‘রিসেট বাটনের’ ব্যাখ্যায় প্রেস উইং
ড. ইউনূস গর্বিত ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকাকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া সাক্ষাৎকার ঘিরে কেউ কেউ ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। ‘রিসেট বাটন’ চাপার কথা বলে তিনি কখনোই বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি। মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার। আর রিসেট বোতামে হার্ডওয়্যার নয় সফটওয়্যারে পরিবর্তন হয়। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ড. ইউনূস ‘রিসেট বাটন’ চাপার কথাটি উল্লেখ করে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি, যা বাংলাদেশের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। অর্থনীতিকে ঠেলে দিয়েছে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। কোটি মানুষের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার হরণ করেছে, সেটি থেকে বের হয়ে এসে নতুনভাবে শুরু করার কথা বুঝিয়েছেন। তিনি কখনোই বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কেউ যখন কোনো ডিভাইসে রিসেট বোতাম চাপেন, তখন তিনি নতুন করে ডিভাইসটি চালু করতে সফটওয়্যার সেট করেন। এতে হার্ডওয়্যার পরিবর্তন হয় না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার।
বিবৃতিতে বলা হয়, ড. ইউনূস গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব নিতে ঢাকায় আসার পর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে জনগণ নেতৃত্ব দিয়েছে। এটি আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। প্রথম স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে দেশের গৌরবময় স্বাধীনতাযুদ্ধ। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১৯৭১ সালে অধ্যাপক ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের মিডল
টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই তিনি বাংলাদেশ সিটিজেনস কমিটি গঠন করেন। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে মার্কিন সরকারকে রাজি করানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী প্রচার শুরু করেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সংঘটিত গণহত্যা সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করতে তিনি বাংলাদেশ নিউজলেটার প্রকাশ করেছিলেন।