উত্তরাঞ্চল থেকে পাঁচ উপদেষ্টা দাবি
রংপুরে সড়ক ও রেলপথ অবরোধের হুঁশিয়ারি
রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
অন্তর্বর্তী সরকারে উত্তরাঞ্চল থেকে পাঁচজনকে উপদেষ্টা করার দাবিতে বুধবার ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন রংপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এতে রংপুরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। রংপুরের প্রবেশদ্বার মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য অর্জন মোড়ে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। ফলে ঢাকার সঙ্গে রংপুর বিভাগের ৫ জেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন গণপরিবহণের আটকে পড়া যাত্রীরা। পণ্যবাহী কয়েকশ ট্রাকও আটকা পড়ে। এ সময় আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি না মানলে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করার হুঁশিয়ারি দেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রংপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কারমাইকেল কলেজসংলগ্ন লালবাগের সামনে জড়ো হন। সেখানে যুক্ত হন কারমাইকেল কলেজের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা মিছিল নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে মডার্ন মোড়ে যান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে অর্জন (মডার্ন) মোড়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বসে পড়েন। অবরোধ চলাকালে সেখানে এক সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের অন্যতম সমন্বয়ক ইমরান আহমেদ, আশফাক আহমেদ, নাহিদ হাসান খন্দকার, ইমতিয়াজ আহমেদ, ইয়াসির আরাফাত, কারমাইকেল কলেজ শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম, শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সঙ্গে বৈষম্য করছে। সরকারের উপদেষ্টাদের ১৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে নেওয়া হয়েছে। অথচ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলা থেকে একজনকেও নেওয়া হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার এভাবে চললে আঞ্চলিক বৈষম্য আরও বাড়বে। ইমরান আহমেদ বলেন, রংপুর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সূতিকাগার। আবু সাঈদের রক্তের মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শুরু হয়েছিল। ১০ আগস্ট সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রংপুরে এসে বলেছিলেন, রংপুর হবে দেশের অন্যতম সেরা জেলা। কিন্তু রংপুর অঞ্চলের জনগণের হয়ে কথা বলার মতো সরকারে একজন উপদেষ্টাও নেই। আবু সাঈদের জন্মভূমি রংপুরকে চরম অবহেলা করা হচ্ছে।