Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

যমুনা ফ্রিজ গুণে-মানে দেশসেরা

মনিকা নাজনীন ইসলাম, গ্রুপ পরিচালক, যমুনা গ্রুপ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন 

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

যমুনা ফ্রিজ গুণে-মানে দেশসেরা

যুগান্তর : ঈদুল আজহা আসন্ন। এই উৎসব উপলক্ষ্যে ফ্রিজ সরবরাহে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

মনিকা নাজনীন ইসলাম : এই ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার চাঙা হয়ে ওঠে। ফলে উৎসবের এ সময়ে রেফ্রিজারেটরের চাহিদা ও বিক্রি বেড়ে যায়। সাধারণ প্রয়োজনের পাশাপাশি কুরবানির মাংস সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ বা ডিপফ্রিজ কেনেন ক্রেতারা। এই বর্ধিত চাহিদা পূরণে ইতোমধ্যে যমুনা ইলেকট্রনিক্স সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। অতি সম্প্রতি আমরা বাজারে নতুন ডিজাইনের বেশকিছু ডিপফ্রিজ ও গ্লাসডোর রেফ্রিজারেটর ছেড়েছি এবং ভোক্তাদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছি। আমরা সাশ্রয়ী মূল্য, দীর্ঘ স্থায়িত্ব, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, আকর্ষণীয় ডিজাইন, উন্নত কম্প্রেসর, ওয়ারেন্টি, বিক্রয়োত্তর সেবাসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পণ্য সরবরাহ করছি।

যুগান্তর : গত এক বছরে ফ্রিজের ব্যবহার কেমন বৃদ্ধি পেয়েছে? ব্যবহার বৃদ্ধির পেছনে কী কী বিষয় কাজ করেছে?

মনিকা নাজনীন ইসলাম : আমাদের যাপিত জীবনযাত্রার এক অন্যতম অনুষঙ্গ রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ। শহর কিংবা গ্রাম, উচ্চবিত্ত কিংবা মধ্যবিও, এমনকি নিম্নআয়ের মানুষের ঘরেও স্থান করে নিয়েছে ফ্রিজ। দিন দিন ফ্রিজের ব্যবহার বাড়ছে। বছরে এ বৃদ্ধির হার প্রায় ১৫-২০ শতাংশ পর্যন্ত। মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন, দেশব্যাপী বিদ্যুৎ সংযোগ ও ব্যস্ত জীবনকে সহজ করতে গৃহস্থালির নানা কাজে ফ্রিজসহ ব্যবহৃত হচ্ছে নানা ধরনের ইলেকট্রনিক্স হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস। বেড়েছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা, তাছাড়া স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হওয়ায় দেশীয় ফ্রিজের দাম আমাদের ক্রেতাদের হাতের নাগালে।

যুগান্তর : আপনার কোম্পানির ফ্রিজের কী কী বৈশিষ্ট্য এবং সুযোগ-সুবিধা রয়েছে?

মনিকা নাজনীন ইসলাম : নিত্যনতুন চাহিদা ও গ্রাহক সন্তুষ্টির কথা মাথায় রেখে যমুনা অবিরত কাজ করছে। দেশের সব জনগোষ্ঠীর ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় যমুনা রেফ্রিজারেটর বিভিন্ন সাইজ, ডিজাইন, ধারণ ক্ষমতা ও দামে পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের রেগুলার রেফ্রিজারেটর ছাড়াও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার টেকনোলজির স্মার্ট ডাবলডোর, টি ডোর ও ক্রস ডোর রেফ্রিজারেটর ইতোমধ্যেই বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

আমরা সংখ্যাতত্ত্বে বিশ্বাসী নই বরং গুণে ও মানে সেরা হতে চাই। আমাদের রেফ্রিজারেটরগুলোর বিক্রয়োত্তর সার্ভিস প্রায় নেই বললেই চলে (০.০১%)। প্রতি ৫ বছরে কম্প্রেসর পরিবর্তনের হার প্রায় ১%-এর নিচে যা বাজারে প্রচলিত রেফ্রিজারেটরের থেকে অনেক কম। সাধারণত রেফ্রিজারেটর বা হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ৭-১০% ত্রুটি থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের একমাত্র রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড যমুনা যার উৎপাদন ত্রুটি ১%-এর নিচে। তথ্যটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ অথচ আমাদের দেশের অধিকাংশ ক্রেতাই এর দিকে নজর দেন না। সিলিকন জেল মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এবং খাদ্যমান নষ্ট করে। অথচ এই সিলিকন জেল দিয়ে আমাদের দেশের বাজারে প্রচলিত রেফ্রিজারেটরগুলো তৈরি হয়। বাংলাদেশে একমাত্র যমুনা রেফ্রিজারেটরই তার উৎপাদন প্রক্রিয়ার কোথাও সিলিকন জেল ব্যবহার করে না। আমাদের ফ্রিজগুলোতে R600a গ্যাস ব্যবহৃত হয় যা পরিবেশবান্ধব ও মানবদেহের ক্ষতি করে না। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে খাবারের মান ঠিক থাকে, সঙ্গে বিদ্যুৎ খরচ ৭০% কম হয়। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, রেফ্রিজারেটর উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যমুনা যে কাঁচামাল, উদ্ভাবন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে, সেটি দেশের আর কোনো প্রতিষ্ঠানের নেই। যমুনা তার সেরা পণ্যটি গ্রাহকের কাছে তুলে দিচ্ছে।

যুগান্তর : কিস্তিতে আপনার কোম্পানির ফ্রিজ ক্রয়ের কোনো সুবিধা আছে কি?

মনিকা নাজনীন ইসলাম : ক্রেতাদের জন্য রয়েছে ২০% ডাউন পেমেন্টে সহজ কিস্তি সুবিধা। ভোক্তারা আমাদের যমুনা প্লাজা শোরুম থেকে ৬ মাস, ৯ মাস ও ১২ মাসের সহজ কিস্তিতে যমুনা রেফ্রিজারেটর ক্রয় করতে পারবে। এছাড়া ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডে ইএমআই সুবিধাও রয়েছে।

যুগান্তর : আমদানি বিকল্প শিল্প হিসাবে স্থানীয় ফ্রিজ প্রস্তুতকারকরা কেমন করছেন? পণ্যের মান বৃদ্ধি নিয়ে আপনাদের কী ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে?

মনিকা নাজনীন ইসলাম : সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর পণ্যে অত্যধিক করারোপের ফলে ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনকারীরা দেশে পণ্য উৎপাদন শুরু করেছে অনেক আগে থেকেই। দেশীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে আছে অথচ একটা সময় এ শিল্প ছিল পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের ফলে সাশ্রয়ী দামে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছাচ্ছে। সরকারের শিল্পবান্ধব নীতি সহায়তা এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে। আমরা আমাদের নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে তৈরি করছি গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডের রেফ্রিজারেটর। আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আমরা আমাদের নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে যে গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে রেফ্রিজারেটর উৎপাদন করে থাকি তা আর কোনো দেশীয় কোম্পানির নেই। আমরা প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন ফিচার ও ডিজাইনের ফ্রিজ গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। আমাদের আরএনডি টিম পণ্যের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ ও মানোন্নয়নে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে।

যুগান্তর : ঈদের মৌসুমে ফ্রিজের চাহিদা কেমন? আপনাদের প্রস্তুতি এবং প্রত্যাশা কী?

মনিকা নাজনীন ইসলাম : ঈদ উৎসবে ফ্রিজের চাহিদা ও বিক্রি বাড়ে। এই বাড়তি চাহিদা পূরণে ইতোমধ্যে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ক্রেতা চাহিদা, সন্তুষ্টি আর বিক্রয় সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আমরা ডাবল খুশি অফার নামে কনজ্যুমার প্রমোশন চালু করেছি। এই অফারের আওতায় আমাদের সম্মানিত ক্রেতাসাধারণ ফ্রিজসহ যমুনার ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনলে ৩০% পর্যন্ত মূল্যছাড় পেতে পারেন। এছাড়া রয়েছে পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টিভি, এসি, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসসহ অসংখ্য পুরস্কার জিতে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ।

যুগান্তর : আপনাদের বিক্রয়-পরবর্তী সেবা সম্পর্কে কিছু বলুন।

মনিকা নাজনীন ইসলাম : রেফ্রিজারেটর বাজারজাত করার খুব অল্প সময়ের ভেতরেই মানুষের মুখে এমন কথা প্রচলিত হয়ে গেছে যে, একমাত্র যমুনাই ৯৯ শতাংশ গুণগত মানসম্পন্ন রেফ্রিজারেটর সরবরাহ করে। ফলে যমুনার পণ্যের ক্ষেত্রে বিক্রয়-পরবর্তী ভোক্তার অভিযোগের সংখ্যা শূন্যের কাছাকাছি। আমরা রেফ্রিজারেটরে ১০ বছরের ওয়ারেন্টি দিচ্ছি। এরপরও ক্রয়-পরবর্তী ভোক্তার যে কোনো সমস্যা সমাধানে দেশব্যাপী আমাদের বিস্তৃত সার্ভিস সেন্টার রয়েছে, যেখান থেকে সহজেই বিক্রয়োত্তর সেবা নেওয়া যাবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম