Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

ফ্যাসিবাদীদের বিচারসহ চার দাবি

রোডমার্চের মধ্য দিয়ে শুরু হলো রেজিস্ট্যান্স উইক

Icon

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

রোডমার্চের মধ্য দিয়ে শুরু হলো রেজিস্ট্যান্স উইক

ছবি: সংগৃহীত

‘প্রতিবিপ্লব’ ঠেকাতে চার দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ রোডমার্চ দিয়ে শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে একত্র হন শিক্ষার্থীরা। এরপর যেসব জায়গায় ছাত্র-জনতা শহিদ হয়েছেন সেসব পয়েন্ট অভিমুখে ‘রোডমার্চ’ কর্মসূচি পালন করেন তারা। রোডমার্চ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া, ফুলার রোড হয়ে শহিদ মিনারে গিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং শহিদদের স্মরণে দোয়া-প্রার্থনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

চার দফার প্রথম দুই দফা ঘোষণা করে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমাদের আন্দোলনের এই রেজিস্ট্যান্স উইক কর্মসূচির দাবি চারটি। তার প্রথম দুই দাবি হলো-ফ্যাসিবাদী কাঠামো ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। দ্বিতীয় দাবিটি হলো-সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে

গণঅভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।

আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের তৃতীয় দাবি হলো- প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নতুন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।

শহিদ মিনারে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, আমাদের বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এটিকে রুখে দিতে রেজিস্ট্যান্স উইক কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। আমরা ছাত্র-জনতা যে কোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে প্রস্তুত। আমাদের শহিদ ভাইদের রক্তের বিনিময়ে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে সেই অভ্যুত্থান আমরা যে কোনো মূল্যে রক্ষা করব। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফ্যাসিবাদের দোসররা যতক্ষণ পর্যন্ত থাকবে, দেশের ছাত্র-জনতা ততক্ষণ পর্যন্ত রাজপথে অবস্থান করবে। বুধবারের কর্মসূচি সন্ধ্যার মধ্যে ঘোষণা করবেন বলেও তিনি জানান।

এ সময় আরেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আমরা দেখেছি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিভিন্ন জায়গায় কমিটি দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা এখনো এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। তাই আন্দোলন সামনে এগিয়ে নিতে আপনারা চাইলে ভলান্টিয়ার কমিটি গঠন করতে পারেন। তবে সেখানে কোনো সমন্বয়ক বা সহসমন্বয়ক থাকবে না। সবাই ভলান্টিয়ার সেখানে। কমিটি ঘোষণা করব কি না সেটা আমরা পরে জানাব। আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ‘আগামীকাল সারাদিন-খুনিদের মামলা দিন’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই-গণহত্যার বিচার চাই’, ‘আমার ভাই কবরে-খুনি কেন বাহিরে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত-আরও দেব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায়-ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘শহিদের রক্ত-বৃথা যেতে দেব না’ স্লোগান দিতে শোনা যায়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম