৪৩তম বিসিএস
বাদ পড়াদের বেশির ভাগই যোগ দিতে পারবেন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
৪৩তম বিসিএসের বাদ পড়া ২২৭ জনের মধ্যে বেশির ভাগই চাকরিতে যোগ দিতে পারবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই বিসিএস থেকে বাদ পড়াদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। জনপ্রশাসন সচিব বলেন, যে ২২৭ জন বাদ পড়েছেন গোয়েন্দা রিপোর্টে তাদের বেশির ভাগই যোগ দিতে পারবেন। এখন তাদের পুনর্বিবেচনার আবেদনের যাচাই-বাছাই চলছে। যাদের বিরুদ্ধে একেবারে সুনির্দিষ্ট অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারাই শুধু বাদ পড়বেন।
তিনি বলেন, যারা গুরুতর অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় সরকার তাদের নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বিরূপ মন্তব্য থাকায় বাদ পড়া ২২৭ জনের মধ্যে কতজন প্রার্থী নিয়োগ পাবেন তা দু-তিন দিনের মধ্যে জানা যাবে। সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ফৌজদারি অপরাধ, রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ, স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিষ্কৃত হয়েছিল অথবা এমন কোনো হিডেন অপরাধ করেছেন যেটা সামনে আসছে-এরা ছাড়া অন্যরা নিয়োগ পাবেন। তবে একটি প্রক্রিয়া শেষে তাদের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হবে।
সিনিয়র সচিব আরও বলেন, আজকের সভায় যাদের নির্বাচিত করা হয়েছে, সেই বিষয়ের একটি সামারি প্রধান উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। সেখান থেকে ফাইল অনুমোদন হয়ে ফেরত আসার পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখা থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। মোখলেস উর রহমান বলেন, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এই কাজটি করা হচ্ছে। এটা শুধু একটি ছেলে বা একটি মেয়ের বিষয় নয়, তার বা তাদের পরিবারের রোজগারের বিষয়। অনেকেই চাকরিতে যোগদানের পর বিয়ে করবে। বাবা-মায়ের থাকা-খাওয়া, চিকিৎসা এবং সংসারের দায়িত্ব তাদের লালিত আশা-আকাঙ্ক্ষা দ্রুত যাতে বাস্তবায়ন করা যায় সেজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। দু-তিন দিনের মধ্যে তালিকা জানতে পারবেন।
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশের ভিত্তিতে ২২৭ জন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জনসহ ২৬৭ জনকে বাদ দিয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএসের গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এরপর থেকে বাদ পড়া প্রার্থীরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন। নিয়োগের দাবিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা দেন তারা।
মহার্ঘভাতা : সাংবাদিকদের প্রশ্নে সিনিয়র সচিব আরও জানান, আগামী ৩০ জুনের আগেই কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘভাতা ঘোষণা করবে সরকার। তবে কত শতাংশ ঘোষণা করা হবে সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি। মহার্ঘভাতা পর্যালোচনা কমিটির সদস্য মোখলেস উর রহমান বলেন, দুটি সভা হয়েছে। এবার পেনশনারদেরও মহার্ঘভাতা দেওয়া হবে। এবার যারা মহার্ঘভাতা পাবেন ইনক্রিমেন্টের সময় সেই ভাতা বেসিকের সঙ্গে যোগ হবে বলেও জানান জনপ্রশাসন সচিব। মহার্ঘভাতা ঘোষণার পরও সরকারি কর্মচারীদের জন্য বর্তমানে চালু থাকা ৫ শতাংশ হারে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে কি না, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি জনপ্রশাসন সচিব। তিনি বলেন, অনুমান করে এটা বলা ঠিক নয়। আপনারা অর্থ উপদেষ্টা এবং অর্থ সচিবের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।