শীর্ষ ৫০ প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকায় শীর্ষ ৫০ জনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ধর্মীয় চিন্তাভাবনা, রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে শিল্প ও সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছেন এবং নিজ দেশে ও দেশের বাইরে মুসলমান সম্প্রদায়কে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করছেন-এমন ব্যক্তিরাই ‘দ্য মুসলিম ৫০০ : দ্য ওয়ার্ল্ডস মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল মুসলিমস’ তালিকায় স্থান পান।
জর্ডানের রাজধানী আম্মানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘দ্য রয়্যাল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার (আরআইএসএসসি)’ সম্প্রতি ১৬তম বারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলমানদের এ তালিকা প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটিতে প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালাল সেন্টার ফর মুসলিম-ক্রিশ্চিয়ান আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের সহযোগিতায় এ বছরের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে আরআইএসএসসি প্রতিবছর এ তালিকা প্রকাশ করে আসছে।
প্রতিবছর প্রকাশিত এ তালিকায় পাঁচটি ক্যাটাগরিতে প্রভাবশালী মুসলিমদের নির্বাচন করা হয়। সেগুলো হলো-ধর্ম, রাজনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিল্প ও সংস্কৃতি এবং ক্রীড়া ও বিনোদন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুদ্রঋণ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে তালিকায় স্থান পেয়েছেন। অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার অবদান এবং বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে নেতৃত্ব তাকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
এ তালিকায় বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও আরও দুই নারী রয়েছেন। তারা হলেন ড. হামিদা হোসেন ও রাজিয়া সুলতানা। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হামিদা হোসেন বাংলাদেশের ও বিশ্বের মানবাধিকার-নারীরবিষয়ক অনেক বই লিখেছেন এবং নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। ২০২১ সালে তিনি বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের (বিডিআই) Lifetime Achievement Award লাভ করেন।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা রাজিয়া সুলতানা পেশায় একজন আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী। তিনি শতাধিক রোহিঙ্গা নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তিনি বর্মী নিরাপত্তা বাহিনীর যৌন নির্যাতনের তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের (FRC) সমন্বয়ক ও আরাকান রোহিঙ্গা জাতীয় সংগঠনের (ARNO) পরিচালক। ২০১৯ সালে তিনি আন্তর্জাতিক নারী সাহসী পুরস্কার লাভ করেন।
এ তালিকায় জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ইবন আল-হুসেইন, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি এবং ইরানের আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিসহ শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক মুসলিম ব্যক্তিত্বরা স্থান পেয়েছেন।