বিডিআর হত্যাকাণ্ড
অনুমতি পেলে ভারতে হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ: মে. জে. ফজলুর রহমান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান বলেছেন, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে দেশে না পাঠায়, তা হলে তাদের অনুমতি পেলে তদন্ত কমিশন ভারতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। সোমবার রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিডিআর বিদ্রোহ থেকে বেঁচে ফেরা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
ফজলুর রহমান বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড কোনো ধরনের বিদ্রোহ ছিল না। এটি ছিল সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এর মাধ্যমে বিডিআর, সেনাবাহিনী ও দেশকে দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে। তবে স্বচ্ছভাবে তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে পিলখানা হত্যাযজ্ঞের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। তদন্তের সময় বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। তবে প্রয়োজন হলে সময় বৃদ্ধির আবেদন করা হবে। কমিশন চায় সবাই যেন ন্যায়বিচার পায়। প্রয়োজনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছরে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বহু প্রমাণ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন যা হওয়ার তা খোলামেলাভাবে হবে। দেশি-বিদেশিরা মিলে বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং ভারত জড়িত আছে শুধু এই কথা বললেই হবে না। তার সপক্ষে প্রমাণ হাজির করতে হবে। তবে বিডিআর হত্যাকাণ্ডে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন নিরপেক্ষ থাকবে ও সহযোগিতা নিয়ে তদন্ত কাজ চালাবে এবং ছোট-বড় সব প্রমাণ গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর। দুদিনে পিলখানায় নিহত হন ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। ভয়ংকর নির্যাতনের শিকার হয়ে বেঁচে ফেরেন ৫৫ জন। এ ঘটনার ১৫ বছর পর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ৭ সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। গঠিত সেই কমিশনের সঙ্গে সোমবার শহিদ পরিবারের সদস্যদের মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। এতে উঠে আসে সেই সময়ের ভয়াবহ ও নির্মমতার কথা। সঠিক বিচার না হওয়ায় আক্ষেপ জানান স্বজন হারানো পরিবারের সদস্যরা। বিডিআর হত্যাকাণ্ডকে সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত দাবি করে শহিদ পরিবারের সন্তানরা জানান, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে উন্মোচিত হোক প্রকৃত ঘটনা। বিচার হোক দোষীদের।