ঋণখেলাপিদের বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল জরুরি: ড. মইনুল ইসলাম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
খেলাপি ঋণ পুরো অর্থনীতির শৃঙ্খলা নষ্ট করে দিচ্ছে। এই সমস্যা চিহ্নিত। কিন্তু কার্যকর ব্যবস্থা নেই। এক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে প্রত্যেক ব্যাংকের ইচ্ছাকৃত শীর্ষ ঋণখেলাপিকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তার আগে গঠন করতে হবে ঋণখেলাপি ট্রাইব্যুনাল। যুগান্তরের সঙ্গে আলাপকালে অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি ড. মইনুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রধান সমস্যা পুঁজি পাচার ও খেলাপি ঋণ। পণ্যের দাম বেশি দেখিয়ে বিদেশে মুদ্রা পাচার করছে। আর পণ্যের দাম কম দেখিয়ে দেশকে কর ফাঁকি দিচ্ছে। এছাড়া হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা পাচার হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। এছাড়া প্রত্যেক ব্যাংকের ইচ্ছাকৃত শীর্ষ ঋণখেলাপিকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তার আগে গঠন করতে হবে ঋণখেলাপি ট্রাইব্যুনাল। যেখানে কোনো আপিলের ব্যবস্থা থাকবে না। ইচ্ছাকৃত শীর্ষ ঋণখেলাপির স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি ক্রোক করে তাকে পাঠাতে হবে জেলে। জেলের ভাত না খেলে ব্যাংকের টাকা দেবে না।
রোববার রাজধানীর এক হোটেলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির বাজেট আলোচনায় খেলাপি ঋণ ও অর্থ পাচারের বিষয়টি সামনে আসে। অনুষ্ঠানে সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আইএমএফকে খুশি করার জন্য হঠাৎ ১০টি দুর্বল ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ তহবিল ব্যবস্থাপনা কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হবে। এ টাকা কার? কারা নিল? তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ব্যাংক মার্জার করে কি হবে। সুশাসন না থাকলে এসব করে কিছুই হবে না। ব্যাংক খাতকে সংস্কার করতে হবে। আর্থিক খাত দিনের পর দিন আরও দুর্বল হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কি করছে। দক্ষতার সঙ্গে এসব মোকাবিলা করতে না পারলে বিপর্যয় নেমে আসবে।