Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

সম্পর্ক শক্তিশালী করার অনুরোধ খালেদা জিয়ার

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সম্পর্ক শক্তিশালী করার অনুরোধ খালেদা জিয়ার

রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক -যুগান্তর

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক। বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় তার সঙ্গে দেখা করতে যান ব্রিটিশ হাইকমিশনার। 

এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই সাক্ষাতে পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে এ বিষয় নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন সারাহ কুক। ইউকের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক, তাদের যে ভাবনা তাও খালেদা জিয়াকে জানিয়েছেন। খালেদা জিয়া অনুরোধ করেছেন ইউকে-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার জন্য। আগামী দিনে দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিটি ক্ষেত্রে আরও উন্নতর অবস্থায় যেতে পারে সে অনুরোধও করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

দীর্ঘ সাড়ে ৬ বছর পর এটাই কোনো কূটনীতিকের সঙ্গে খালেদা জিয়ার প্রথম সাক্ষাৎ। এর মধ্য দিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে দেখা গেল। সাক্ষাতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি চেয়ারপারশনের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, দেশের চলমান পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়েও তাদের মধ্যে আলাপ হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিএনপি সূত্র জানায়, অসুস্থ থাকলেও খালেদা জিয়া মানসিকভাবে অনেক শক্ত আছেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে সাজা মওকুফ করে মুক্তি দেওয়া হয়। দীর্ঘ সাড়ে ৬ বছরেরও বেশি সময় বন্দি ছিলেন তিনি। শর্ত থাকার কারণে রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। পুরোপুরি মুক্তি পাওয়ার পর থেকে দলের সিনিয়র নেতাসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাও তার সঙ্গে দেখা করেছেন।

সারাহ কুকের সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার ও অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী এবং দলের স্পেশাল অ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য চেয়ারপারসনস ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল।

সাক্ষাতের পর আমির খসরু সাংবাদিকদের বলেন, ম্যাডামের স্বাস্থ্য নিয়ে কূটনৈতিক মহলে শঙ্কা ছিল, চিন্তা ছিল। তার সুস্থতা নিয়ে সবার একটা প্রশ্ন ছিল। যেহেতু ম্যাডাম এখন কূটনীতিকদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারছেন, দেশে একটা মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে মুক্ত পরিবেশে কূটনীতিকরা তাদের কাজগুলো এখন করতে পারছে। 

ওদের প্রথম জানার বিষয় ছিল ম্যাডামের শরীর কেমন, ভালো আছেন কিনা? তার চিকিৎসার জন্য বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি আছে কিনা এসব বিষয় আলোচনা করেছেন। 

তিনি বলেন, দ্বিতীয় কথা হয়েছে এই পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে, নতুন প্রেক্ষাপটে আমরা কোথায় যাচ্ছি। এই বিষয় নিয়ে ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলেছেন। ইউকের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক, তাদের যে ভাবনা সেটা ম্যাডামকে বলেছেন। 

বাংলাদেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ব্রিটেন কী করতে চায়, দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে তারা কী করতে চায় সেগুলো ম্যাডামকে অবগত করেছেন। আমির খসরু বলেন, ম্যাডাম যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার কথা বলেছেন। 

অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামকে বিদেশে নিতে যে দীর্ঘ সময়ের জার্নি সে বিষয়ে তার প্রস্তুতির বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। মেডিকেল বোর্ড বলেছে, ইউকেতে নেওয়া হলে ৮ থেকে ১৩ ঘণ্টা সময় লাগে অথবা ইউএসএ নিতে হলে ১৮ থেকে ২১ ঘন্টা ফ্লাইং আওয়ার লাগবে। কাজেই এর জন্য শারীরিক সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ইউকে ও ইউএসএ‘র হসপিটালের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। ম্যাডামের মেডিকেল বোর্ডের যোগাযোগ আগে থেকে হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব উনার শারীরিক সুস্থতা ফ্লাইংয়ের মতো হলেই বিদেশে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি দেখা হবে।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম