Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

লক্ষ্মীপুরে আ.লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

বগুড়ার শাজাহানপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগকর্মী সাগর তালুকদার (২৯) ও তার সহযোগী মো. স্বপনকে (২৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার শাবরুল ছোট মন্ডলপাড়ার এ হামলার সময় মুক্তার হোসেন নামে আরেকজনের ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। 

এদিকে, লক্ষ্মীপুরে বাড়িতে ঢুকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর আলমকে (৬০) পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের হামলায় নিহত নুর আলম পেশায় দর্জি ছিলেন। ব্যুরো ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর :

বগুড়া : দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত সাগর তালুকদার বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার শাবরুল হাটখোলাপাড়ার গোলাম মোস্তফা তালুকদারের ছেলে ও স্বপন একই এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে। 

কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া মুক্তার হোসেন একই গ্রামের আনসার আলীর ছেলে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী সাগরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক হত্যাসহ অন্তত ২০টি মামলা রয়েছে। 

সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাগর, স্বপন, মুক্তারসহ কয়েকজন শাবরুল ছোট মন্ডলপাড়ায় একটি মুরগির খামারের সামনে অবস্থান করছিল। এ সময় দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত একদল দুর্বৃত্ত সেখানে এসে রামদা ও চাপাতি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে সাগর ও স্বপনকে হত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করে।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। রাত ৯টায় শাজাহানপুর থানার সেকেন্ড অফিসার ফারুক হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত দু’জনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। লাশ দুটি উদ্ধার করা হচ্ছে। তবে আহত মুক্তার হোসেনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

লক্ষ্মীপুর : দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত নুরুর ছেলে আরিফ হোসেন বলেন, আমার বাবা বাড়িতে ছিলেন। বাবার মোবাইল ফোনে কেউ একজন কল দিয়ে জানিয়েছে তাকে কেউ মারতে আসছে। এ কথা শুনে তিনি ঘর থেকে পালানোর জন্য বের হচ্ছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তেই ১০-১২ জন লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে বাবাকে মারতে আসেন। পরে তারা ধাওয়া করে আমার বাবাকে এলোপাতাড়ি পেটায়। এর মধ্যে তারা তাকে একবার বাড়ির পুকুরেও ফেলে দেয়। সেখান থেকে তুলে এনে আবার তারা তাকে পিটিয়েছে। তাদের মারধরে রক্তাক্ত অবস্থায় বাবাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আরিফ হোসেন আরও জানান, হামলাকারীদের মধ্যে খোকন নামে একজনকে তিনি চিনতে পেরেছেন। খোকন বিএনপি করে। খোকনের নেতৃত্বেই তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার বাবা আওয়ামী লীগ করলেও কারও ক্ষতি করেননি। কারও সঙ্গে তার কোনো শত্রুতাও ছিল না। রাজনৈতিক কারণেই আমার বাবাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। নিহত নুরু চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন বলেন, মৃত অবস্থায় নুরু নামে একজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার মরদেহ মর্গে আছে। চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, একজন মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালেও পুলিশ পাঠানো হবে। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম