আরাফাতের জানাজায় উপদেষ্টা নাহিদ
হাসিনা দেশে আসবে ফাঁসিতে ঝোলার জন্য
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশে আসবে কেবল ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলার জন্য-এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। সোমবার বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শহিদ আরাফাতের জানাজা শুরুর আগে তিনি এ কথা বলেন। জানাজা শেষে শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আহতরা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকার উত্তরায় পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিল কিশোর আরাফাত হুসাইন। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরাফাতের জানাজায় ইমামতি করেন তার ভাই হাসান আলী। এতে আরও অংশ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, আরাফাতের বাবা শহিদুল ইসলাম, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম, সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার প্রমুখ।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, গণহত্যাকারীদের আমরা বাংলার মাটিতে বিচার নিশ্চিত করব-এই ঘোষণা দিয়েই আমরা একদফা ঘোষণা করেছিলাম। একবিন্দু পরিমাণও আমরা পিছপা হইনি। আমরা বিচার নিশ্চিত করবই।
তিনি বলেন, যারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে এবং ভাবছে বাইরে থেকে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করবে, তাদের বলব-বিচারের সম্মুখীন হওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য, ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলার জন্য।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আন্দোলনে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। প্রতিটি খুনির বিচার করা হবে। একজনও বাদ যাবে না নিশ্চিত থাকেন। বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, এই আরাফাতদের আমরা ভুলব না। আরাফাতের বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, এভাবে কোনো মায়ের শিশু সন্তান যেন মারা না যায়। যারা আমার সন্তানকে গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের বিচার চাই।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহিদস্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, ৪ মাস ১৮ দিন পরও ভাইদের হারাতে হচ্ছে। আমাদের শহিদের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। আমরা যেন আমাদের ভাইদের স্বপ্নকে কোনোভাবেই ভুলে না যাই। আমরা কোনো শহিদের মা-বাবাকে তাদের সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে পারব না, তবে এতটুকু বলতে পারি-খুনিদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। আমরা যেন খুনি হাসিনাকে ভুলে না যাই। আমরা যেন শহিদ পরিবারকে এতটুকু বলতে পারি, যারা খুন করেছে, বাংলাদেশের মাটিতে তাদের বিচার হয়েছে।
জানাজা শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহতরা। মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ এসে শেষ হয়। এ সময় তারা ‘বিচার বিচার চাই, খুনি হাসিনার বিচার চাই’, ‘হুঁশিয়ার সাবধান, খুনি হাসিনার দালালেরা’, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।