Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

বিদায় জানাতে লাখো মানুষের ঢল

লন্ডনের পথে খালেদা জিয়া

হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি * পুনর্মিলনের অপেক্ষায় জিয়া পরিবার * দ্রুতই দেশের মানুষের কাছে ফিরে আসবেন-আশা মির্জা ফখরুলের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

লন্ডনের পথে খালেদা জিয়া

নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে গেলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। এ উপলক্ষ্যে ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে ও একনজর দেখতে লাখো মানুষের ঢল নামে। দলীয় নেতাকর্মীরা গুলশান, বনানী ও এয়ারপোর্ট সড়কের দুপাশে দাঁড়িয়ে হাত নাড়িয়ে তাদের প্রিয় নেত্রীকে বিদায় জানান। এ সময় সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। আবেগাপ্লুত হতে দেখা গেছে অনেককে। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো বিশেষ সুবিধাসংবলিত কাতার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ছয় চিকিৎসক, নার্স ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১৫ জন এই সফরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গেছেন। 

পথিমধ্যে দোহায় যাত্রাবিরতি শেষে আজ বাংলাদেশ সময় সকালে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। সেখানে বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাবেন। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৭ বছর পর দেখা হচ্ছে মা ও ছেলের। অবসান হতে যাচ্ছে তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার। পুনর্মিলনের অপেক্ষায় শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবার। হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সরাসরি খালেদা জিয়াকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হবে। 

লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা সুপারিশ করলে খালেদা জিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়া কবে দেশে ফিরতে পারবেন-এ বিষয়ে চিকিৎসকরা কোনো তথ্য জানাতে পারেননি। এ কারণে দলের ভেতরে ও বাইরে তার বিদেশ যাওয়া নিয়ে ‘স্বস্তির’ পাশাপাশি এক ধরনের দুশ্চিন্তাও ভর করেছে। তবে চিকিৎসা শেষে ওমরাহ পালন করে দেশে ফেরার কথা রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার। ৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনি সমস্যাসহ নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় দীর্ঘদিন ভুগছেন।

খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি লন্ডনের উদ্দেশে রওনার পর রাতে বিমানবন্দরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনে, মিথ্যা মামলায় বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে ছয় বছর আটক করে রাখা হয়। আটক করে রাখার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর আমরা বারবার বলেছি বিদেশে নেওয়ার জন্য সুযোগ দিন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা কোনো কথাতেই কর্ণপাত করেননি। আল্লাহর অশেষ রহমতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে আজ খালেদা জিয়া সম্পূর্ণ মুক্ত হয়েছেন মিথ্যা মামলা থেকে। তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেছেন- আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা আশা করছি সুচিকিৎসা করে খালেদা জিয়া দ্রুতই আবার দেশের মানুষের কাছে ফিরে আসবেন। যাওয়ার সময় তিনি (খালেদা জিয়া) আবারও বলেছেন, ‘দেশবাসী যেন আমার জন্য দোয়া করেন, আমিও আল্লাহর কাছে দোয়া করি দেশবাসীকে যেন ভালো রাখেন, তাদের কল্যাণ করেন।’ গণতন্ত্র যেন প্রতিষ্ঠা করা হয়, গণতন্ত্রকে যেন আমরা সবাই মিলে প্রতিষ্ঠা করি এ বার্তাটিও দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কাতারের চারজন চিকিৎসক ও প্যারামেডিকসরাও রয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক ও ব্যক্তিগত স্টাফসহ খালেদা জিয়ার সঙ্গে গেছেন ১৫ জন। তারা হলেন-ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলী রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, মো. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, নুরউদ্দিন আহমদ, মোহাম্মদ আল মামুন, শরীফা করিম স্বর্ণা, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদুর রহমান, প্রটোকল অফিসার এসএম পারভেজ এবং গৃহকর্মী ফাতিমা বেগম ও রূপা শিকদার। এর আগে চোখ ও পায়ের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই যুক্তরাজ্যে গেলে তারেক রহমান নিজে গাড়ি চালিয়ে মা খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় নিয়ে যান। যা নিয়ে তখন রাজনৈতিক অঙ্গনে তারেক রহমানকে নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছিল। 

বিদায় জানাতে লাখো মানুষের ঢল : খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে ও একনজর দেখতে সড়কে মানুষের ঢল নামে। বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পাশাপাশি সমমনা দলগুলোর নেতারাও ছুটে যান গুলশানের বাসভবন ফিরোজার সামনে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয় বাসার সামনের সড়কের। বিকাল ৪টায় দেখা যায় বাসভবনের সামনে ও আশপাশের এলাকায় মানুষের উপচে পড়া ভিড়। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা মাহমুদুর রহমান নামের এক বিএনপি কর্মীর সঙ্গে কথা হয় যুগান্তরের। তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে জানান, খালেদা জিয়াকে একনজর দেখতে এসেছেন। খালেদা জিয়া দেশের মানুষের কাছে একটি আবেগ। এত অত্যাচার-নির্যাতনের পরও মাথা উঁচু করে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেলেন। কতটা সম্মানিত ব্যক্তি হলে কাতারের আমির এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠান। অথচ যারা তাকে অসম্মানিত করেছিলেন, তারা আজ কোথায়? গণতন্ত্র ও মুক্তিকামী জাতির শেষ আশ্রয়স্থল ও প্রেরণার বাতিঘর হচ্ছেন খালেদা জিয়া। তিনি দ্রুতই সুস্থ হয়ে বাংলাদেশে ফিরবেন বলে আশা করেন মাহমুদুর রহমান। বিকালেই খালেদা জিয়ার মালামাল পাঠানো হয় বিমানবন্দরে। রাত ৮টা ১০ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয় খালেদা জিয়ার গাড়িবহর। গুলশান-২ নম্বর হয়ে বনানীর কাকলী, কুর্মিটোলা, খিলক্ষেত হয়ে বিমানবন্দর যায় খালেদা জিয়ার বহর। এ সময় সড়কের দুপাশে লাখো মানুষ তাকে হাত নাড়িয়ে বিদায় দেন। নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন। অনেক নেতাকর্মীর উপস্থিতির কারণে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে, এ সময় সড়কের অপর পাশে তীব্র যানজনের সৃষ্টি হয়।

ভিভিআইপি টার্মিনালে আগে থেকেই মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। রাত ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়া ভিভিআইপি টার্মিনালে পৌঁছান। পরে হুইল চেয়ারে তাকে টার্মিনালের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হলে মির্জা ফখরুলসহ সিনিয়র নেতারা বিদায় জানান। খালেদা জিয়া ও তার সফরসঙ্গীদের ইমিগ্রেশন শেষে রাত সোয়া ১১টার দিকে তারা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন।

বিমানবন্দরে ছিল কয়েক স্তরের নিরাপত্তা : খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা উপলক্ষ্যে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে ও ভেতরে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। পুরো বিমানবন্দর এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়। বিমানবন্দরের বাইরে (ল্যান্ডসাইড) নিরাপত্তায় এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের পাশাপাশি ছিল র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ডিবি এবং সোয়াতের মতো স্পেশাল টিমের সদস্যরাও। ছিল সেনাবাহিনীও। ভেতরে বিমানবাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া কুইক রেসপন্স টিম, ডগ স্কোয়াডও মোতায়েন ছিল। 

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যেসব সুবিধা : কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হলো দ্রুতগামী এয়ারবাস এ-৩১৯ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক সব চিকিৎসা সুবিধা। ফ্রান্সের এয়ারবাস কোম্পানির তৈরি এই অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ জরুরি পরিস্থিতিতে রোগীদের জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসাসেবা দিতে সক্ষম। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সকে বলা যেতে পারে একটি উড়ন্ত হাসপাতাল। এ উড়োজাহাজগুলোতে সব ধরনের জরুরি চিকিৎসা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বশেষ প্রযুক্তির চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেন্টিলেটর, ডিফিব্রিলেটর, মনিটর, ইনফিউশন পাম্প এবং অন্যান্য জরুরি ওষুধ। আছে আইসিইউ সুবিধা। বিশেষ এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে একটি পূর্ণ আইসিইউ সুবিধা রয়েছে। রোগীর কঠিন কোনো পরিস্থিতিতে তাকে স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সুবিধা রয়েছে এতে। এই বিশেষ বিমানে সব সময় অত্যন্ত দক্ষ ডাক্তার ও নার্স থাকেন, যারা রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা দিতে সক্ষম। রোগীর আরামের জন্য এই উড়োজাহাজগুলো খুবই স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে রোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য আলাদা জায়গা থাকে। বিশেষ এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স স্বয়ংসম্পূর্ণ। অর্থাৎ দীর্ঘ দূরত্বের বিমানযাত্রার ক্ষেত্রেও রোগীর সব ধরনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। উড়োজাহাজটি একটানা প্রায় ১১ হাজার ২৬৫ কিলোমিটার উড়তে সক্ষম।

পুনর্মিলনের অপেক্ষায় জিয়া পরিবার : এখন রাজনৈতিক অঙ্গনের বাইরেও আলোচনায় দীর্ঘ সময় পর জিয়া পরিবারের পুনর্মিলনীর কথা। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালে মারা যাওয়ার পর দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকে আগলে রেখেই দিন কাটে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। গৃহবধূ থেকে রাজনীতির মাঠে এসে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেশ চালিয়েছেন তিনি। তবে আলোচিত এক-এগারোর সময়ে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে মহাবিপদের মধ্যে পড়ে জিয়া পরিবার। দুই ছেলের একজন বিদেশে থাকতেই মারা যান। বড় ছেলে তারেক রহমান ২০০৭ সাল থেকে পরিবারসহ চিকিৎসার জন্য অবস্থান করছেন লন্ডনে। লম্বা বিরতির পর ২০১৭ সালে একবার মা-ছেলের সঙ্গে দেখা হলেও গত সাড়ে সাত বছর কেটেছে ভার্চুয়াল কথাবার্তার মধ্য দিয়ে। এবার চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেলেন খালেদা জিয়া। লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে আগে থেকেই অবস্থান করছেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথিও লন্ডন গেছেন। কোকোর দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান, জাফিয়া রহমানও লন্ডনে আছেন। তাই লন্ডনে পুরো জিয়া পরিবারের সবাইকে এক ফ্রেমে দেখা যাবে।

বিএনপির চেয়ারপারসন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন তিনি। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। গুলশানে বাসায় থাকলেও বেশির ভাগ সময়ই তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে। উন্নত চিকিৎসায় তাকে বিদেশে নেওয়ার জন্য অন্তত সাতবার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলেও তাতে সাড়া দেয়নি আওয়ামী লীগ সরকার। এর মধ্যে এভারকেয়ার হাসপাতালে তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। এছাড়া সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর হার্টে তিনটি ব্লক ছিল। একটিতে রিং পরানো হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। এবার সরাসরি চিকিৎসার সুযোগ পেলেন খালেদা জিয়া।


Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম