চবিতে ছাত্রলীগের তিন পক্ষের দুদফা সংঘর্ষ, আহত ১৬
চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের তিন পক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে দুদফা সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজয় ও সিক্সটি নাইন এবং রাতে সিএফসি ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীদের মাঝে এ সংঘর্ষ হয়েছে।
জানা যায়, ১২ ফেব্রুয়ারি জীববিজ্ঞান অনুষদের সামনে বিজয় গ্রুপের একজনকে মারধর করে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কিছু কর্মী। এর জের ধরে বুধবার রাতে দুগ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।
একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী মোড়ে এবং সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেয়। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটাধাওয়া এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা যায়।
বিজয় গ্রুপের একাংশের নেতা সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী রাশেদকে আগের ঘটনার জের ধরে পিঠা উৎসবে মারধর করা হয়। এ থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।
এদিকে সিক্সটি নাইন ও বিজয়ের সংঘর্ষের রেশ না কাটতেই চুজ ফ্রেন্ডস উইদ কেয়ার (সিএফসি) নামের অপর একটি পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে সিক্সটি নাইন কর্মীরা। রাত ৮টার দিকে শুরু হয় এ সংঘর্ষ। সিএফসি শাহ আমানত হল ও সিক্সটি নাইন শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায়ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে তাদের নাম জানা যায়নি।
সিএফসি উপগ্রুপের নেতা মির্জা খবির সাদাফ বলেন, আমাদের এক কর্মীকে সিক্সটি নাইনের ছেলেরা স্টেশনে বিনা কারণে মারধর করে। ওরা আসলে নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে। আসন্ন কমিটিতে তাদের কেউ আসবে না জেনে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
সিক্সটি নাইন উপগ্রুপের নেতা সাইদুল ইসলাম সাইদ বলেন, ওরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঝামেলা করছে। সিএফসি বর্তমানে নেতৃত্বহীন অবস্থায় আছে। তাই ওদের ছেলেরা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, অপরাজনীতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে অল্প সময়ের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আবু তৈয়ব যুগান্তরকে বলেন, আহতদের মধ্যে ১৬ জন চিকিৎসা নিতে এসেছে। এরমধ্যে চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জয়নুল আবেদীন যুগান্তরকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সতর্কাবস্থানে রয়েছে।