Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

লুট হওয়া ৩৮৮০ অস্ত্র উদ্ধার

বুধবার থেকে যৌথ অভিযান

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বুধবার থেকে যৌথ অভিযান

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশে বিক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন কারাগার, থানা ও ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ ও হামলা করেন। এ সময় তারা অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নিয়ে যান। পুলিশ সদর দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত লুট হওয়া তিন হাজার ৮৮০টি অস্ত্র ও ২ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৩ রাউন্ড গুলি, ২২ হাজার ২০১ টিয়ার শেল এবং ২১৩৯ সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে কোনো ব্যক্তির কাছে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ রক্ষিত থাকলে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাছের থানায় জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে বুধবার থেকে যৌথ অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ বিষয়ে রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি লিখিত নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ফয়সল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বুধবার থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে। বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এর আগে ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময় পর্যন্ত যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাদের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২৪ আগস্ট ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘অনেকের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ব্যবহার হয়েছিল, আবার অবৈধ অস্ত্রও ব্যবহার করা হয়েছিল। এগুলো কীভাবে জব্দ করব, আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। প্রতিটি বিষয় আমাদের মাথায় আছে, আমরা চেষ্টা করব নিয়ন্ত্রণের জন্য।’

এদিকে ৫ আগস্ট বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন ও জাতীয় সংসদ ভবনে ঢুকে গেলে সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) সদস্যরা তাদের অস্ত্র, গোলাবারুদ ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম রেখে পালিয়ে যান। এসএসএফের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়কে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ৫ আগস্ট গণভবন ও সংসদ ভবনে রেখে আসা অস্ত্র, গুলি, নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও অন্যান্য মালামালের একটি অংশ হারানো গেছে। এসব অস্ত্র, গুলি ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সুপারিশ করা হয় এসএসএফ থেকে।

রোববার জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-৪ শাখার উপসচিব মো. আরিফ-উজ-জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অস্ত্র-গোলাবারুদ থানায় জমা না দিলে বুধবার থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা ও অবৈধ অস্ত্র সংরক্ষণ/হেফাজতকারীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার হতে কার্যকর অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার সমন্বয়ে যৌথ অপারেশন টিম গঠন করে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম