বঙ্গভবনে বৈঠকে সিদ্ধান্ত
খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
অনতিবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। দেশ পরিচালনায় একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। এছাড়া দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সবাইকে ধৈর্য্য ও সহনশীল আচরণ করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও সম্প্রতি বিভিন্ন মামলায় আটককৃত সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে কোনোভাবেই বিনষ্ট না হয়, সে বিষয়ে জাতীয় নেতারা একমত হয়েছেন। এছাড়া, লুটতরাজ ও হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধে সেনাবাহিনী কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির উপ- প্রেস সচিব মুহা. শিপলু জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানা গেছে।
সভার শুরুতে কোটাবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করা হয়। সভায় সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান এবং বিমান বাহিনী প্রধান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও শেখ মো. মাসুম এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে রাব্বি, জাতীয় পার্টির জিএম কাদের, মজিবুল হক চুন্নু ও আনিসুল ইসলাম, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, হেফাজতে ইসলামের মামুনুল হক, মুফতি মনির কাসেমী ও মাহাবুবুর রহমান, জাকের পার্টির শামীম হায়দার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমদ, গণসংহতি আন্দোলনের জুনায়েদ সাকী, গণঅধিকার পরিষদের অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার জুয়েল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, ফিরোজ আহমেদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল হোসাইন, আরিফ তালুকদার, ওমর ফারুক, মোবাশ্বেরা করিম মিমি এবং প্রকৌশলী আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।