Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন

লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে আবার মেয়র টিটু

Icon

নূরে আলম জিকু, আতাউল করিম খোকন ও অমিত রায়, ময়মনসিংহ থেকে 

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে আবার মেয়র টিটু

নানা শঙ্কার মধ্যেই শনিবার শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন (মসিক)। দিনভর ছিল ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি। তবে ভোগান্তি ছিল চরমে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) জটিলতা ও আঙুলের ছাপ নিয়ে বিপাকে পড়েন সাধারণ ভোটাররা। নারী ও সংখ্যালঘুদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রে দেখা যায় উৎসবমুখর পরিবেশ। এ নির্বাচনে বড় ব্যবধানে আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ইকরামুল হক টিটু। বেসরকারি ফলাফলে মেয়র পদে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর প্রথম নির্বাচনেও তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। 

এর আগে ময়মনসিংহ পৌরসভারও মেয়র ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান এই সভাপতি। 

এ নির্বাচনে মোট ১২৮টি ভোটকেন্দে টেবিলঘড়ি প্রতীকে ইকরামুল হক টিটু পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাদেকুল হক খান হাতি প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৩৫ হাজার ৭৬৩ ভোট। দুজনের প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান ১ লাখ ৩ হাজার ৮৪১টি। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন পাঁচজন প্রার্থী। তৃতীয় অবস্থানে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম। 

তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৭৩ ভোট। এছাড়া মেয়র পদে অপর দুই প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ১ হাজার ৩২১ ভোট এবং হরিণ প্রতীকের রেজাউল হক খান পেয়েছেন ১ হাজার ৪৮৭ ভোট। ভোট পড়েছে প্রায় ৫৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে মেয়র পদে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৩৯ ভোটার। রাতে ময়মনসিংহের তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে নির্বাচনের এ ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী।

এছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৩ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ জন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইকরামুল হক টিটু যুগান্তরকে বলেন, প্রথমে গভীরভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই আমার প্রিয় নগরবাসীর প্রতি। তারা আমার প্রতি সমর্থন দিয়ে যে আস্থা রেখেছেন সেজন্য আমি তাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। আমার বিজয়কে ময়মনসিংহবাসীকে উৎসর্গ করলাম। আমি নগরবাসীর সন্তান হিসেবে, ভাই হিসাবে তাদের সঙ্গে আছি, থাকব। নগরবাসী আমাকে উজাড় করা ভালোবাসা নিয়ে তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। আমার অবস্থান থেকেও আমি তাদের কল্যাণে নিয়োজিত থাকব।

তিনি বলেন, আমার প্রথম কাজ হবে বিভিন্ন সমস্যা নিরসন করা। যেগুলো অনুমোদনের বাকি আছে, সেগুলো পাশ করব। ময়মনসিংহকে ঢেলে সাজাতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাই। একটা স্মার্ট এবং আধুনিক নগর উপহার দিতে চাই। 

এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। ইভিএম জটিলতা ও আঙুলের ছাপ নিয়ে বিপাকে পড়েন সাধারণ ভোটাররা। বিশেষ করে শ্রমজীবী, নারী ও বয়স্ক ভোটাররা হয়রানির শিকার হয়েছেন সবচেয়ে বেশি। আঙুলের ছাপ মিলাতে মাখতে হয়েছে পেট্রোলিয়াম জেলি। অনেকেই সাবান দিয়ে হাত ধুয়েও ভোট দিতে পারেননি। ফলে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দিয়েই ফিরে গেছেন তারা। কেউ কেউ নির্বাচন কমিশন (ইসি)ও সংশ্লিষ্টদের কড়া সমালোচনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ভোগান্তির বিষয়টি অনায়াসে স্বীকার করেছেন ইসি কর্মকর্তারাও। 

তবে ভোটের প্রাক্কালে বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরে পালটাপালটি বক্তব্য জানিয়েছেন মেয়র প্রার্থীরা। ইভিএম জটিলতার কারণে ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা। 

সকাল ৬টা। তখনও সূর্য ওঠেনি। গলায় বিভিন্ন প্রতীকের নির্বাচনি ব্যাজ পড়ে ময়মনসিংহ শহরে ছুটে চলেছেন প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থক ও এজেন্টরা। নির্বাচনি কেন্দ্রের সামনে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান নিয়েছেন তারা। সকাল ৮টার আগেই ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি শেষ করেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা। ৮টায় শুরু হয় ভোট গ্রহণ। 
সরেজমিন নগরীর মহাকালী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের বাইরে সারিবদ্ধভাবে লাইনে ভোটাররা। 

স্কুল ভবনের ২নং বুথের সামনে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ৭০ বছর বয়সি আয়েশা খাতুন। ইভিএম মেশিন অকার্যকর। সেটি ঠিক (মেরামত) করছেন একজন টেকনিশিয়ান। ৬ মিনিট পর মেশিন ঠিক হলেও আয়েশা খাতুনের হাতের আঙ্গুলের ছাপ মিলছে না। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর হাতে ভেজলিন দিয়ে ভোট দিতে সক্ষম হন তিনি। একই ঘটনা ঘটেছে অন্যান্য বুথেও। 

কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মিনালকান্তী রায় যুগান্তরকে বলেন, সকাল থেকেই নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইন শুরু হয়েছে। বয়স্ক ভোটারদের হাতের আঙুলের ছাপে কিছুটা জটিলতায় পড়তে হয়েছে। অনেকের আঙুলের ছাপ কাজ করছে না। এতে সাধারণ ভোটার ও সহকারী প্রিজাইডিং উভয় পক্ষই ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। সেক্ষেত্রে ভোটারদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে বিকল্প চেষ্টায় ভোট নেওয়া হয়েছে।  
৯নং ওয়ার্ডের প্রিমিয়ার আইডিয়াল স্কুলকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি ভোটকক্ষের সামনে দীর্ঘ লাইন। বিশেষত প্রবীণ ও নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি। আঙুলের ছাপ মেলেনি, এজন্য অপেক্ষা করছেন তারা। প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা ছাপ মেলাতে ভোটারের আঙুলে পেট্রোলিয়াম জেলি ঘষছেন।
 
এতে কারও কারও কাজ হচ্ছে। যাদের মেলাতে পারেনি তাদের বিকল্প ব্যবস্থায় ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইভিএমে আঙুলের ছাপ মেলাতেই বেশি সময় ব্যয় হয়েছে। গোপন কক্ষে ইভিএমে ভোট দিতে ভোটাররাও বেশি সময় নিয়েছেন। এতে ভোটগ্রহণ হয়েছে ধীরগতিতে। ৬২ বছর বয়সি শ্রাবন্তী সাহা বলেন, পছন্দের প্রার্থীকে স্বচ্ছন্দে ভোট দেওয়ার জন্য সকালেই ভোটকেন্দ্রে আসি। মেশিন আঙুলের ছাপ নিচ্ছে না। 

অনেক চেষ্টা করেও ভোট দিতে পারিনি। বিকালে আরেকবার যাওয়ার কথা বলেছেন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। ভারতী রানী বলেন, পেট্রোলিয়াম জেলি আঙুলে ঘষলেও কাজ হয়নি। হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে, লেবু দিয়ে কচলে দুপুরের পর আবার কেন্দ্রে আসার অনুরোধ করেছেন কর্মকর্তারা। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, ভোটারের আঙুলের ছাপ মেলাতে অনেক সময় চলে যাচ্ছে। এতে অন্য ভোটারদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। 

ময়মনসিংহ মহিলা কলেজকেন্দ্রে দুপুর দেড়টার দিকে ভোট দিতে আসেন রেলওয়ে কলোনির বাসিন্দ মো. আব্দুল হানিফ। দেড় ঘণ্টা কেন্দ্রের মধ্যে অপেক্ষা করেন তিনি। একাধিকবার চেষ্টায় বিকাল ৩টায় ৬নং বুথে ভোট দেন তিনি। বলেন, এমন কষ্ট জানলে ভোটকেন্দ্রে আসতাম না। ভোট না দিয়ে গেলেও নেতারা পরে সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করতে পারে। 

এজন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ভোট দিতে পেরে খুশি লাগছে। এ সময় তার মতো আরও অনেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন বলেও জানান তিনি। এই কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে টিস্যু, কাপড়সহ পেট্রোলিয়াম জেলি ভোটারদের আঙুলে ঘষতে দেখা গেছে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের। তারা জানা, অনেকের হাতের ছাপ কাজ করে না। প্রিজাইডিং অফিসার ৩ শতাংশ ভোটারের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। তাতেও কাজ হচ্ছে না। পুরুষের তুলনায় নারীদের ছাপ নিয়ে বেশি সমস্যা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা মো. গোলাম মোস্তফা যুগান্তরকে বলেন, খোঁজ নিয়েছি সব কেন্দ্রেই এমন সমস্যা হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। 

জানতে চাইলে অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (ময়মনসিংহ) ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ভোটারদের আঙুলের ছাপ মেলেনি এমন অভিযোগ আমরা কিছু কিছু কেন্দ্র থেকে পেয়েছি। মহিলা ভোটার যারা বিশেষ করে কাজ করেন কিংবা বয়স্ক হয়ে গেছে অনেক সময় তাদের আঙুলের ছাপ ঠিক মতো আসে না। 

এজন্য কিছুটা সময় লেগেছে। আমাদের টেকনিক্যাল লোকজন সেসব সমাধান করতে পেরেছে। সবাই ভোট দিয়েছে। ভোট না দিয়ে কেউ যায়নি। বয়স্ক ও মহিলা ভোটারদের ক্ষেত্রে সময় লাগার কারণে ভোটার লাইনটা বড় হয়েছে। এজন্য আমাদের ভোট থেমে থাকেনি। শুধু ৯৭ নম্বর কেন্দ্রের একটি বুথে ইভিএম মেশিনে সমস্যা থাকায় সেখানে শেষের দিকে ভোট শুরু হয়েছে। অন্যসব জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। কোনো প্রার্থীও আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলাও হয়নি। আমরা সন্তুষ্ট।

এদিকে ভোটকেন্দ্রে সরব ছিল নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটাররা। সকাল থেকেই তাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মেতো। মহাকালী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২টি কেন্দ্রেই প্রায় ৪ হাজার নারী ভোটার। দুপুর ৩টা পর্যন্ত প্রায় ৫০ শতাংশ নারী ভোট দিয়েছেন। বেলা ১০টার দিকে বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ২৮৬২ ভোটের মধ্যে প্রায় ৩০০ নারী ভোটার ভোট দিয়েছেন। ১৩নং ওয়ার্ডের নাসিরাবাদ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে তিনটি কেন্দ্রের একটি নারী, একটি পুরুষ ও অপর একটি নারী-পুরুষ মিলিয়ে। ভোট শুরুর ৪ ঘণ্টা পর দুপুর ১২টায় তিনটি কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৩০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। 

প্রিজাইডিং কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদ জানান, কেন্দ্রে নারী ভোটারের উপস্থিতি সকাল থেকেই অনেক বেশি। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে নারীদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। বয়স্ক নারীদের আঙুলের ছাপ পেতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে সময় লাগছে বেশি।

এদিকে সিটি নির্বাচনে শহরতলির ওয়ার্ডগুলোয় ভোটারের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে শহরতলির কেন্দ্রগুলোর সামনে প্রার্থীদের সমর্থকদের উল্লাস চোখে পড়েছে।

সকাল ৯টার দিকে নগরের ৮নং ওয়ার্ডের সিটি কলেজিয়েট স্কুল ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ভোটার উপস্থিতি অনেকটা কম। কেন্দ্রের মাঠ ফাঁকা। ১৮৫৯ ভোটের মধ্যে ১ ঘণ্টায় ভোট দিয়েছে ৮৭ জন। 

প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. ইমরান হাসান বলেন, ১ ঘণ্টায় ৮৭ ভোট পড়েছে। বেলা বাড়লে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে। অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের সম্প্রসারিত ২৯নং ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র বাড়েরা উজানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের বাইরে প্রচুর মানুষের উপস্থিতি। কেন্দ্রের ভেতরে নারী ও পুরুষ ভোটারদের দীর্ঘ সারি। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ২৯৯। প্রথম ২ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৩৪২টি। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৮০৮টি।

এদিকে সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পরেও ভোট গ্রহণ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। নগরীর পাটগুদাম বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপচে পড়েন ভোটাররা। এতে হিমশিম খেয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচনি দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা। কাউন্সিলর প্রার্থীদের লোকজন জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগানও দিচ্ছেন। পৌনে ৪টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, বিকাল ৪টার মধ্যে নির্ধারিত সীমানার মধ্যে যারা কেন্দ্রে ঢুকেছেন, তাদের ভোট নেওয়া হবে, সেটা যতক্ষণ লাগুক। বিকাল ৪টার পরেও পাটগুদাম বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে অর্ধশতাধিক ভোটার সারিতে ছিলেন। সাড়ে ৪টার দিকে ভোট শেষ হয়। পরে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে শেষ হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বেশ কিছু কেন্দ্রে আঙুলের ছাপ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সবাই ভোট দিতে পেরেছেন।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম