখোঁজ থাকলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। শুক্রবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেল সম্পাদক (দপ্তর সেল) জাহিদ আহসানের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিষয়ক বিশেষ সেল জানতে পারে ঢাকা মডিকেলে ছয়টি লাশ অশনাক্তকৃত অবস্থায় আছে। তারা গণ-অভ্যুত্থানের সময় শহিদ হয়েছেন। শুক্রবার সকালে সেলের একটি টিম এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য শাহবাগ থানায় যায়। থানার ওসি খালিদ মনসুর ছয়টি লাশ হিমাগারে থাকার তথ্য নিশ্চিত করেন। এরপর বিশেষ সেলের টিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক মর্গে গিয়ে লাশগুলো দেখে আসে। ছয়টি লাশের মধ্যে অজ্ঞাতনামা পুরুষ (২০), অজ্ঞাতনামা পুরুষ (২৫), অজ্ঞাতনামা পুরুষ (২২), অজ্ঞাতনামা নারী (৩২), অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৩০)। আর এনামুল (২৫) নামের একজন।

জানা যায়, লাশগুলোর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এতে পাঁচজনের মৃত্যুর কারণ হিসাবে লেখা হয়েছে ‘আঘাতজনিত কারণে মৃত্যু’। একজনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে ওপর থেকে নিচে পড়ে মারা যাওয়ার কথা লেখা হয়েছে। লাশগুলোর ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।

শাহবাগ থানার পক্ষ থেকে আমাদের বলা হয়েছে লাশগুলো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের। তবে কবে ও কয় তারিখে লাশগুলো আনা হয়েছে সেটা স্পষ্ট করেনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ লাশগুলোকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য স্বজনদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। এ অবস্থায় উল্লিখিত বয়সের কেউ যদি মিসিং থাকেন, তবে তার পরিবারের সদস্যদের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিষয়ক বিশেষ সেলে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করতে বলা হয়ছে। ০১৬২১৩২৪১৮৭-এই নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে।