শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ : ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকদের বিক্ষোভ
সীমাহীন কষ্ট নগরবাসীর
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধে উচ্চ আদালতের আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার সকালে রাজধানীতে বিক্ষোভ ও আন্দোলন করেছেন শ্রমিকরা। এতে মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, আগারগাঁওয়ে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। আবার দুপুরে বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নিউমার্কেট, সায়েন্সল্যাব, বাটা সিগন্যাল, শাহবাগ, পল্টন, প্রেস ক্লাব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। দুই ঘটনায় কোথাও কোথাও যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। এতে রোগী, অ্যাম্বুলেন্স, স্কুলশিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, শিশু, বৃদ্ধ এবং কর্মজীবী নারীরা আটকা পড়েন। সবমিলিয়ে দিনভর সীমাহীন কষ্ট পেতে হয় নগরবাসীকে-
তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষে সায়েন্সল্যাব রণক্ষেত্র
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বুধবার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। বেলা পৌনে ৩টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। মঙ্গলবার বাসের ওঠার মতো ছোট ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাসদস্যরাও যোগ দেন। একপর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে বিকাল সাড়ে ৫টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হন। তারা ঢাকা মেডিকেলসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সংঘর্ষে এক শিক্ষকসহ দেড়শ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এদিকে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে সায়েন্সল্যাবসহ আশপাশের এলাকায় গণপরিবহণসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে অফিস শেষে ঘরে ফেরা মানুষসহ সাধারণ নগরবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়েন। একপর্যায়ে বিকাল সাড়ে ৫টার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে যান চলাচল শুরু হয়। দুই কলেজের দ্বন্দ্ব বন্ধে স্থায়ী সমাধান নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাসহ ব্যবসায়ীরা। দুই কলেজের সংঘর্ষ বন্ধে সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজের কয়েকজন ছাত্রের একটি বাসে ওঠাকে কেন্দ্র করে সিটি কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে বুধবার বেলা ১১টার দিকে সিটি কলেজের একদল শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজের দুটি বাস ভাঙচুর করেন। পরে ঢাকা কলেজের ছাত্ররাও জোটবদ্ধ হয়ে সিটি কলেজে গিয়ে ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধ হয়ে বেলা ৩টার দিকে সায়েন্সল্যাব মোড়ের দিকে এগিয়ে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বড় আকারে ছড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষ পরস্পরের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকলে উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও শিশুসহ সাধারণ মানুষও আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে পুলিশ ও পরে সেনাসদস্যরা যোগ দেন। একপর্যয়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর সাড়ে ৫টার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঢাকা কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী যুগান্তরকে বলেন, কলেজের ১৮৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে বুধবার দুপুর ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা বাসযোগে বের হলে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে পৌঁছালে সিটি কলেজের ছাত্ররা তিনটি বাস ভাঙচুর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা কলেজের অন্য শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে এসে যোগ দেয়।
সিটি কলেজের একাধিক শিক্ষক বলেন, সংঘর্ষ বাধলে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে সিটি কলেজের সামনের দিকে জানালা ভেঙে ফেলে। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সরেজমিন দেখা যায়, দুই পক্ষের পালটাপালটি ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার মধ্যে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এরপর সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা পিছু হটেন। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড়ের কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে ক্যাম্পাসের দিকে চলে যান। পুলিশের টিয়ারশেলে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজের ভেতরে ঢুকে পড়েন। ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরাও। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ঢাকা কলেজের কিছু শিক্ষার্থী সিটি কলেজের প্রধান ফটকে এসে ভাঙচুর শুরু করেন। নিচ থেকে সিটি কলেজের ভবন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। ক্ষুব্ধ হয়ে ভবনের ভেতরে আটকাপড়া সিটি কলেজ শিক্ষার্থীরাও ওপর থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এতে কলেজটির সামনে থাকা পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী, অভিভাবক ও উৎসুক অনেকে আহত হন। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কলেজের ভেতরে ঢুকতে চাইলেও শিক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশ করতে দেননি। সে সময় সিটি কলেজের ভেতরে আটকাপড়া অনেক শিক্ষার্থীর বাবা-মাকে উদ্বিগ্ন হয়ে বাইরে অবস্থান করতে দেখা যায়। তারা সন্তানকে নিতে এসেছেন বললেও তাদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। একপর্যায়ে সেনাসদস্য ও পুলিশের চেষ্টায় শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে যাওয়ার পর বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে হালকাভাবে যান চলতে শুরু করে। শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের কারণে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নিউমার্কেট ও চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের ফটকে তালা লাগিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।
আজ সিটি কলেজ বন্ধ : ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা সিটি কলেজের সব ক্লাস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার রাতে কলেজের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বরাত উল্লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত বৃহস্পতিবার সব ক্লাস বন্ধ থাকবে।
নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, আগারগাঁও, মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ করেন। যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রিকশা শ্রমিকদের দাবি-বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে ব্যাটারির রিকশার চলাচল বন্ধ করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনের সামনে থেকে তারা মিছিল নিয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চক্করে যাবেন। সেখানে তারা নতুন কর্মসূচি পালন করবেন। এদিকে, বিক্ষোভ-অবরোধের কারণে রাজধানীজুড়ে যাত্রী ও পথচারীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর এলাকায় তিনদিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর প্রতিবাদে বুধবার যাত্রাবাড়ীর দয়াগঞ্জে সড়ক অবরোধ করে কয়েকশ রিকশা শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু করেন। ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ না করা এবং পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়ে তারা স্লোগান দেন। সড়ক থেকে তাদের পুলিশ সরিয়ে দিতে গেলে শুরু হয় দুপক্ষের বাগ্বিতণ্ডা। এরপর পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া-পালটা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহম্মেদ বলেন, দয়াগঞ্জ মোড়ে মূল সড়ক শ্রমিকরা অবরোধ করলে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সড়ক ছেড়ে চলে যেতে তাদের অনুরোধ করা হলেও তারা তা না শুনে উলটো পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। বিকাল সাড়ে ৫টার পর ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তিনি আরও জানান, শ্রমিকদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
শ্রমিক কামাল হোসেন বলেন, একেকটি ব্যাটারিচালিত রিকশার ওপর একেকটি পরিবার চলে। হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হলে লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। পরিবার-পরিজন নিয়ে সমস্যায় পড়বে। তাই বিকল্প ব্যবস্থা না করে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না। রিকশা শ্রমিক হযরত আলী বলেন, শুধু চালকরা নয়, ব্যাটারিচালিত রিকশা সারানোর কাজেও অনেক মানুষ জড়িত। তারাও বেকার হয়ে পড়বে। তাই বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে ব্যাটারির রিকশা বন্ধ করলে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হলেই পুলিশ হয়রানি করে। এটি কোনোভাবেই মানা যায় না। প্রয়োজনে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দয়াগঞ্জ ছাড়াও দোলাইরপাড়, ডেমরা-যাত্রাবাড়ী সড়ক এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কেও রিকশা শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। এতে ওইসব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও পথচারীরা।
দুপুরের পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রিকশা শ্রমিকরা। ব্যাটারির রিকশা বন্ধে পুলিশ অভিযানে নামলে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে বেলা ৩টার দিকে বিক্ষোভ শুরু করেন। আগারগাঁও এলাকার বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ করে তারা নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনের চার রাস্তার মোড়ে অবস্থান নেন। তারা বলেন, বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত সড়কে তারা ব্যাটারির রিকশা চালানো অব্যাহত রাখবেন। আগারগাঁওয়ে ব্যাটারির রিকশাচালক আমজাদ আলী বলেন, তাদের অনেকেই আছেন-যারা শারীরিকভাবে অসুস্থ কিংবা প্রতিবন্ধী। তারা ব্যাটারির রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু হঠাৎ করে ব্যাটারির রিকশা বন্ধ করলে তারা বিপদে পড়বেন। এ কারণে তারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন।
ব্যাটারির রিকশাচালক আলী আকবর বলেন, আমরা প্রধান সড়কে উঠি না। এরপরও পুলিশ অলিগলিতে অভিযান চালায়।
আমরা একজোট হয়ে বিক্ষোভ শুরু করছি। তিনি বলেন, ব্যাটারির রিকশার পেছনে দেশে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এখন হঠাৎ করে বন্ধ করা হবে কেন? এ রিকশা অবৈধ হলে প্রথমেই বন্ধ করা হলো না কেন? এসব রিকশা চলতে দেওয়া হলো কেন?
আগারগাঁও ছাড়াও কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া এবং মিরপুর এলাকায় বিক্ষোভ করেন চালকরা। কাজীপাড়ায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক মো. রাজু বলেন, মঙ্গলবার কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পর টেলিভিশনের খবরে দেখতে পাই আমাদের বাহন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই-আমাদের রিকশা বন্ধ করেন আপত্তি নেই। তবে আমাদের সময় দিতে হবে। আমাদের রিকশার কিস্তি আছে। সেটি পূরণের জন্য আমাদের সময় দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, তিনদিন আন্দোলন করতেই আমাদের চলে যাবে। তাই মালিকপক্ষ যারা আছেন তাদের কাছে অনুরোধ-আপনারা কেউ এ তিনদিন কোনো টাকা নেবেন না।
ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন। শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহাদাৎ খাঁ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস এক বিবৃতিতে জানান, দেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনা না করেই আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাটারিচালিত যানবাহন সম্পর্কে বাস্তব পরিস্থিতি অবগত না হয়ে ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ আদেশ বাস্তবায়িত হলে ঢাকা মহানগরীতে ১২ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে, যা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে।